নীলফামারী প্রতিনিধি
তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত উত্তরের জেলা নীলফামারীর জনজীবন। আজ মঙ্গলবার জেলার সৈয়দপুরে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) একই তাপমাত্রা ছিল।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ২৫ মে থেকে জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ সময় গড় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ। এটি গড় করলে হবে ৬৫ ভাগ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার ফলে ভাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। ওই সময়ে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আস্তে আস্তে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। চলতি মাসের ১ তারিখ সৈয়দপুর আবহাওয়া কার্যালয়ে ১৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল ওই দিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে দাবদাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। জেলার অধিকাংশ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসেননি। মানুষকে বড় বড় গাছতলায় বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষকে আরও বিপাকে ফেলেছে।
সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের কোরানীপাড়ার কৃষক রশিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তীব্র রোদের কারণে আমনের বীজতলা পুড়ে যাচ্ছে। দিনের বেলায় গ্রামের মানুষজন একটু প্রশান্তির জন্য ঘর ছেড়ে গাছতলা ও বাঁশতলায় বিশ্রাম নিচ্ছে।
শহরের আখের রস বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আগের চেয়ে প্রতিদিন তিন গুণ বেশি আখের রস বিক্রি হয়। তবে প্রচণ্ড গরমে শহরের মধ্যে টিকে থাকা মুশকিল।’
নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রচণ্ড তাপের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছেন না শ্রমিক। অনেকে জীবিকার টানে কাজে নামলেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাপপ্রবাহের ফলে বিভিন্ন রোগের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যেমন সর্দি-জ্বর, মাথাব্যথা ও পেটের সমস্যার রোগী বেশি আসছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা বেশি এই দাবদাহে আক্রান্ত হচ্ছে।
বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিষয়ে নীলফামারী নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ কার্যালয়ের আওতায় ১১টি ফিডারে মোট ৩৬ হাজার ২৯৬ জন গ্রাহক। এসব গ্রাহকের জন্য প্রয়োজন ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৯ থেকে ১২ মেগাওয়াট। এ জন্য লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।’
তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত উত্তরের জেলা নীলফামারীর জনজীবন। আজ মঙ্গলবার জেলার সৈয়দপুরে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) একই তাপমাত্রা ছিল।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ২৫ মে থেকে জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ সময় গড় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ। এটি গড় করলে হবে ৬৫ ভাগ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার ফলে ভাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। ওই সময়ে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আস্তে আস্তে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। চলতি মাসের ১ তারিখ সৈয়দপুর আবহাওয়া কার্যালয়ে ১৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল ওই দিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে দাবদাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। জেলার অধিকাংশ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসেননি। মানুষকে বড় বড় গাছতলায় বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষকে আরও বিপাকে ফেলেছে।
সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের কোরানীপাড়ার কৃষক রশিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তীব্র রোদের কারণে আমনের বীজতলা পুড়ে যাচ্ছে। দিনের বেলায় গ্রামের মানুষজন একটু প্রশান্তির জন্য ঘর ছেড়ে গাছতলা ও বাঁশতলায় বিশ্রাম নিচ্ছে।
শহরের আখের রস বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আগের চেয়ে প্রতিদিন তিন গুণ বেশি আখের রস বিক্রি হয়। তবে প্রচণ্ড গরমে শহরের মধ্যে টিকে থাকা মুশকিল।’
নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রচণ্ড তাপের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছেন না শ্রমিক। অনেকে জীবিকার টানে কাজে নামলেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাপপ্রবাহের ফলে বিভিন্ন রোগের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যেমন সর্দি-জ্বর, মাথাব্যথা ও পেটের সমস্যার রোগী বেশি আসছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা বেশি এই দাবদাহে আক্রান্ত হচ্ছে।
বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিষয়ে নীলফামারী নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ কার্যালয়ের আওতায় ১১টি ফিডারে মোট ৩৬ হাজার ২৯৬ জন গ্রাহক। এসব গ্রাহকের জন্য প্রয়োজন ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৯ থেকে ১২ মেগাওয়াট। এ জন্য লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।’
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৭ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৯ ঘণ্টা আগে