Ajker Patrika

‘অসংখ্য চামড়া অবিক্রীত পড়ে আছে, কেউ কিনতে আসেননি’

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় এবারও কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনা চলছে অনেক কম দামে। শহরে চামড়া বিক্রি হলেও গ্রামে ক্রেতার অভাবে চামড়া পড়ে আছে। গরুর চামড়া কম টাকায় বিক্রি হলেও ছাগল ও ভেড়ার চামড়া কেউ কিনছেন না।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়ে রনিসহ কয়েকজন চামড়া ক্রেতা জানান, তাঁরা ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা পর্যন্ত গরুর চামড়া কিনছেন। এবার পশু কোরবানি কম হওয়ায় চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।

গাবতলী উপজেলার লাঠিগঞ্জ গ্রামের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সায়েদ আলী গ্রাম থেকে বেশ কয়েকটি গরু এবং ছাগলের চামড়া কিনে ভ্যানে নিয়ে শহরে বিক্রি করতে আসেন। বেলা ২টা পর্যন্ত তিনি চামড়া বিক্রি করতে পারেননি।

সায়েদ আলী বলেন, ‘যেখানেই যাই, কেনা দামও বলে না। দুপুরের পর বগুড়া শহরে চামড়ার বাজারে ধস নামায় মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, লাভ তো দূরের কথা, মূলধন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।’

বিকেল পর্যন্ত বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বসে আছেন। কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় তাঁরা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না।

বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের ৯৬ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া বাড়িতেই পড়ে আছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চামড়া কিনতে কেউ আসেননি। শুধু তাই নয়, ঘোলাগাড়ি গ্রামে অসংখ্য চামড়া অবিক্রীত পড়ে আছে।’

স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন ব্যয়, লবণ, সংরক্ষণ সুবিধার ঘাটতি এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, সরকারের কার্যকর নজরদারি না থাকলে প্রতিবছরই এভাবে চামড়ার বাজারে ধস নামবে।

শহরের চামড়া ব্যবসায়ী জুয়েল রানা বলেন, ‘চামড়া সংরক্ষণের খরচ, পরিবহন সব মিলিয়ে আমরা আর টিকতে পারছি না। বছরের এই একটা সময়ই ব্যবসা করি। এবার লাভ তো করতেই পারিনি, উল্টো ক্ষতিতে পড়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত