Ajker Patrika

যাতায়াতের রাস্তা নেই, বিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা 

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩, ১৪: ৫৮
যাতায়াতের রাস্তা নেই, বিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা 

চারপাশে গাছগাছালিতে ঘেরা মনোরম পরিবেশে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে দোতলা একটি ভবন। এটি পূর্ব চর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা এই বিদ্যালয়ের ভেতরে সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে দুর্ভোগ চরমে। রাস্তা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এতে কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এমন অবস্থায় বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণের দাবি জানান শিক্ষকসহ অভিভাবকেরা।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পূর্ব চর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৮ সালে ৩৫ শতক জমিতে স্থাপিত হয়। জাতীয়করণ হয় ২০১৩ সালে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় দোতলাবিশিষ্ট ভবনটি। বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষকসহ শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১২৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে বিদ্যালয় সূত্রে। 

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের। শুষ্ক মৌসুমে জমির আইল ও বাড়ির ঝোপঝাড় দিয়ে চলাচল করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এই দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ফলে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কমে গেছে। বিদ্যালয়ের সংলগ্ন পূর্ব চর পাত্রখাতা গ্রামটিতে প্রবেশের জন্য সেতু ও পাকা সড়ক থাকলেও এই বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা নেই।

খালের পানি শুকিয়ে গেলে হেঁটে চলাচল করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল হওয়ায় অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের আশপাশে বাড়ি দিয়ে যাতায়াত করলে বকা শুনতে হয়। তাই শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের নৌকা বা ভেলা দিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে অনেক সময় পড়ে গিয়ে বই ও পোশাক ভিজে যায়।

পূর্ব চর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মজিনা বেগম বলেন, ‘যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় অন্যত্র শিক্ষার্থী চলে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ। তাই শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধে দ্রুত স্থায়ী রাস্তার দাবি জানাই।’ 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ বিন রানু বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকলেও বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ উপস্থিতির হার নেমে আসে।’ 
 
শিক্ষার্থী জুই খাতুন ও মোছা. সুইটি খাতুন বলে, ‘রাস্তা না থাকায় আমরা স্কুলে আসতে পারছি না। অন্যজনের বাড়ির ভেতর দিয়ে আসতে হচ্ছে।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ বলেন, বর্ষা মৌসুম কেটে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রাস্তার সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত