Ajker Patrika

গাছের গোড়ায় কাফনের কাপড় জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের নীরব প্রতিবাদ 

বেরোবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা স্মারক মাঠের তেঁতুল গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কেটে ফেলা গাছের গোড়ার চতুর্দিকে কাফনের কাপড় জড়িয়ে নীরব প্রতিবাদ জানান তারা।

জানা যায়, স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা উদ্বোধনের সময় তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী তেঁতুল গাছটি রোপণ করেছিলেন। গাছটি গত সোমবার (১০ অক্টোবর) কেটে ফেলা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুহিন ওয়াদুদ তার নিজের গাছ লাগানোর জন্য এমনটি করেছেন। তেঁতুল গাছের পাশে তিনি একটা অন্য প্রজাতির গাছ লাগিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। সেই গাছটি তেঁতুল গাছের নিচে চাপা পড়ার কারণে তিনি এমনটি করেছেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের গাছকে বেশি প্রাধান্য দেন। অপরিকল্পিতভাবে সব সময় যেখানে সেখানে গাছ রোপণ করে থাকেন।

গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষার্থীরা গাছটির গোড়ার অংশের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।

মামুন শাকিল নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, এই গাঁথুনি ঘেরা ওয়ালের একটা ইতিহাস আছে। স্বাধীনতা স্মারক উদ্বোধনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

কেটে ফেলা গাছের গোড়ার চতুর্দিকে কাফনের কাপড় পেঁচিয়ে নীরব প্রতিবাদ জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরামো. মেহেদী হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গাছের সঙ্গে কিসের শত্রুতা! খুবই নিন্দনীয় কাজ।

ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাহামুদ আল ফয়সাল বলেন, তুহিন ওয়াদুদ স্যার গাছটি কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার বিজয় সড়কের স্তম্ভের ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। একটা লোক এসে কুড়াল নিয়ে গাছে কোপ দিল। কে গাছ কাটতে বলেছে জানতে চাইলে লোকটি তুহিন ওয়াদুদ স্যারের কথা বলেন। তুহিন ওয়াদুদ স্যার স্টেজের ওখানে ছিলেন। তিনি আমার দিকে তাকান এবং ওই লোককে গাছ কাটতে বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক এ কে মুশফিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি নূর-উন-নবী স্যার গাছটি রোপণ করেছিলেন। সেটি আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম জন্মদিনে কেটে ফেলা হলো এবং ইটের বেষ্টনীটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যা সত্যি খুবই নিন্দনীয়। শিক্ষিত মহলের থেকে এটা মোটেও কাম্য নয়। এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুহিন ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু পরে ফোন দেন কথা বলছি।’ এরপর কয়েকবার চেষ্টা করলেও তিনি আর কল রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদকে কয়েকবার মুঠোফোনে ফোনকল করেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত