আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন সহকারী শিক্ষক অহিদুল ইসলাম। কিন্তু তিনি চাকরি জীবনের শেষের ১৮ মাসের বেতন পেতে চান। এই বেতন না পেলে শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তাঁকে বেতন-ভাতা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বছরের ২৩ আগস্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য এবং গত ৫ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের পৃথক তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে অহিদুল ইসলামকে এমপিও সিটে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশ করে প্রত্যয়ন দেন।
তাঁদের প্রত্যয়ন দেওয়ার চার মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক সরকার অহিদুলের বেতন-ভাতার জন্য এমপিও কাগজপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠাননি। এ নিয়ে গত ২৪ মার্চ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অহিদুল।
ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সালটা ১৯৯২। অহিদুল ইসলাম এইচএসসি পাস করেন। এর পর ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে সমাজবিজ্ঞান পদে ওই বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান এবং ওই দিনই যোগদান করেন। ওই সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিনি ডোনেশন করেন এক লাখ টাকা।
এমপিও স্বীকৃতিতে নাম লেখার আশায় তিনি ২০২০ সালে ডিগ্রি পাসও করেন। আশা ছিল বেতন-ভাতা পাওয়ার।
২০০৪ সালে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক তাঁকে বাদ দিয়ে কৌশলে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রহমান তাঁর ভাই আতাউর রহমানকে নিয়োগ দেন।
এরপর তাঁকে অফিস সহকারীর শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক সহিদার আরও ৩০ হাজার টাকা নেন। সেই পদেও নিয়োগ দিতে তাঁর সঙ্গে করা হয় প্রতারণা।
এরপরও বিদ্যালয় ছাড়েননি অহিদুল ইসলাম। তাঁকে আবার নতুন করে ২০০৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগদান করে নেওয়া হয়। তিনি এমপিওর আশায় তখন থেকে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখেন।
১৯৬৫ সালের ১১ অক্টোবর তাঁর জন্ম তারিখ অনুযায়ী অবসরে যাওয়ার সময় আছে আর মাত্র ১৮ মাস।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে প্রধান শিক্ষক সহিদার রহমান মারা গেলে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক কৌশল অবলম্বন করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন। ২০২১ সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক পর্যায়ের একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিভাবে বিল-ভাতার জিও আদেশ পায়।
জানা গেছে, অহিদুল ইসলামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জ উপজেলায়। তাঁর সংসারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। বড় ছেলে মাস্টার্স পাস করে ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করছেন। দ্বিতীয় মেয়ে কারমাইল কলেজে বিএসসি পাস করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন এবং তৃতীয় ছেলে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছেন। অহিদুলের জমিজমা না থাকায় বড় ছেলের আয়ে কোনোমতে চলছে তাঁদের সংসার।
অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯২ সাল থেকে কখনই স্কুল ফাঁকি দেইনি। বেতন-ভাতার আশায় ক্লাসে নিয়মিত পাঠদান দিয়ে যাচ্ছি।’
এমপিও সিটে নাম অন্তর্ভুক্ত না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমপিও সিটে নাম তুলতে প্রধান শিক্ষক যত টাকা দাবি করছেন, তা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, আমার সেই অর্থ নেই। তবুও আমি ২০০৪ সালের আগে ১ লাখ ২০ হাজার এবং গত বছর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। এরপরও আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকতা করে যুবক থেকে বুড়ো হলাম। যোগ্যতা থাকার পরও বেতনের মুখ দেখলাম না। ১৮ মাসের বেতন নিয়ে মরতে চাই। যদি এই ১৮ মাসের বেতন না পাই তাহলে অবসরের দিন ক্লাস শেষে বিদ্যালয়েই আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনো পথ থাকবে না।’
তাঁর স্ত্রী রেহেনা আক্তার জাহান বলেন, ‘২০০৪ সালে যখন আমার স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করা হলো, তখনই আমি স্কুল থেকে স্বামীকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কথা না শুনে বাড়ির টাকাপয়সা নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে দেন। স্বামী স্কুলে পাঠদানের নেশা কখনো ফেলাতে পারেননি। আমার স্বামীর সঙ্গে যে অন্যায়টা করা হচ্ছে, দেশে কী কোনো বিচার নেই! আমার স্বামী যদি বিদ্যালয়ে কখনো আত্মহত্যা করেন, তাহলে আমি শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করব।’
অহিদুলকে এমপিও সিটের কাগজপত্র না পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক সরকার আজকের পত্রিকাকে সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তিনি একবার বলেন, ‘অহিদুলের কাগজপত্রের ত্রুটি আছে, আরেকবার বলেন ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ তিন মাস আগে শেষ হয়েছে, তাই কমিটি ছাড়া তাঁর কাগজপত্র অনলাইনে পাঠাতে পারছি না।’
আবার কখনো বলেন, ‘তাঁর কাগজপত্র পাঠাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি স্কুলে আসেন, আমাকে সালাম পর্যন্ত দেন না। আপনি (সাংবাদিক) যেহেতু তাঁর (অহিদুল) পক্ষে আছেন, তাঁকে নিয়ে একদিন আমার কাছে আসেন, ওটা করে দিব।’
বদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই শিক্ষকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, কাগজপত্রে কোনো ত্রুটি নেই। আমি এমপিওর জন্য ওই শিক্ষকের কাগজপত্র প্রধান শিক্ষককে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাঁর কাগজপত্র পাঠাচ্ছেন না প্রধান শিক্ষক।’
তবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘এডহক কমিটি গঠন করতে একদিনও সময় লাগে না। তিনি কেন এডহক কমিটি গঠন করছেন না?’
রংপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন সহকারী শিক্ষক অহিদুল ইসলাম। কিন্তু তিনি চাকরি জীবনের শেষের ১৮ মাসের বেতন পেতে চান। এই বেতন না পেলে শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তাঁকে বেতন-ভাতা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বছরের ২৩ আগস্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য এবং গত ৫ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের পৃথক তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে অহিদুল ইসলামকে এমপিও সিটে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশ করে প্রত্যয়ন দেন।
তাঁদের প্রত্যয়ন দেওয়ার চার মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক সরকার অহিদুলের বেতন-ভাতার জন্য এমপিও কাগজপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠাননি। এ নিয়ে গত ২৪ মার্চ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অহিদুল।
ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সালটা ১৯৯২। অহিদুল ইসলাম এইচএসসি পাস করেন। এর পর ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে সমাজবিজ্ঞান পদে ওই বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান এবং ওই দিনই যোগদান করেন। ওই সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিনি ডোনেশন করেন এক লাখ টাকা।
এমপিও স্বীকৃতিতে নাম লেখার আশায় তিনি ২০২০ সালে ডিগ্রি পাসও করেন। আশা ছিল বেতন-ভাতা পাওয়ার।
২০০৪ সালে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক তাঁকে বাদ দিয়ে কৌশলে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রহমান তাঁর ভাই আতাউর রহমানকে নিয়োগ দেন।
এরপর তাঁকে অফিস সহকারীর শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক সহিদার আরও ৩০ হাজার টাকা নেন। সেই পদেও নিয়োগ দিতে তাঁর সঙ্গে করা হয় প্রতারণা।
এরপরও বিদ্যালয় ছাড়েননি অহিদুল ইসলাম। তাঁকে আবার নতুন করে ২০০৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগদান করে নেওয়া হয়। তিনি এমপিওর আশায় তখন থেকে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখেন।
১৯৬৫ সালের ১১ অক্টোবর তাঁর জন্ম তারিখ অনুযায়ী অবসরে যাওয়ার সময় আছে আর মাত্র ১৮ মাস।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে প্রধান শিক্ষক সহিদার রহমান মারা গেলে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক কৌশল অবলম্বন করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন। ২০২১ সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক পর্যায়ের একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিভাবে বিল-ভাতার জিও আদেশ পায়।
জানা গেছে, অহিদুল ইসলামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জ উপজেলায়। তাঁর সংসারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। বড় ছেলে মাস্টার্স পাস করে ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করছেন। দ্বিতীয় মেয়ে কারমাইল কলেজে বিএসসি পাস করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন এবং তৃতীয় ছেলে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছেন। অহিদুলের জমিজমা না থাকায় বড় ছেলের আয়ে কোনোমতে চলছে তাঁদের সংসার।
অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯২ সাল থেকে কখনই স্কুল ফাঁকি দেইনি। বেতন-ভাতার আশায় ক্লাসে নিয়মিত পাঠদান দিয়ে যাচ্ছি।’
এমপিও সিটে নাম অন্তর্ভুক্ত না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমপিও সিটে নাম তুলতে প্রধান শিক্ষক যত টাকা দাবি করছেন, তা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, আমার সেই অর্থ নেই। তবুও আমি ২০০৪ সালের আগে ১ লাখ ২০ হাজার এবং গত বছর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। এরপরও আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকতা করে যুবক থেকে বুড়ো হলাম। যোগ্যতা থাকার পরও বেতনের মুখ দেখলাম না। ১৮ মাসের বেতন নিয়ে মরতে চাই। যদি এই ১৮ মাসের বেতন না পাই তাহলে অবসরের দিন ক্লাস শেষে বিদ্যালয়েই আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনো পথ থাকবে না।’
তাঁর স্ত্রী রেহেনা আক্তার জাহান বলেন, ‘২০০৪ সালে যখন আমার স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করা হলো, তখনই আমি স্কুল থেকে স্বামীকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কথা না শুনে বাড়ির টাকাপয়সা নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে দেন। স্বামী স্কুলে পাঠদানের নেশা কখনো ফেলাতে পারেননি। আমার স্বামীর সঙ্গে যে অন্যায়টা করা হচ্ছে, দেশে কী কোনো বিচার নেই! আমার স্বামী যদি বিদ্যালয়ে কখনো আত্মহত্যা করেন, তাহলে আমি শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করব।’
অহিদুলকে এমপিও সিটের কাগজপত্র না পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক সরকার আজকের পত্রিকাকে সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তিনি একবার বলেন, ‘অহিদুলের কাগজপত্রের ত্রুটি আছে, আরেকবার বলেন ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ তিন মাস আগে শেষ হয়েছে, তাই কমিটি ছাড়া তাঁর কাগজপত্র অনলাইনে পাঠাতে পারছি না।’
আবার কখনো বলেন, ‘তাঁর কাগজপত্র পাঠাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি স্কুলে আসেন, আমাকে সালাম পর্যন্ত দেন না। আপনি (সাংবাদিক) যেহেতু তাঁর (অহিদুল) পক্ষে আছেন, তাঁকে নিয়ে একদিন আমার কাছে আসেন, ওটা করে দিব।’
বদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই শিক্ষকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, কাগজপত্রে কোনো ত্রুটি নেই। আমি এমপিওর জন্য ওই শিক্ষকের কাগজপত্র প্রধান শিক্ষককে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাঁর কাগজপত্র পাঠাচ্ছেন না প্রধান শিক্ষক।’
তবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘এডহক কমিটি গঠন করতে একদিনও সময় লাগে না। তিনি কেন এডহক কমিটি গঠন করছেন না?’
রংপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ১৪ ভারতীয় জেলেসহ একটি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে নৌবাহিনী। আটক ট্রলারটিকে গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনা হয়। এরপর গতকাল রাতেই ট্রলারসহ আটক ব্যক্তিদের মোংলা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়
২ মিনিট আগেজয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ‘এসো গড়ি সোনার বাংলা (AGSB)’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাঁদের জামানত ও বকেয়া বেতন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার বেলা ৩টায় কালাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রের ভুক্তভোগী
১৪ মিনিট আগেগত বছরের ৫ আগস্ট রাতে বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার দোকান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় ছয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ এই আদেশ দেন।
২৭ মিনিট আগেপাবনা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে হাসপাতালের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্য রাতে পাবনা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া এলাকার আবুল হোসেন (৩০), ভাঙ্গুড়া উপজেলার আব্দুল্লাহ আল মামুন
১ ঘণ্টা আগে