বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় সবজির বাজারে ধস নেমেছে। সবজির দাম ব্যাপক কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের সুবিধা হলেও বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। সবজি বিক্রি করে হাটের খাজনার টাকা না ওঠায় অনেকে রাস্তায় মুলা, বেগুন ফেলে রেখে যাচ্ছেন। আজ বুধবার বগুড়ার মহাস্থানগড় সবজির হাটে এ চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বগুড়া থেকে সবজি ঢাকায় পাঠাতে ট্রাকপ্রতি খরচ হয় ২২ হাজার টাকা। লোকসানের ভয়ে অনেকে ঢাকায় সবজি পাঠাচ্ছেন না। একদিকে ঢাকায় পাঠিয়ে লোকসানের ভয়, অন্যদিকে স্থানীয় বাজারেও দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
মহাস্থান হাটে গিয়ে দেখা যায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ২০০ টাকা মণ। মুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। অথচ রোজা শুরুর আগে পাইকারি বাজারে মুলা ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মণ, বেগুন ছিল ১৪০০-১৫০০ টাকা।
মহাস্থান গড়ের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘অনেক কৃষক ভয়ে জমিতেই যাচ্ছেন না। আমি ২০ মণ মুলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এক বস্তা মুলা হাটে নিতেই খরচ হয় ১০০ টাকা। আগে কোনো রমজানে সবজির দাম এত কমে যেতে দেখিনি।’
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের কৃষক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পাঁচ মণ বেগুন জমি থেকে তুলেছি। বেগুনগুলো ৬০ টাকা খরচ করে চান্দাইকোনা পাইকারি বাজারে নিয়ে যাই। সেখানে ২ টাকা কেজি দামে কিছু বেগুন বিক্রি করার পর ক্রেতা না থাকায় হাটে বেগুন ফেলে রেখে চলে আসি।’
পাইকারি বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন, মুলা ছাড়াও প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, গাজর ১০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫ টাকা, ক্ষীরা ২০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি পাঁচ-সাত টাকা প্রতিটি।
বগুড়া সদর উপজেলার নূরইল গ্রামের কৃষক শাহীন আলম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বেগুন হয় ১০০ মণ। বেগুন চাষ করে কখনো লোকসান গুনতে হয় না, কিন্তু বর্তমান দাম যদি আরও দুই সপ্তাহ থাকে, তাহলে কৃষকের অনেক লোকসান হবে।’
মহাস্থান কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৭ টন গাজর কিনেছিলাম ১৫ টাকা কেজি দরে। পরে ২ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে ১০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। রমজানের কারণে বগুড়ার বাইরে যাচ্ছে না সবজি। ঢাকায় এক ট্রাক সবজি পাঠাতে ভাড়া লাগে ২২ হাজার টাকা। লোকসানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা ঢাকায় সবজি পাঠাচ্ছেন না।’
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, রোজা শুরুর চার দিন পর্যন্ত সবকিছুর দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত তিন-চার দিন ধরে সব ধরনের সবজির দাম অনেক কমে গেছে।
এ বিষয়ে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বগুড়ায় এবার রবি মৌসুমে সবজির চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। এবার ফলনও হয়েছে ভালো। মৌসুমের শুরুতে সবজি চাষ করে কৃষক ভালো দাম পেয়েছেন। এখন মৌসুম শেষ, এ কারণে দাম কমে যেতে পারে। এখনো ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজি রয়েছে।
বগুড়ায় সবজির বাজারে ধস নেমেছে। সবজির দাম ব্যাপক কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের সুবিধা হলেও বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। সবজি বিক্রি করে হাটের খাজনার টাকা না ওঠায় অনেকে রাস্তায় মুলা, বেগুন ফেলে রেখে যাচ্ছেন। আজ বুধবার বগুড়ার মহাস্থানগড় সবজির হাটে এ চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বগুড়া থেকে সবজি ঢাকায় পাঠাতে ট্রাকপ্রতি খরচ হয় ২২ হাজার টাকা। লোকসানের ভয়ে অনেকে ঢাকায় সবজি পাঠাচ্ছেন না। একদিকে ঢাকায় পাঠিয়ে লোকসানের ভয়, অন্যদিকে স্থানীয় বাজারেও দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
মহাস্থান হাটে গিয়ে দেখা যায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ২০০ টাকা মণ। মুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। অথচ রোজা শুরুর আগে পাইকারি বাজারে মুলা ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মণ, বেগুন ছিল ১৪০০-১৫০০ টাকা।
মহাস্থান গড়ের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘অনেক কৃষক ভয়ে জমিতেই যাচ্ছেন না। আমি ২০ মণ মুলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এক বস্তা মুলা হাটে নিতেই খরচ হয় ১০০ টাকা। আগে কোনো রমজানে সবজির দাম এত কমে যেতে দেখিনি।’
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের কৃষক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পাঁচ মণ বেগুন জমি থেকে তুলেছি। বেগুনগুলো ৬০ টাকা খরচ করে চান্দাইকোনা পাইকারি বাজারে নিয়ে যাই। সেখানে ২ টাকা কেজি দামে কিছু বেগুন বিক্রি করার পর ক্রেতা না থাকায় হাটে বেগুন ফেলে রেখে চলে আসি।’
পাইকারি বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন, মুলা ছাড়াও প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, গাজর ১০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫ টাকা, ক্ষীরা ২০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি পাঁচ-সাত টাকা প্রতিটি।
বগুড়া সদর উপজেলার নূরইল গ্রামের কৃষক শাহীন আলম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বেগুন হয় ১০০ মণ। বেগুন চাষ করে কখনো লোকসান গুনতে হয় না, কিন্তু বর্তমান দাম যদি আরও দুই সপ্তাহ থাকে, তাহলে কৃষকের অনেক লোকসান হবে।’
মহাস্থান কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৭ টন গাজর কিনেছিলাম ১৫ টাকা কেজি দরে। পরে ২ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে ১০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। রমজানের কারণে বগুড়ার বাইরে যাচ্ছে না সবজি। ঢাকায় এক ট্রাক সবজি পাঠাতে ভাড়া লাগে ২২ হাজার টাকা। লোকসানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা ঢাকায় সবজি পাঠাচ্ছেন না।’
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, রোজা শুরুর চার দিন পর্যন্ত সবকিছুর দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত তিন-চার দিন ধরে সব ধরনের সবজির দাম অনেক কমে গেছে।
এ বিষয়ে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বগুড়ায় এবার রবি মৌসুমে সবজির চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। এবার ফলনও হয়েছে ভালো। মৌসুমের শুরুতে সবজি চাষ করে কৃষক ভালো দাম পেয়েছেন। এখন মৌসুম শেষ, এ কারণে দাম কমে যেতে পারে। এখনো ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজি রয়েছে।
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৪৪ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে