আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় বিভিন্ন ফসলের মাঠে ছড়িয়েছে পাকা ধানের ঘ্রাণ। অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ধান ঘরে তুলতে। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দেখা দিয়েছে শ্রমিকের সংকট। এতে ফসল কাটা-মাড়াই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৩০০ হেক্টর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর, পলাশবাড়ীতে ১১ হাজার ৮০৫ হেক্টর, সাদুল্যাপুরে ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর, গোবিন্দগঞ্জে ৩১ হাজার ১০৫ হেক্টর, ফুলছড়িতে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর ও সাঘাটা উপজেলায় ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে।
কৃষিবিদেরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের কৃষিনির্ভর জেলা গাইবান্ধার চাষিরা অন্য ফসলের পাশাপাশি ধানের আবাদ বেশি করেন। বিশেষ করে ইরি-বোরো ধান এই অঞ্চলের কৃষকদের অর্থ ছাড়াও ভাতের জোগান দেয়। জেলায় পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু না হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসল রক্ষা করতে নিরাপদে ঘরে তুলতে চান কৃষকেরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলার বেশির ভাগ ফসলের মাঠে পাকা ধানের ঘ্রাণ ছড়িয়েছে। অনেক কৃষক খেতে পাকা ধান কাটছেন। কেউ মাড়াই করছেন। পরিবারের ছোট-বড় সদস্যরাও ধান ঘরে তুলতে সাহায্য করছেন। ধানের শিষ পেকে যাওয়ায় ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে শ্রমিকসংকটে পড়েছেন চাষিরা। এ ছাড়া বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি।
কথা হয় জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া গ্রামের কৃষক আরিফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ধান খুব ভালো হয়েছে। ধানের রং চড়েছে। আর এক সপ্তাহ পর ধান কাটতে হবে। শ্রমিক পাওয়া গেলেও অনেক বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে। ধান কাটা নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছি।’
সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের গোয়াইলবাড়ী গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর এক বিঘা জমির ধান কাটতে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। কিন্তু এ বছর এক বিঘা জমির ধান কাটতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগছে। সবকিছুর দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধান কাটাতে কৃষিশ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। এতে ধান উৎপাদনে খরচ বাড়ছে।’
মাঠে পাকা ধান কাটার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরুনদহ গ্রামের কৃষক মো. আসলাম মিয়া। তিনি বলেন, ‘যা-ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে, দাম দুই গুণ। এক ঘণ্টা টানা বৃষ্টি হলে অনেক জমির ধান তোলা যাবে না। মেশিন দিয়ে ধান কাটা সম্ভব নয়, আমাদের বিলের মাটি সব সময় ভাজা থাকে। পাকা ধান ঘরে তোলার জন্য বউ-ছোল নিয়ে রাতে-দিনে কাজ করছি।’
পুরুনদহ গ্রামের কৃষক ইসলাম মিয়া বলেন, ‘পাকা ধান জমিত থুয়ে ঘুম ধরে না। এই ধান সারা বছরের খাবার। খুব চিন্তায় আছি ধান ঘরোত তোলা নিয়ে।’
সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, তিনি এবার প্রায় সাড়ে ১১ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে কি না এই ভাবনায় খেতের পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
কৃষক নেতারা বলছেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। একদিকে প্রয়োজনের তুলনায় কৃষি-শ্রমিক মিলছে কম, অন্যদিকে মজুরি দিতে হচ্ছে বেশি। ধান চাষে সার, তেল, কীটনাশকসহ যাবতীয় ব্যয় মিটিয়ে উৎপাদিত ধান বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না তাঁদের। ধান আবাদে লোকসান গুনছেন চাষিরা।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। প্রাকৃতিক তেমন কোনো দুর্যোগ হয়নি। বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান পাকতে শুরু করেছে। পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাপপ্রবাহের পর ঝড়-বৃষ্টির কারণে ধান কাটার শ্রমিকের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা আধুনিক প্রযুক্তির কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনে ধান কাটতে কৃষকদের উৎসাহিত করছি।’
গাইবান্ধায় বিভিন্ন ফসলের মাঠে ছড়িয়েছে পাকা ধানের ঘ্রাণ। অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ধান ঘরে তুলতে। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দেখা দিয়েছে শ্রমিকের সংকট। এতে ফসল কাটা-মাড়াই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৩০০ হেক্টর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর, পলাশবাড়ীতে ১১ হাজার ৮০৫ হেক্টর, সাদুল্যাপুরে ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর, গোবিন্দগঞ্জে ৩১ হাজার ১০৫ হেক্টর, ফুলছড়িতে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর ও সাঘাটা উপজেলায় ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে।
কৃষিবিদেরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের কৃষিনির্ভর জেলা গাইবান্ধার চাষিরা অন্য ফসলের পাশাপাশি ধানের আবাদ বেশি করেন। বিশেষ করে ইরি-বোরো ধান এই অঞ্চলের কৃষকদের অর্থ ছাড়াও ভাতের জোগান দেয়। জেলায় পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু না হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসল রক্ষা করতে নিরাপদে ঘরে তুলতে চান কৃষকেরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলার বেশির ভাগ ফসলের মাঠে পাকা ধানের ঘ্রাণ ছড়িয়েছে। অনেক কৃষক খেতে পাকা ধান কাটছেন। কেউ মাড়াই করছেন। পরিবারের ছোট-বড় সদস্যরাও ধান ঘরে তুলতে সাহায্য করছেন। ধানের শিষ পেকে যাওয়ায় ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে শ্রমিকসংকটে পড়েছেন চাষিরা। এ ছাড়া বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি।
কথা হয় জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া গ্রামের কৃষক আরিফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ধান খুব ভালো হয়েছে। ধানের রং চড়েছে। আর এক সপ্তাহ পর ধান কাটতে হবে। শ্রমিক পাওয়া গেলেও অনেক বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে। ধান কাটা নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছি।’
সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের গোয়াইলবাড়ী গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর এক বিঘা জমির ধান কাটতে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। কিন্তু এ বছর এক বিঘা জমির ধান কাটতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগছে। সবকিছুর দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধান কাটাতে কৃষিশ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। এতে ধান উৎপাদনে খরচ বাড়ছে।’
মাঠে পাকা ধান কাটার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরুনদহ গ্রামের কৃষক মো. আসলাম মিয়া। তিনি বলেন, ‘যা-ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে, দাম দুই গুণ। এক ঘণ্টা টানা বৃষ্টি হলে অনেক জমির ধান তোলা যাবে না। মেশিন দিয়ে ধান কাটা সম্ভব নয়, আমাদের বিলের মাটি সব সময় ভাজা থাকে। পাকা ধান ঘরে তোলার জন্য বউ-ছোল নিয়ে রাতে-দিনে কাজ করছি।’
পুরুনদহ গ্রামের কৃষক ইসলাম মিয়া বলেন, ‘পাকা ধান জমিত থুয়ে ঘুম ধরে না। এই ধান সারা বছরের খাবার। খুব চিন্তায় আছি ধান ঘরোত তোলা নিয়ে।’
সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, তিনি এবার প্রায় সাড়ে ১১ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে কি না এই ভাবনায় খেতের পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
কৃষক নেতারা বলছেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। একদিকে প্রয়োজনের তুলনায় কৃষি-শ্রমিক মিলছে কম, অন্যদিকে মজুরি দিতে হচ্ছে বেশি। ধান চাষে সার, তেল, কীটনাশকসহ যাবতীয় ব্যয় মিটিয়ে উৎপাদিত ধান বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না তাঁদের। ধান আবাদে লোকসান গুনছেন চাষিরা।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। প্রাকৃতিক তেমন কোনো দুর্যোগ হয়নি। বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান পাকতে শুরু করেছে। পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাপপ্রবাহের পর ঝড়-বৃষ্টির কারণে ধান কাটার শ্রমিকের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা আধুনিক প্রযুক্তির কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনে ধান কাটতে কৃষকদের উৎসাহিত করছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে