Ajker Patrika

ভারতের ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি, দাম পড়বে ৭০ টাকা কেজি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
ভারতের ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি, দাম পড়বে ৭০ টাকা কেজি

ভারত সরকার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে সব রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে এই বন্দরের ১০ জন আমদানিকারক কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সংগনিরোধ থেকে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। 

তবে পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা বলছেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত যে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে, তাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম পড়বে কেজি প্রতি ৭০ টাকার ওপর। 

গতকাল রোববার সকাল থেকে শুরু করে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত এই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পত্র (আইপি) ইস্যু করা হয়েছে বলে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধকেন্দ্র সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আরও বেশ কয়েকজন আমদানিকারকের আইপি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। যা আজ কালের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যেতে পারে। 

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। মূলত ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি গত শনিবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরপর থেকেই পেঁয়াজ আমদানির জন্য হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করতে শুরু করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর আইপি ইস্যু করছেন।’ 

ইউসুফ আলী আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই হিলি স্থলবন্দরের ১০ জন আমদানিকারক ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে আগে যাদের আইপি নেওয়া রয়েছে তাঁদের মেয়াদ থাকলে সেটি দিয়ে তাঁরা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। আর যাদের মেয়াদ পার হয়ে গেছে তাঁরা মেয়াদ বাড়িয়ে আমদানি করতে পারবেন।’ 

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত সরকার পূর্বে পেঁয়াজ রপ্তানিতে যে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছিল, সেটি এখনো প্রত্যাহার করেনি। তাদের কাস্টমসের সার্ভারে সেই শুল্ক এখনো দেখাচ্ছে। যদি সেই শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় তাতে করে আমাদের দেশে পেঁয়াজ এসে পরতা পড়ছে ৭০ টাকার ওপরে। কিন্তু দেশীয় পেঁয়াজ এখনো তার চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এই কারণে আমরা এখনো পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে পারিনি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয় রপ্তানিকারকের সঙ্গে কথা বলছি। তারাও কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন শুল্কের বিষয়টি নিয়ে। শুল্ক আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। আর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত