Ajker Patrika

রাবিতে শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ছাত্রের বহিষ্কার দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, ১৫: ৪১
রাবিতে শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ছাত্রের বহিষ্কার দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের আশিক উল্লাহ নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। তিনি মাস্টার্সের ছাত্র। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভাগের সভাপতির কক্ষে তাঁকে দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন অন্য শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে তাঁকে বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আইন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে চতুর্থ বর্ষের ক্লাস নিচ্ছিলেন অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দীকা। এ সময় ইমপ্রুভমেন্টের কথা বলে ক্লাসে প্রবেশ করেন মাস্টার্সের ছাত্র আশিক উল্লাহ। কিন্তু তাঁর কোনো ইমপ্রুভমেন্ট ছিল না। ক্লাসের শেষের দিকে তিনি আসমা সিদ্দীকাকে বিব্রত করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকেন। একপর্যায়ে ক্লাস থেকে বের হতে গেলে আশিক দরজা লাগিয়ে তাঁকে মারধর করার জন্য উদ্ধত হন। পরে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ক্লাসরুমে আটকে রেখে আসমা সিদ্দীকাকে নিরাপদে উদ্ধার করেন। পরে আশিককে বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।  

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, আশিক উল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। প্রকাশ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষিকার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে এবং অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

এ বিষয়ে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আশিক উল্লাহর বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছনার আরও অভিযোগ রয়েছে। তিনি আজ বিভাগের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন এবং তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। আমরা তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’ 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দীকা বলেন, ‘আমি চতুর্থ বর্ষের ক্লাস শেষ করে বের হতে গেলেই আশিক উল্লাহ আমার পথ রোধ করেন। এ সময় ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি তাঁকে চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। কিন্তু তিনি তা না শুনেই আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। নিয়মিত তিনি বিভিন্ন শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবি করেন।’

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিয়েছি। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সেই কমিটির প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন চাইব। সেই সঙ্গে তিনি যেন পরীক্ষা দিতে না পারেন, সেই ব্যবস্থাও করব আমরা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

৩ আগস্ট বিমানবন্দরে বাধা পান তাপস, হাসিনাকে অনুরোধ করেন অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে- অডিও ফাঁস

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত