Ajker Patrika

 ১৫ মিনিটের ঝড়ে নীলফামারীতে দুই শতাধিক ঘর লন্ডভন্ড

নীলফামারী প্রতিনিধি
 ১৫ মিনিটের ঝড়ে নীলফামারীতে দুই শতাধিক ঘর লন্ডভন্ড

নীলফামারীতে ঝড়ে তিন ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। এ সময় উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠে থাকা পাকা ধান, ভুট্টা ও কলা খেত। 

গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ও টুপামারী এবং জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ওই ঝড় বয়ে যায়। 

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা জানায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে আকস্মিকভাবে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবল বেগে ঝড় বয়ে আসে। প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ওই ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এ সময় লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি, টুপামারী ইউনিয়নের নিত্যানন্দী এবং জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়। শিলাবৃষ্টিতে ঝরে পড়েছে মাঠের পাকা বোরো ধান। 

জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আজ মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক কাচা ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে বড়-ছোট সাত শতাধিক গাছপালা। প্রবল বাতাসে এলাকার কলা ও ভুট্টা খেতের গাছ ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে ঝরে পড়েছে মাঠের পাকা বোরো ধান। 

এই ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। 

অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল ইসলাম জানান, ঝড়ে তাঁর ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামে প্রায় ২৫টি কাচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ছোট-বড় দুই শতাধিক গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। 

এদিকে ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্থানে তার ছিঁড়ে পড়লে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত। 

বিদ্যুতের নেসকো নীলফামারী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজার এলাকায় কয়েকটি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। সেগুলো মেরামত কাজ চলছে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে শতভাগ মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে। 

নীলফামারী সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ও টুপামারী ইউনিয়নের দুটি গ্রামের ওপর দিয়ে ওই ঝড় বয়ে যায়। এতে সামান্য কিছু ক্ষতি হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। 

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে জেলা সদরের একটি গ্রামে ধান ও কলা খেতের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে থাকা অন্যান্য ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত