রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে এক দাখিল মাদ্রাসার মাঠ দখল করে রাস্তা নির্মাণের খোয়া ভাঙা হচ্ছে। এতে ওই মাদ্রাসার চলমান বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তারা বলছে, ইটের খোয়া ভাঙার শব্দের মধ্যে পরীক্ষায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না তারা।
গত সাত দিন ধরে এ চিত্র দেখা গেছে রাণীশংকৈলের চাপোড় পার্বতীপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে। নির্মাণ শ্রমিকেরা বলছেন, আরও ১৫–২০ দিন অবস্থা চলবে।
মাদ্রাসা সভাপতি বলছেন, এক গাড়ি ইটের বিনিময়ে মাদ্রাসার মাঠটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে, ওই এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করতে এক গাড়ি ইট চাওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে মাঠটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার মাদ্রাসায় সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদ্রাসা মাঠের অর্ধেক অংশ জুড়ে ইটের স্তূপ করে রাখা হয়েছে। একাধিকবার ইটের গাড়ি চলাচল করার কারণে বিদ্যালয় প্রবেশের প্রধান ফটক ও মাঠে ধুলোবালু ভরে গেছে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। স্তূপ করে রাখা ইটগুলো হাতুড়ি দিয়ে খোয়া ভাঙছেন কয়েকজন শ্রমিক।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রমজান আলী বলেন, কয়েক দিনের জন্য মাঠটিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এটি মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জানেন।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক গাড়ি ইটের বিনিময়ে তাঁদের মাদ্রাসার মাঠটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে, তাই মাঠে খেলাধুলা বন্ধ থাকার সুবাদে মাঠটি ঠিকাদারকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।
সেখানে কথা হয় কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, কয়েক দিন ধরেই খোয়া ভাঙার কাজ করছেন। আরও ১৫–২০ দিন ভাঙতে হবে। এক কিলোমিটার সড়কের জন্য খোয়া প্রয়োজন। সে জন্য অনেক খোয়া ভাঙতে হবে। আর হাতুড়ি দিয়ে খোয়া ভাঙলে তো শব্দ হবেই।
এদিকে খোয়া ভাঙার শব্দ দূষণে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানায়, পরীক্ষার সময় ইটের খোয়া ভাঙার শব্দে মাথা ব্যথা শুরু হয়। পরীক্ষার পরিবেশ নীরব থাকা দরকার। কিন্তু মাদ্রাসা মাঠে এমন শব্দের কারণে মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। খোয়া ভাঙার শব্দ অত্যন্ত বিরক্তিকর।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চাপোড় পার্বতীপুর মাদ্রাসা থেকে পার্বতীপুর লেহেম্বা রাস্তা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজটি বাস্তবায়ন করছে এম এস অটো রাইস মিলের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এতে প্রায় এক কোটি ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৩ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এস অটো রাইস মিলের ঠিকাদার আব্দুস সামাদ মোবাইল ফোনে বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে রাস্তা নির্মাণের মালামাল রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে খোয়া ভাঙা চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় মসজিদ নির্মাণের জন্য মাঠ ব্যবহারের বিনিময়ে এক গাড়ি ইট চেয়েছেন। তা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তোবারক আলী বলেন, ‘ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে গিয়ে মাঠের মধ্যে ঠিকাদারি মালামাল রাখতে দেখেছি। সে সময় সুপারকে বলেছিলাম এগুলো সরাতে। যেহেতু এখনো মালামালগুলো অপসারণ হয়নি। তাই সুপারকে আবারও বলা হবে ওই মালামাল সরানোর জন্য।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখন জানলাম। উপজেলা এলজিইডির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে এক দাখিল মাদ্রাসার মাঠ দখল করে রাস্তা নির্মাণের খোয়া ভাঙা হচ্ছে। এতে ওই মাদ্রাসার চলমান বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তারা বলছে, ইটের খোয়া ভাঙার শব্দের মধ্যে পরীক্ষায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না তারা।
গত সাত দিন ধরে এ চিত্র দেখা গেছে রাণীশংকৈলের চাপোড় পার্বতীপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে। নির্মাণ শ্রমিকেরা বলছেন, আরও ১৫–২০ দিন অবস্থা চলবে।
মাদ্রাসা সভাপতি বলছেন, এক গাড়ি ইটের বিনিময়ে মাদ্রাসার মাঠটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে, ওই এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করতে এক গাড়ি ইট চাওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে মাঠটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার মাদ্রাসায় সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদ্রাসা মাঠের অর্ধেক অংশ জুড়ে ইটের স্তূপ করে রাখা হয়েছে। একাধিকবার ইটের গাড়ি চলাচল করার কারণে বিদ্যালয় প্রবেশের প্রধান ফটক ও মাঠে ধুলোবালু ভরে গেছে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। স্তূপ করে রাখা ইটগুলো হাতুড়ি দিয়ে খোয়া ভাঙছেন কয়েকজন শ্রমিক।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রমজান আলী বলেন, কয়েক দিনের জন্য মাঠটিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এটি মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জানেন।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক গাড়ি ইটের বিনিময়ে তাঁদের মাদ্রাসার মাঠটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে, তাই মাঠে খেলাধুলা বন্ধ থাকার সুবাদে মাঠটি ঠিকাদারকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।
সেখানে কথা হয় কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, কয়েক দিন ধরেই খোয়া ভাঙার কাজ করছেন। আরও ১৫–২০ দিন ভাঙতে হবে। এক কিলোমিটার সড়কের জন্য খোয়া প্রয়োজন। সে জন্য অনেক খোয়া ভাঙতে হবে। আর হাতুড়ি দিয়ে খোয়া ভাঙলে তো শব্দ হবেই।
এদিকে খোয়া ভাঙার শব্দ দূষণে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানায়, পরীক্ষার সময় ইটের খোয়া ভাঙার শব্দে মাথা ব্যথা শুরু হয়। পরীক্ষার পরিবেশ নীরব থাকা দরকার। কিন্তু মাদ্রাসা মাঠে এমন শব্দের কারণে মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। খোয়া ভাঙার শব্দ অত্যন্ত বিরক্তিকর।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চাপোড় পার্বতীপুর মাদ্রাসা থেকে পার্বতীপুর লেহেম্বা রাস্তা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজটি বাস্তবায়ন করছে এম এস অটো রাইস মিলের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এতে প্রায় এক কোটি ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৩ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এস অটো রাইস মিলের ঠিকাদার আব্দুস সামাদ মোবাইল ফোনে বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে রাস্তা নির্মাণের মালামাল রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে খোয়া ভাঙা চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় মসজিদ নির্মাণের জন্য মাঠ ব্যবহারের বিনিময়ে এক গাড়ি ইট চেয়েছেন। তা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তোবারক আলী বলেন, ‘ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে গিয়ে মাঠের মধ্যে ঠিকাদারি মালামাল রাখতে দেখেছি। সে সময় সুপারকে বলেছিলাম এগুলো সরাতে। যেহেতু এখনো মালামালগুলো অপসারণ হয়নি। তাই সুপারকে আবারও বলা হবে ওই মালামাল সরানোর জন্য।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখন জানলাম। উপজেলা এলজিইডির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে