সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপাকে নিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বিএনপিতে বিভেদ দেখা দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কাজীপুরে আসেননি কনকচাঁপা। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ (কাজীপুর) আসন থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। কিন্তু তিনি কাজীপুরে ঢুকতে পারেননি। দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানেরমুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কাজীপুরের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন কনকচাঁপা। কাজীপুর উপজেলা বিএনপির একটি অংশ এখন কনকচাঁপার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, দল ও নেতা–কর্মীদের দুঃসময়ে কনকচাঁপার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি যোগাযোগ বন্ধ রেখেছিলেন।
২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৬৯ তম জন্মদিনে গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় প্লেব্যাক শিল্পী কনকচাঁপা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ–১) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান। আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কনকচাঁপা আর কাজীপুরে আসেননি।
২০২০ সালের ১৩ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর উপ–নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত পান বর্তমান কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা। সেলিম রেজাই কাজীপুর বিএনপির হাল ধরে রেখেছেন।
দীর্ঘ দিন পর গত ৩ জানুয়ারি কাজীপুরে আসেন কনকচাঁপা। তিনি কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী, মাইজবাড়ি, ঢেকুরিয়া বাজারে জনসংযোগ করেন। ৪ জানুয়ারি কাজীপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। তবে তাঁর সঙ্গে কাজীপুর উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির কেউ ছিলেন না।
তবে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, কাজীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক তরফদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস সবুর উপস্থিত ছিলেন।
কম্বল বিতরণকালে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমার শৈশব কেটেছে এই কাজীপুরের মাটিতে। এই জন্মভূমিতে মিশে আছে আমার বাপ–দাদার স্মৃতি। আজও পরিবার–পরিজন নিয়ে এই মাটিতে বসবাস করছে আমার আপন ভাই তরু মোর্শেদসহ আত্মীয়স্বজন। মাইজবাড়ির পৈতৃক বাড়িটি যমুনায় বিলীন হওয়ায় আমাকে লক্ষ্মীপুরে ভাইয়ের বাড়িতেই উঠতে হয়। আমি মনে করি, মাইজবাড়ির প্রত্যেকটি বাড়িই আমার বাড়ি। কাজীপুরে আমার নিজ নামে কোনো বাড়ি নেই। তাই আমি দ্রুত কাজীপুরবাসীর পাশে থাকার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করব।’
কনকচাঁপার কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান। তিনি বলেন, ‘কনকচাঁপা এসেছিলেন, আমরা তাঁকে সহযোগিতা করেছি। দলের ভেতর দ্বন্দ্ব হলে তারাই (অপরপক্ষ) করেছে। কনকচাঁপা বিএনপি করেন। এজন্য আমরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছি।’
দীর্ঘদিন পর কনকচাঁপার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা কারো বিরোধিতা করছি না। তবে সত্য হলো, বিএনপি এবং দলের দুঃসময়ে কনকচাঁপা দলীয় নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন না। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দলীয় নেতা–কর্মীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। ২০১৮ সালে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও কাজীপুরে ঢুকতে পারেননি। এখন সুসময়ে তিনি কাজীপুরে এসেছেন। তবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
এ বিষয়ে মন্তব্য চাইতে কনকচাঁপার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেন তাঁর স্বামী। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কনকচাঁপাকে ফোন দিতে রাজি হননি। পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে সংযোগ কেটে দেন কনকচাঁপার স্বামী।
কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপাকে নিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বিএনপিতে বিভেদ দেখা দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কাজীপুরে আসেননি কনকচাঁপা। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ (কাজীপুর) আসন থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। কিন্তু তিনি কাজীপুরে ঢুকতে পারেননি। দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানেরমুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কাজীপুরের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন কনকচাঁপা। কাজীপুর উপজেলা বিএনপির একটি অংশ এখন কনকচাঁপার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, দল ও নেতা–কর্মীদের দুঃসময়ে কনকচাঁপার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি যোগাযোগ বন্ধ রেখেছিলেন।
২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৬৯ তম জন্মদিনে গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় প্লেব্যাক শিল্পী কনকচাঁপা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ–১) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান। আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কনকচাঁপা আর কাজীপুরে আসেননি।
২০২০ সালের ১৩ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর উপ–নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত পান বর্তমান কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা। সেলিম রেজাই কাজীপুর বিএনপির হাল ধরে রেখেছেন।
দীর্ঘ দিন পর গত ৩ জানুয়ারি কাজীপুরে আসেন কনকচাঁপা। তিনি কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী, মাইজবাড়ি, ঢেকুরিয়া বাজারে জনসংযোগ করেন। ৪ জানুয়ারি কাজীপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। তবে তাঁর সঙ্গে কাজীপুর উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির কেউ ছিলেন না।
তবে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, কাজীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক তরফদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস সবুর উপস্থিত ছিলেন।
কম্বল বিতরণকালে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমার শৈশব কেটেছে এই কাজীপুরের মাটিতে। এই জন্মভূমিতে মিশে আছে আমার বাপ–দাদার স্মৃতি। আজও পরিবার–পরিজন নিয়ে এই মাটিতে বসবাস করছে আমার আপন ভাই তরু মোর্শেদসহ আত্মীয়স্বজন। মাইজবাড়ির পৈতৃক বাড়িটি যমুনায় বিলীন হওয়ায় আমাকে লক্ষ্মীপুরে ভাইয়ের বাড়িতেই উঠতে হয়। আমি মনে করি, মাইজবাড়ির প্রত্যেকটি বাড়িই আমার বাড়ি। কাজীপুরে আমার নিজ নামে কোনো বাড়ি নেই। তাই আমি দ্রুত কাজীপুরবাসীর পাশে থাকার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করব।’
কনকচাঁপার কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান। তিনি বলেন, ‘কনকচাঁপা এসেছিলেন, আমরা তাঁকে সহযোগিতা করেছি। দলের ভেতর দ্বন্দ্ব হলে তারাই (অপরপক্ষ) করেছে। কনকচাঁপা বিএনপি করেন। এজন্য আমরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছি।’
দীর্ঘদিন পর কনকচাঁপার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা কারো বিরোধিতা করছি না। তবে সত্য হলো, বিএনপি এবং দলের দুঃসময়ে কনকচাঁপা দলীয় নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন না। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দলীয় নেতা–কর্মীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। ২০১৮ সালে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও কাজীপুরে ঢুকতে পারেননি। এখন সুসময়ে তিনি কাজীপুরে এসেছেন। তবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
এ বিষয়ে মন্তব্য চাইতে কনকচাঁপার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেন তাঁর স্বামী। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কনকচাঁপাকে ফোন দিতে রাজি হননি। পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে সংযোগ কেটে দেন কনকচাঁপার স্বামী।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে লাঙ্গুলিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানিপ্রবাহ। বাড়ছে কৃষি ও পরিবেশ বিপর্যয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হচ্ছে অসাধু চক্রটি। তবে এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা
১ মিনিট আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক ও জনপদের শত কোটি টাকার জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ খাবার হোটেল। এগুলো ট্রাক হোটেল নামে পরিচিত। আর এই হোটেল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ মিনিট আগেপটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আলোচিত কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তার ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ইমরান মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল জেলার এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর মাহমুদের স্বপদে ফেরার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষিপ্ত ইউনিয়নবাসী তাঁকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। গত শুক্র ও শনিবারের পর আজ রোববার তাঁকে শক্ত হাতে প্রতিহতের এ ঘোষণা
৩ ঘণ্টা আগে