দিনাজপুর প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গত কয়েক দিন কার্যত বন্ধ ছিল দিনাজপুরের সব কটি থানা। বেশ কয়েকটি থানায় হামলার পাশাপাশি অন্যগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থাও ছিল অপ্রতুল। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানান। নির্দেশনা মেনে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে কর্মস্থলে ফিরলেও পুলিশের কয়েকজন নিম্ন পদস্থ সদস্যদের মাঝে একধরনের আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও একই সঙ্গে দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকটি থানায় ও পুলিশ সদস্যদের ওপরে চড়াও হয়। প্রায় ৫ শতাধিক আন্দোলনকারী অতর্কিতভাবে সেদিন সন্ধ্যায় বোচাগঞ্জ থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালান। এ ছাড়া বিরামপুর থানা চত্বর, বীরগঞ্জ থানা চত্বরে হেল্প ডেস্ক, পুলিশের পিকআপ ভ্যান এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দিনাজপুর সদরের মুন্সিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলাকারীদের হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পুলিশ সদস্যরাও নিরাপদ স্থানে সরে যান।
এদিকে আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা সরেজমিন দেখা গেছে, প্রধান ফটকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশের কয়েকজন সদস্য সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। হেল্প ডেস্কে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন ডিউটি অফিসারও। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্য পুলিশ সদস্যদের অন্তত ২০ জনকে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে দেখা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান সহিংসতার ঘটনায় যাঁরা বাড়িতে গিয়েছিলেন কিংবা বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে ছিলেন; তাঁদের সবাই গতকাল/////// বৃহস্পতিবারের রাতের মধ্যেই কর্মস্থলে পৌঁছেছেন।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে কর্মস্থলে হাজির হয়েছি, কিন্তু মনে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
পুলিশের সাধারণ সদস্যরা বলছেন, ‘আমাদের দোষ কোথায়? আমরা হুকুমের গোলাম। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে অধিকাংশ পুলিশ সদস্যেরও মৌন সম্মতি ছিল। এ সময় তারা সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।’
তাঁরা বলেন, ‘নিম্ন পদস্থ পুলিশ সদস্যরা আমরা ১১ দফা দাবি জানিয়েছি।’ এসব যৌক্তিক দাবি পূরণের অনুরোধ জানান তাঁরা। পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরবে নতুন পুলিশ দেখবে সাধারণ মানুষ—এমন অঙ্গীকার নিয়ে পুলিশ কাজে নামবে এমনটিই আশা করছেন তাঁরা।
আজ সকাল থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুরের ১৩টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়েছেন।
সরকার পতনের খবরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বোচাগঞ্জ থানা। এ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, বিক্ষুব্ধ লোকজন থানার সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। থানাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বসবার মতো কোনো চেয়ার-টেবিল ও পরিবেশ ছিল না। ইতিমধ্যে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করা হয়েছে। উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আমীরুল হক থানায় ১০টি চেয়ার ও দুটি টেবিল পাঠিয়েছেন।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিরামপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মোমিনুল ইসলাম বলেন, থানার সব সদস্য উপস্থিত আছেন। বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাবাহিনীর সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একসঙ্গে কর্মস্থলে প্রবেশ করবেন।
খানসামা থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানান, দ্রুতই থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, পুলিশ সদস্যরা প্রায় সবাই উপস্থিত হয়েছেন। দু-একজন আছেন যাঁদের বাড়ি দূরে কিংবা ছুটিতে আছেন; তাঁরাও আজ বিকেলের মধ্যে ফিরবেন। আপাতত শুধু দাপ্তরিক কাজকর্ম চলছে। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।
এ সময় তিনি দিনাজপুরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় মানুষ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় অনেক ভূমিকা রেখেছেন। থানাগুলো পাহারা দিয়েছেন দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। পুলিশ আগামীতে কাজের মাধ্যমে এর প্রতিদান দেবেন—এমন প্রত্যাশা করেন পুলিশ সুপার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গত কয়েক দিন কার্যত বন্ধ ছিল দিনাজপুরের সব কটি থানা। বেশ কয়েকটি থানায় হামলার পাশাপাশি অন্যগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থাও ছিল অপ্রতুল। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানান। নির্দেশনা মেনে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে কর্মস্থলে ফিরলেও পুলিশের কয়েকজন নিম্ন পদস্থ সদস্যদের মাঝে একধরনের আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও একই সঙ্গে দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকটি থানায় ও পুলিশ সদস্যদের ওপরে চড়াও হয়। প্রায় ৫ শতাধিক আন্দোলনকারী অতর্কিতভাবে সেদিন সন্ধ্যায় বোচাগঞ্জ থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালান। এ ছাড়া বিরামপুর থানা চত্বর, বীরগঞ্জ থানা চত্বরে হেল্প ডেস্ক, পুলিশের পিকআপ ভ্যান এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দিনাজপুর সদরের মুন্সিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলাকারীদের হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পুলিশ সদস্যরাও নিরাপদ স্থানে সরে যান।
এদিকে আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা সরেজমিন দেখা গেছে, প্রধান ফটকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশের কয়েকজন সদস্য সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। হেল্প ডেস্কে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন ডিউটি অফিসারও। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্য পুলিশ সদস্যদের অন্তত ২০ জনকে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে দেখা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান সহিংসতার ঘটনায় যাঁরা বাড়িতে গিয়েছিলেন কিংবা বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে ছিলেন; তাঁদের সবাই গতকাল/////// বৃহস্পতিবারের রাতের মধ্যেই কর্মস্থলে পৌঁছেছেন।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে কর্মস্থলে হাজির হয়েছি, কিন্তু মনে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
পুলিশের সাধারণ সদস্যরা বলছেন, ‘আমাদের দোষ কোথায়? আমরা হুকুমের গোলাম। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে অধিকাংশ পুলিশ সদস্যেরও মৌন সম্মতি ছিল। এ সময় তারা সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।’
তাঁরা বলেন, ‘নিম্ন পদস্থ পুলিশ সদস্যরা আমরা ১১ দফা দাবি জানিয়েছি।’ এসব যৌক্তিক দাবি পূরণের অনুরোধ জানান তাঁরা। পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরবে নতুন পুলিশ দেখবে সাধারণ মানুষ—এমন অঙ্গীকার নিয়ে পুলিশ কাজে নামবে এমনটিই আশা করছেন তাঁরা।
আজ সকাল থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুরের ১৩টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়েছেন।
সরকার পতনের খবরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বোচাগঞ্জ থানা। এ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, বিক্ষুব্ধ লোকজন থানার সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। থানাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বসবার মতো কোনো চেয়ার-টেবিল ও পরিবেশ ছিল না। ইতিমধ্যে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করা হয়েছে। উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আমীরুল হক থানায় ১০টি চেয়ার ও দুটি টেবিল পাঠিয়েছেন।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিরামপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মোমিনুল ইসলাম বলেন, থানার সব সদস্য উপস্থিত আছেন। বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাবাহিনীর সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একসঙ্গে কর্মস্থলে প্রবেশ করবেন।
খানসামা থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানান, দ্রুতই থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, পুলিশ সদস্যরা প্রায় সবাই উপস্থিত হয়েছেন। দু-একজন আছেন যাঁদের বাড়ি দূরে কিংবা ছুটিতে আছেন; তাঁরাও আজ বিকেলের মধ্যে ফিরবেন। আপাতত শুধু দাপ্তরিক কাজকর্ম চলছে। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।
এ সময় তিনি দিনাজপুরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় মানুষ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় অনেক ভূমিকা রেখেছেন। থানাগুলো পাহারা দিয়েছেন দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। পুলিশ আগামীতে কাজের মাধ্যমে এর প্রতিদান দেবেন—এমন প্রত্যাশা করেন পুলিশ সুপার।
বুধবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, লিটন ১৭ বছর আগে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। এ ঘটনায় বাঘা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
১৮ মিনিট আগেশহীদ দুলাল সরদারের স্ত্রী মোসা. তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে, এই মাটিতে তাদের যেন বিচার হয় এবং সকল খুনিদের যেন ফাঁসি হয়। সরকারের কাছে এইটুকুই আমার চাওয়া। সরকার অনেক সহযোগিতা করেছে, এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তারপরও চারটি সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
২৬ মিনিট আগেনাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে তরমুজ পাম্প এলাকায় মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো দুজন।
১ ঘণ্টা আগেহায়দার আলী ভবনের সামনে হাজারো মানুষ, তিন পাশে শিক্ষার্থীদের মানবদেয়াল। দূর থেকে হাজার চোখ উঁকি দিচ্ছে ভবনের দিকে। প্রশিক্ষণ বিমানের আঘাতে এফোঁড়-ওফোঁড় হওয়া ভবনের বিশাল জায়গাজুড়ে দেয়ালে ক্ষত। মেঝের নিচে বিশাল গর্ত। সেই গর্তে জমে রয়েছে পানি। ভবনটির সামনে ছড়ানো-ছিটানো শিক্ষার্থীদের পোড়া বই, লেখা...
২ ঘণ্টা আগে