শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
আমার কর্মস্থল আজকের পত্রিকা অফিস বনশ্রী এলাকার এক মাথায়। বাসা আরেক মাথায়। অনেকেই হয়তো জানেন, বনশ্রী-রামপুরা ছিল রাজধানীতে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সেই সময়ের ‘হট স্পটগুলোর’ একটি। প্রতিদিন আমি এই হট স্পট পাড়ি দিয়ে অফিসে যাতায়াত করতাম। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শেষ কয়েক দিনের নানা ছবি মনের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে রয়েছে।
৫ আগস্টের তিন-চার দিন আগের কথা। বিটিভি থেকে শুরু করে মেরাদিয়া পর্যন্ত বনশ্রীর বিভিন্ন গলি ছিল খুদে ‘গেরিলাদের’ দখলে। বনশ্রী-স্টাফ কোয়ার্টার মেইন রোড পুলিশ ও বিজিবির দখলে। আর গলিগুলো দখল করেছে ছাত্র-জনতা। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা মেইন রোডের দিকে এগোয়। পুলিশ গুলি ছোড়ে। তারা পেছায়। একদিন আমার সামনে এক বিক্ষোভকারী কুড়িয়ে নিলেন কয়েকটি গুলির খোসা। আরেক দিন ফরাজী হাসপাতালের পেছনের গলি দিয়ে অফিসের দিকে যাচ্ছি। সব গলিতে ছাত্র-জনতার ভিড়। হঠাৎ দেখলাম, একটি অটোতে করে নিয়ে আসা হয়েছে আহত একজনকে। একজন চিৎকার করে বলছে, ‘ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে হবে, ফরাজীতে হবে না।’ অটোটা ছুটল মেইন রোডের দিকে। কিন্তু একজন বলল, ‘রামপুরা রোডে বিজিবি, পুলিশ আছে। দেখলে মেরে ফেলবে।’
৫ আগস্টের আগের রাত। ১১টা বাজতে একটু বাকি। দক্ষিণ বনশ্রীর ১০ তলা মার্কেটের সামনের রাস্তায় শিশু থেকে নানা বয়সী লোকের ভিড়। দড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালানো। সবাই পথের বুকে গ্রাফিতি আঁকছে। চোখেমুখে একই সঙ্গে বিদ্রোহের আগুন আর শঙ্কা। সামনে কী হবে?
অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি থাকলেও ৫ আগস্ট সকাল হতেই ছোট ছোট দল বের হলো এলাকার বিভিন্ন গলি দিয়ে। পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে তারা জড়ো হবে শাহবাগে। ক্রমে বেলা গড়িয়ে দুপুর। শোনা যাচ্ছে, লাখো মানুষ ছুটেছে ঢাকার পথে। একসময় খবর এল, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বনশ্রীর রাস্তাগুলো দিয়ে যেন পিঁপড়ার মতো মানুষের ঢল নামল। হাতে হাতে জাতীয় পতাকা। রামপুরা ব্রিজের কাছে গেলাম। লোকে লোকারণ্য। রামপুরা পুলিশ ফাঁড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দোতলায় উঠে জাতীয় পতাকা দোলাচ্ছেন কিছু তরুণ। মালিবাগ, বনশ্রী ও বাড্ডা থেকে হাজার হাজার লোক এসে ভরে গেল রামপুরা ব্রিজ। সবার মুখে স্বস্তি, উচ্ছ্বাস। এই উচ্ছ্বাস দম বন্ধ করা দীর্ঘ স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির।
আমার কর্মস্থল আজকের পত্রিকা অফিস বনশ্রী এলাকার এক মাথায়। বাসা আরেক মাথায়। অনেকেই হয়তো জানেন, বনশ্রী-রামপুরা ছিল রাজধানীতে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সেই সময়ের ‘হট স্পটগুলোর’ একটি। প্রতিদিন আমি এই হট স্পট পাড়ি দিয়ে অফিসে যাতায়াত করতাম। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শেষ কয়েক দিনের নানা ছবি মনের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে রয়েছে।
৫ আগস্টের তিন-চার দিন আগের কথা। বিটিভি থেকে শুরু করে মেরাদিয়া পর্যন্ত বনশ্রীর বিভিন্ন গলি ছিল খুদে ‘গেরিলাদের’ দখলে। বনশ্রী-স্টাফ কোয়ার্টার মেইন রোড পুলিশ ও বিজিবির দখলে। আর গলিগুলো দখল করেছে ছাত্র-জনতা। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা মেইন রোডের দিকে এগোয়। পুলিশ গুলি ছোড়ে। তারা পেছায়। একদিন আমার সামনে এক বিক্ষোভকারী কুড়িয়ে নিলেন কয়েকটি গুলির খোসা। আরেক দিন ফরাজী হাসপাতালের পেছনের গলি দিয়ে অফিসের দিকে যাচ্ছি। সব গলিতে ছাত্র-জনতার ভিড়। হঠাৎ দেখলাম, একটি অটোতে করে নিয়ে আসা হয়েছে আহত একজনকে। একজন চিৎকার করে বলছে, ‘ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে হবে, ফরাজীতে হবে না।’ অটোটা ছুটল মেইন রোডের দিকে। কিন্তু একজন বলল, ‘রামপুরা রোডে বিজিবি, পুলিশ আছে। দেখলে মেরে ফেলবে।’
৫ আগস্টের আগের রাত। ১১টা বাজতে একটু বাকি। দক্ষিণ বনশ্রীর ১০ তলা মার্কেটের সামনের রাস্তায় শিশু থেকে নানা বয়সী লোকের ভিড়। দড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালানো। সবাই পথের বুকে গ্রাফিতি আঁকছে। চোখেমুখে একই সঙ্গে বিদ্রোহের আগুন আর শঙ্কা। সামনে কী হবে?
অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি থাকলেও ৫ আগস্ট সকাল হতেই ছোট ছোট দল বের হলো এলাকার বিভিন্ন গলি দিয়ে। পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে তারা জড়ো হবে শাহবাগে। ক্রমে বেলা গড়িয়ে দুপুর। শোনা যাচ্ছে, লাখো মানুষ ছুটেছে ঢাকার পথে। একসময় খবর এল, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বনশ্রীর রাস্তাগুলো দিয়ে যেন পিঁপড়ার মতো মানুষের ঢল নামল। হাতে হাতে জাতীয় পতাকা। রামপুরা ব্রিজের কাছে গেলাম। লোকে লোকারণ্য। রামপুরা পুলিশ ফাঁড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দোতলায় উঠে জাতীয় পতাকা দোলাচ্ছেন কিছু তরুণ। মালিবাগ, বনশ্রী ও বাড্ডা থেকে হাজার হাজার লোক এসে ভরে গেল রামপুরা ব্রিজ। সবার মুখে স্বস্তি, উচ্ছ্বাস। এই উচ্ছ্বাস দম বন্ধ করা দীর্ঘ স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির।
গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ৪৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং ৭৩ জন সাবেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা
২৫ মিনিট আগেমঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেউ জমি তৈরি করছেন, কেউবা আগাছা পরিষ্কার করে সার দিচ্ছেন। অনেকেই রোপণের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা সেচ ছাড়া আমন ধান চাষের স্বপ্ন দেখছেন।
২৭ মিনিট আগেতিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনলাসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঠিক আগে মুগ্ধ আন্দোলনকারীদের জন্য পানি ও বিস্কুট নিয়ে বলে যাচ্ছিলেন, পানি লাগবে? পানি? মুগ্ধর পানি নিয়ে ফেরি করার এ ভিডিও সে সময় আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। তার মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয়েছি
৩১ মিনিট আগেশেখ পরিবারের সবাই চোর-ডাকাত। শেখ মুজিবের ছেলে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম ব্যাংক ডাকাতি করেছে। তার মেয়ে ১৪টি ব্যাংক ডাকাতি করেছে। সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের কাজ না করে বিল তুলে নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে। শুধু পিরোজপুরের রাস্তাঘাটের কাজ না করেই ছাব্বিশ শ’ কোটি টাকা চুরি করে নিয়েছে তারা।
১ ঘণ্টা আগে