বগুড়ায় পাট উৎপাদন
গনেশ দাস, বগুড়া
বগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে যাচ্ছে।
তবে এ বছর পাটের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এবার বগুড়ায় নতুন পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে। গত বছর এই সময়ে পাট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বগুড়ায় ৭ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি। কিন্তু পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ কমার কারণে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৮৬ শতাংশ। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর বগুড়া জেলায় পাট চাষ কমছে। চার বছর আগে ২০২১ সালে জেলায় পাট চাষ হয়েছিল ১১ হাজার ১৬৭ হেক্টর জমিতে। সেই হিসাবে চার বছরে পাট চাষ কমেছে ৩ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে।
জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর চরে সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়ে থাকে। এই তিন উপজেলার মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়ে থাকে। ভুট্টা, মরিচসহ অন্যান্য ফসল আবাদে কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ কমছে চাষিদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, পাট চাষ বাড়াতে প্রতিবছর কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ২০০ কৃষককে ১ কেজি বীজ ও ১০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও প্রতিবছর পাট চাষ কমছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলার চরের কৃষক হারুনার রশিদ জানান, তিনি এবার চরে ৬০ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং আগাম বন্যা না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার মণপ্রতি ১ হাজার টাকা বেশি দামে নতুন পাট বিক্রি শুরু করেছেন।
একই উপজেলার রামনগর গ্রামের কৃষক সান্নু মিয়া বলেন, পাট চাষে প্রতিবছর খরচ বাড়ে। বৃষ্টি কম হওয়ায় এবং পুকুরে মাছ চাষ করায় পাট জাগ দেওয়ার জন্য পানি পাওয়া যায় না। আবার জাগ দেওয়া পাট থেকে আঁশ আলাদা করতে শ্রমিক নিতে হয় বেশি দামে। এ কারণে কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে খরচ হয় ১০ হাজার টাকার বেশি। ফলন ভালো হলে ৭ থেকে ৮ মণ পাট পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. সামছুদ্দিন ফিরোজ বলেন, পাট জাগ দেওয়ার মতো জলাশয় দিন দিন কমছে, পরিত্যক্ত পুকুরও আগের মতো নেই। মূলত জাগ দেওয়ার সমস্যার কারণে পাট চাষ কমে যাচ্ছে। জলাশয় ভরাট, পুকুরে মাছ চাষের কারণে কৃষকেরা পাট জাগ দিতে সমস্যায় পড়েন।
সামছুদ্দিন ফিরোজ আরও বলেন, এ বছর বন্যা না হওয়ায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এখনো সবচেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়। সেখানে প্রতি হেক্টরে ১৪ দশমিক ৩৫ বেল (১৮০ কেজিতে এক বেল) পাট উৎপাদিত হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি এবার পাটের দাম বেশি পাচ্ছেন কৃষকেরা।
বগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে যাচ্ছে।
তবে এ বছর পাটের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এবার বগুড়ায় নতুন পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে। গত বছর এই সময়ে পাট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বগুড়ায় ৭ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি। কিন্তু পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ কমার কারণে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৮৬ শতাংশ। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর বগুড়া জেলায় পাট চাষ কমছে। চার বছর আগে ২০২১ সালে জেলায় পাট চাষ হয়েছিল ১১ হাজার ১৬৭ হেক্টর জমিতে। সেই হিসাবে চার বছরে পাট চাষ কমেছে ৩ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে।
জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর চরে সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়ে থাকে। এই তিন উপজেলার মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়ে থাকে। ভুট্টা, মরিচসহ অন্যান্য ফসল আবাদে কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ কমছে চাষিদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, পাট চাষ বাড়াতে প্রতিবছর কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ২০০ কৃষককে ১ কেজি বীজ ও ১০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও প্রতিবছর পাট চাষ কমছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলার চরের কৃষক হারুনার রশিদ জানান, তিনি এবার চরে ৬০ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং আগাম বন্যা না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার মণপ্রতি ১ হাজার টাকা বেশি দামে নতুন পাট বিক্রি শুরু করেছেন।
একই উপজেলার রামনগর গ্রামের কৃষক সান্নু মিয়া বলেন, পাট চাষে প্রতিবছর খরচ বাড়ে। বৃষ্টি কম হওয়ায় এবং পুকুরে মাছ চাষ করায় পাট জাগ দেওয়ার জন্য পানি পাওয়া যায় না। আবার জাগ দেওয়া পাট থেকে আঁশ আলাদা করতে শ্রমিক নিতে হয় বেশি দামে। এ কারণে কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে খরচ হয় ১০ হাজার টাকার বেশি। ফলন ভালো হলে ৭ থেকে ৮ মণ পাট পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. সামছুদ্দিন ফিরোজ বলেন, পাট জাগ দেওয়ার মতো জলাশয় দিন দিন কমছে, পরিত্যক্ত পুকুরও আগের মতো নেই। মূলত জাগ দেওয়ার সমস্যার কারণে পাট চাষ কমে যাচ্ছে। জলাশয় ভরাট, পুকুরে মাছ চাষের কারণে কৃষকেরা পাট জাগ দিতে সমস্যায় পড়েন।
সামছুদ্দিন ফিরোজ আরও বলেন, এ বছর বন্যা না হওয়ায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এখনো সবচেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়। সেখানে প্রতি হেক্টরে ১৪ দশমিক ৩৫ বেল (১৮০ কেজিতে এক বেল) পাট উৎপাদিত হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি এবার পাটের দাম বেশি পাচ্ছেন কৃষকেরা।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নড়াই খাল যেন মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালটির স্থির পানিতে সারা বছরই চোখে পড়ে মশার লার্ভা। নিকটবর্তী জিরানি খালেরও একই দশা। এতে খাল দুটি হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিস্তারের উৎস। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এ দুটি খালসংলগ্ন বনশ্রী, আফতাবনগর ও নন্দীপাড়া
৪ ঘণ্টা আগেমৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
৫ ঘণ্টা আগেমরণফাঁদে পরিণত হয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর-ভাঙ্গা অংশ। খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তে এই অংশের ৩২ কিলোমিটার চলাচলের অনুপযোগী। তবু ঝুঁকি নিয়ে ছুটে চলছে যানবাহন। ভোগান্তির এই যাত্রায় অনেক সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
৫ ঘণ্টা আগে