আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জ খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত ১৮৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) সরকারি চাল একটি গদিঘরের উঠান থেকে উদ্ধার করেছেন ইউএনও মো. মিজানুর রহমান। পরে চালগুলো সরকারি খাদ্যগুদামে রাখা হয়। ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাটির তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংকে। তবে চাল পাচারের সঙ্গে খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জড়িত আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার তাঁদের দিয়েই তদন্ত করায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রলিতে নিয়ে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকায় বাপ্পি সাহা তাঁর ব্যক্তিগত গদিঘরে রাখছিলেন। এ সময় এলাকার মানুষ ট্রলিসহ চালের বস্তা আটক করে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গদিঘরের উঠানে ট্রলিতে রাখা সরকারি খাদ্যগুদামের সীলমোহরযুক্ত ১৫৬ বস্তা চাল উদ্ধার করে তাঁর কার্যালয়ে নেন। পরদিন বুধবার বিকেলে আবারও ইউএনও ওই গদিঘরে অভিযান চালিয়ে ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। পরের দুই দিনের উদ্ধার করা ১৮৩ বস্তা চাল সরকারি খাদ্যগুদামে রাখেন। তবে ওই চাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে দুই ধরনের।
কেউ অভিযোগ করে বলছেন, সরকারি গুদাম কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বাপ্পী সাহা সরকারি গুদামে নিম্নমানের চাল দিয়ে (রদবদল করে) গুদামের ভালো চাল নিয়ে যান। এ ধরনের ব্যবসা তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। আবার কেউ বলছেন, উপজেলায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচির পাঁচ মাসের চাল ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বিতরণের জন্য সরকারি গুদাম থেকে তুলছেন। সেখান থেকে কোনো এক চেয়ারম্যান চাল তুলে অসৎ উদ্দেশ্যে পরিষদে না নিয়ে বাপ্পী সাহার কাছে বিক্রি করেছেন।
তবে চাল উদ্ধারের পর ইউএনও মো. মিজানুর রহমান ঘটনাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘খাদ্যনিয়ন্ত্রক চাইবেন না তদন্তে সঠিকটা বেরিয়ে আসুক। কারণ সঠিক বিষয়টি বেরিয়ে এলে ওই ব্যবসায়ীর আগে তিনি (খাদ্যনিয়ন্ত্রক) ও সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধরা খাবেন। এ কারণে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়-ছয়ভাবে তদন্ত করে বলবেন ওই চাল সরকারি নয়।’
আরেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রশাসন সরকারি চাল উদ্ধার করেছেন, বিধি মোতাবেক মামলা করবেন, আদালতে প্রমাণিত হবে ওই চাল কোথাকার ।’
তবে চাল ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রায়হান কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। আমি ওই ব্যবসায়ীকে কোনো গুদাম থেকে চাল দিইনি। এখানে ওই দিন গুদাম থেকে বেশ কিছু ইউপি চেয়ারম্যান চাল তুলে নিয়ে গেছেন। যদি কেউ বাইরে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে চাল দেন, তাহলে এর দায় তাঁকেই নিতে হবে।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং বলেন, ‘আমি কিছুটা তদন্ত করেছি, ওই চাল সরকারি মনে হচ্ছে না। বাপ্পী সাহা মিল পার্টনার, তাঁর কাছে সরকারি সিলমোহরযুক্ত বস্তায় চাল থাকতেই পারে। তবে ওই ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনো তাঁর বক্তব্য নিতে পারিনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইউএনও জনগণের কথায় চাল আটক করেছেন। তবে আমি সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।’ মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাল তো আমি আটক করিনি।’
তবে ইউএনও মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ঘটনায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি খাদ্যনিয়ন্ত্রককে। তিনি এখনো কেন মামলা করেননি তা দেখছি।’
গত শুক্রবার বিকেলে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত বদরগঞ্জ সরকারি গুদাম থেকে ১৬ মেট্রিকটন সরকারি চাল পাচার করে বাপ্পী সাহার ওই গদিঘরে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিষয়টি জানতে পারলে তৎকালীন সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এ নিয়ে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘১৬ মেট্রিকটন চাল পাচার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে আশরাফুল ইসলামকে ওসিএলএসডি কার্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

রংপুরের বদরগঞ্জ খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত ১৮৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) সরকারি চাল একটি গদিঘরের উঠান থেকে উদ্ধার করেছেন ইউএনও মো. মিজানুর রহমান। পরে চালগুলো সরকারি খাদ্যগুদামে রাখা হয়। ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাটির তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংকে। তবে চাল পাচারের সঙ্গে খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জড়িত আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার তাঁদের দিয়েই তদন্ত করায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রলিতে নিয়ে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকায় বাপ্পি সাহা তাঁর ব্যক্তিগত গদিঘরে রাখছিলেন। এ সময় এলাকার মানুষ ট্রলিসহ চালের বস্তা আটক করে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গদিঘরের উঠানে ট্রলিতে রাখা সরকারি খাদ্যগুদামের সীলমোহরযুক্ত ১৫৬ বস্তা চাল উদ্ধার করে তাঁর কার্যালয়ে নেন। পরদিন বুধবার বিকেলে আবারও ইউএনও ওই গদিঘরে অভিযান চালিয়ে ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। পরের দুই দিনের উদ্ধার করা ১৮৩ বস্তা চাল সরকারি খাদ্যগুদামে রাখেন। তবে ওই চাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে দুই ধরনের।
কেউ অভিযোগ করে বলছেন, সরকারি গুদাম কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বাপ্পী সাহা সরকারি গুদামে নিম্নমানের চাল দিয়ে (রদবদল করে) গুদামের ভালো চাল নিয়ে যান। এ ধরনের ব্যবসা তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। আবার কেউ বলছেন, উপজেলায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচির পাঁচ মাসের চাল ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বিতরণের জন্য সরকারি গুদাম থেকে তুলছেন। সেখান থেকে কোনো এক চেয়ারম্যান চাল তুলে অসৎ উদ্দেশ্যে পরিষদে না নিয়ে বাপ্পী সাহার কাছে বিক্রি করেছেন।
তবে চাল উদ্ধারের পর ইউএনও মো. মিজানুর রহমান ঘটনাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘খাদ্যনিয়ন্ত্রক চাইবেন না তদন্তে সঠিকটা বেরিয়ে আসুক। কারণ সঠিক বিষয়টি বেরিয়ে এলে ওই ব্যবসায়ীর আগে তিনি (খাদ্যনিয়ন্ত্রক) ও সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধরা খাবেন। এ কারণে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়-ছয়ভাবে তদন্ত করে বলবেন ওই চাল সরকারি নয়।’
আরেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রশাসন সরকারি চাল উদ্ধার করেছেন, বিধি মোতাবেক মামলা করবেন, আদালতে প্রমাণিত হবে ওই চাল কোথাকার ।’
তবে চাল ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রায়হান কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। আমি ওই ব্যবসায়ীকে কোনো গুদাম থেকে চাল দিইনি। এখানে ওই দিন গুদাম থেকে বেশ কিছু ইউপি চেয়ারম্যান চাল তুলে নিয়ে গেছেন। যদি কেউ বাইরে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে চাল দেন, তাহলে এর দায় তাঁকেই নিতে হবে।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং বলেন, ‘আমি কিছুটা তদন্ত করেছি, ওই চাল সরকারি মনে হচ্ছে না। বাপ্পী সাহা মিল পার্টনার, তাঁর কাছে সরকারি সিলমোহরযুক্ত বস্তায় চাল থাকতেই পারে। তবে ওই ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনো তাঁর বক্তব্য নিতে পারিনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইউএনও জনগণের কথায় চাল আটক করেছেন। তবে আমি সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।’ মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাল তো আমি আটক করিনি।’
তবে ইউএনও মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ঘটনায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি খাদ্যনিয়ন্ত্রককে। তিনি এখনো কেন মামলা করেননি তা দেখছি।’
গত শুক্রবার বিকেলে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত বদরগঞ্জ সরকারি গুদাম থেকে ১৬ মেট্রিকটন সরকারি চাল পাচার করে বাপ্পী সাহার ওই গদিঘরে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিষয়টি জানতে পারলে তৎকালীন সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এ নিয়ে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘১৬ মেট্রিকটন চাল পাচার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে আশরাফুল ইসলামকে ওসিএলএসডি কার্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জ খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত ১৮৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) সরকারি চাল একটি গদিঘরের উঠান থেকে উদ্ধার করেছেন ইউএনও মো. মিজানুর রহমান। পরে চালগুলো সরকারি খাদ্যগুদামে রাখা হয়। ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাটির তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংকে। তবে চাল পাচারের সঙ্গে খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জড়িত আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার তাঁদের দিয়েই তদন্ত করায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রলিতে নিয়ে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকায় বাপ্পি সাহা তাঁর ব্যক্তিগত গদিঘরে রাখছিলেন। এ সময় এলাকার মানুষ ট্রলিসহ চালের বস্তা আটক করে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গদিঘরের উঠানে ট্রলিতে রাখা সরকারি খাদ্যগুদামের সীলমোহরযুক্ত ১৫৬ বস্তা চাল উদ্ধার করে তাঁর কার্যালয়ে নেন। পরদিন বুধবার বিকেলে আবারও ইউএনও ওই গদিঘরে অভিযান চালিয়ে ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। পরের দুই দিনের উদ্ধার করা ১৮৩ বস্তা চাল সরকারি খাদ্যগুদামে রাখেন। তবে ওই চাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে দুই ধরনের।
কেউ অভিযোগ করে বলছেন, সরকারি গুদাম কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বাপ্পী সাহা সরকারি গুদামে নিম্নমানের চাল দিয়ে (রদবদল করে) গুদামের ভালো চাল নিয়ে যান। এ ধরনের ব্যবসা তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। আবার কেউ বলছেন, উপজেলায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচির পাঁচ মাসের চাল ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বিতরণের জন্য সরকারি গুদাম থেকে তুলছেন। সেখান থেকে কোনো এক চেয়ারম্যান চাল তুলে অসৎ উদ্দেশ্যে পরিষদে না নিয়ে বাপ্পী সাহার কাছে বিক্রি করেছেন।
তবে চাল উদ্ধারের পর ইউএনও মো. মিজানুর রহমান ঘটনাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘খাদ্যনিয়ন্ত্রক চাইবেন না তদন্তে সঠিকটা বেরিয়ে আসুক। কারণ সঠিক বিষয়টি বেরিয়ে এলে ওই ব্যবসায়ীর আগে তিনি (খাদ্যনিয়ন্ত্রক) ও সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধরা খাবেন। এ কারণে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়-ছয়ভাবে তদন্ত করে বলবেন ওই চাল সরকারি নয়।’
আরেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রশাসন সরকারি চাল উদ্ধার করেছেন, বিধি মোতাবেক মামলা করবেন, আদালতে প্রমাণিত হবে ওই চাল কোথাকার ।’
তবে চাল ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রায়হান কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। আমি ওই ব্যবসায়ীকে কোনো গুদাম থেকে চাল দিইনি। এখানে ওই দিন গুদাম থেকে বেশ কিছু ইউপি চেয়ারম্যান চাল তুলে নিয়ে গেছেন। যদি কেউ বাইরে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে চাল দেন, তাহলে এর দায় তাঁকেই নিতে হবে।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং বলেন, ‘আমি কিছুটা তদন্ত করেছি, ওই চাল সরকারি মনে হচ্ছে না। বাপ্পী সাহা মিল পার্টনার, তাঁর কাছে সরকারি সিলমোহরযুক্ত বস্তায় চাল থাকতেই পারে। তবে ওই ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনো তাঁর বক্তব্য নিতে পারিনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইউএনও জনগণের কথায় চাল আটক করেছেন। তবে আমি সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।’ মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাল তো আমি আটক করিনি।’
তবে ইউএনও মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ঘটনায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি খাদ্যনিয়ন্ত্রককে। তিনি এখনো কেন মামলা করেননি তা দেখছি।’
গত শুক্রবার বিকেলে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত বদরগঞ্জ সরকারি গুদাম থেকে ১৬ মেট্রিকটন সরকারি চাল পাচার করে বাপ্পী সাহার ওই গদিঘরে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিষয়টি জানতে পারলে তৎকালীন সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এ নিয়ে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘১৬ মেট্রিকটন চাল পাচার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে আশরাফুল ইসলামকে ওসিএলএসডি কার্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

রংপুরের বদরগঞ্জ খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত ১৮৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) সরকারি চাল একটি গদিঘরের উঠান থেকে উদ্ধার করেছেন ইউএনও মো. মিজানুর রহমান। পরে চালগুলো সরকারি খাদ্যগুদামে রাখা হয়। ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাটির তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংকে। তবে চাল পাচারের সঙ্গে খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জড়িত আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার তাঁদের দিয়েই তদন্ত করায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রলিতে নিয়ে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকায় বাপ্পি সাহা তাঁর ব্যক্তিগত গদিঘরে রাখছিলেন। এ সময় এলাকার মানুষ ট্রলিসহ চালের বস্তা আটক করে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গদিঘরের উঠানে ট্রলিতে রাখা সরকারি খাদ্যগুদামের সীলমোহরযুক্ত ১৫৬ বস্তা চাল উদ্ধার করে তাঁর কার্যালয়ে নেন। পরদিন বুধবার বিকেলে আবারও ইউএনও ওই গদিঘরে অভিযান চালিয়ে ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। পরের দুই দিনের উদ্ধার করা ১৮৩ বস্তা চাল সরকারি খাদ্যগুদামে রাখেন। তবে ওই চাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে দুই ধরনের।
কেউ অভিযোগ করে বলছেন, সরকারি গুদাম কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বাপ্পী সাহা সরকারি গুদামে নিম্নমানের চাল দিয়ে (রদবদল করে) গুদামের ভালো চাল নিয়ে যান। এ ধরনের ব্যবসা তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। আবার কেউ বলছেন, উপজেলায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচির পাঁচ মাসের চাল ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বিতরণের জন্য সরকারি গুদাম থেকে তুলছেন। সেখান থেকে কোনো এক চেয়ারম্যান চাল তুলে অসৎ উদ্দেশ্যে পরিষদে না নিয়ে বাপ্পী সাহার কাছে বিক্রি করেছেন।
তবে চাল উদ্ধারের পর ইউএনও মো. মিজানুর রহমান ঘটনাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘খাদ্যনিয়ন্ত্রক চাইবেন না তদন্তে সঠিকটা বেরিয়ে আসুক। কারণ সঠিক বিষয়টি বেরিয়ে এলে ওই ব্যবসায়ীর আগে তিনি (খাদ্যনিয়ন্ত্রক) ও সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধরা খাবেন। এ কারণে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়-ছয়ভাবে তদন্ত করে বলবেন ওই চাল সরকারি নয়।’
আরেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রশাসন সরকারি চাল উদ্ধার করেছেন, বিধি মোতাবেক মামলা করবেন, আদালতে প্রমাণিত হবে ওই চাল কোথাকার ।’
তবে চাল ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রায়হান কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। আমি ওই ব্যবসায়ীকে কোনো গুদাম থেকে চাল দিইনি। এখানে ওই দিন গুদাম থেকে বেশ কিছু ইউপি চেয়ারম্যান চাল তুলে নিয়ে গেছেন। যদি কেউ বাইরে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে চাল দেন, তাহলে এর দায় তাঁকেই নিতে হবে।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং বলেন, ‘আমি কিছুটা তদন্ত করেছি, ওই চাল সরকারি মনে হচ্ছে না। বাপ্পী সাহা মিল পার্টনার, তাঁর কাছে সরকারি সিলমোহরযুক্ত বস্তায় চাল থাকতেই পারে। তবে ওই ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনো তাঁর বক্তব্য নিতে পারিনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইউএনও জনগণের কথায় চাল আটক করেছেন। তবে আমি সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।’ মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাল তো আমি আটক করিনি।’
তবে ইউএনও মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ঘটনায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি খাদ্যনিয়ন্ত্রককে। তিনি এখনো কেন মামলা করেননি তা দেখছি।’
গত শুক্রবার বিকেলে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত বদরগঞ্জ সরকারি গুদাম থেকে ১৬ মেট্রিকটন সরকারি চাল পাচার করে বাপ্পী সাহার ওই গদিঘরে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিষয়টি জানতে পারলে তৎকালীন সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এ নিয়ে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘১৬ মেট্রিকটন চাল পাচার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে আশরাফুল ইসলামকে ওসিএলএসডি কার্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৭ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৬ মিনিট আগেনওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএডিসি ডিলার মেসার্স সরকার ট্রেডার্সের মালিক লিপি রানী সরকার নওগাঁ বিএডিসি গুদাম থেকে বিকেলে সারগুলো নিয়ে রাতে ধামইরহাট এলাকায় যান। এলাকাবাসী ট্রাকটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে সারগুলোর বৈধ গন্তব্য ও বিতরণপত্র দেখাতে না পারায় জনতার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তারা পুলিশ ও কৃষি বিভাগকে জানায়। ধামইরহাট থানা-পুলিশ ও উপজেলা কৃষি বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার, ট্রাক ও চালককে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, সারগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএডিসি ডিলার মেসার্স সরকার ট্রেডার্সের মালিক লিপি রানী সরকার নওগাঁ বিএডিসি গুদাম থেকে বিকেলে সারগুলো নিয়ে রাতে ধামইরহাট এলাকায় যান। এলাকাবাসী ট্রাকটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে সারগুলোর বৈধ গন্তব্য ও বিতরণপত্র দেখাতে না পারায় জনতার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তারা পুলিশ ও কৃষি বিভাগকে জানায়। ধামইরহাট থানা-পুলিশ ও উপজেলা কৃষি বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার, ট্রাক ও চালককে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, সারগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রলিতে নিয়ে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকায় বাপ্পি সাহা তাঁর ব্যক্তিগত গদিঘরে রাখছিলেন। এ সময় এলাকার মানুষ ট্রলিসহ চালের বস্তা আটক করে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গদিঘরের উঠানে ট্রলিতে রাখা...
২৪ মে ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৭ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৬ মিনিট আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রলিতে নিয়ে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকায় বাপ্পি সাহা তাঁর ব্যক্তিগত গদিঘরে রাখছিলেন। এ সময় এলাকার মানুষ ট্রলিসহ চালের বস্তা আটক করে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গদিঘরের উঠানে ট্রলিতে রাখা...
২৪ মে ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৬ মিনিট আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রলিতে নিয়ে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকায় বাপ্পি সাহা তাঁর ব্যক্তিগত গদিঘরে রাখছিলেন। এ সময় এলাকার মানুষ ট্রলিসহ চালের বস্তা আটক করে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গদিঘরের উঠানে ট্রলিতে রাখা...
২৪ মে ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৭ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৬ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রলিতে নিয়ে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকায় বাপ্পি সাহা তাঁর ব্যক্তিগত গদিঘরে রাখছিলেন। এ সময় এলাকার মানুষ ট্রলিসহ চালের বস্তা আটক করে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গদিঘরের উঠানে ট্রলিতে রাখা...
২৪ মে ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৭ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০ মিনিট আগে