টাঙ্গাইলের লাঙ্গুলিয়া নদী
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের বাসাইলে লাঙ্গুলিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানিপ্রবাহ। বাড়ছে কৃষি ও পরিবেশ বিপর্যয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হচ্ছে অসাধু চক্রটি। তবে এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কাউলজানি ও মান্দারজানি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাউলজানি পুরোনো বাজারের পাশে বংশাই নদ থেকে উৎপত্তি হওয়া লাঙ্গুলিয়া নদীর উৎসমুখে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এরপর নদীর ভাটিতে ১ কিলোমিটারের মধ্যে আরও তিনটি বাঁধ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করে যাচ্ছেন প্রভাবশালীরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই যুগ আগে উপজেলার কাউলজানি পুরোনো বাজার এলাকায় বংশাই নদ থেকে উৎপত্তি হওয়া লাঙ্গুলিয়ার উৎসমুখে দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে তৎকালীন সংসদ সদস্য বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সেতুর পরিবর্তে বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করেন। এরপর প্রথমে তাঁর লোকজন সেখানে মাছ চাষ শুরু করেন। ক্ষমতার পালাবদলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দখলে নিয়ে এক যুগের বেশি সময় ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর এখন নতুন করে আরেকটি চক্র দখলের চেষ্টায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এদিকে বংশাই নদের লাঙ্গুলিয়া নদী হয়ে বাসাইল উত্তরপাড়ায় মরাগাঙ্গি নদী ও কাশিল পূর্বপাড়ায় ঝিনাই নদে গিয়ে মিলিত হয়েছে। কিন্তু নদীতে বাঁধের কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় ভাটি এলাকার অর্ধশত গ্রামের কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বোরো ধান, পাট, মৌসুমি ফসল চাষ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নৌপরিবহন বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা শিগগিরই বাঁধগুলো অপসারণ করে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় বাসিন্দা খসরু মিয়া, আব্দুল খালেক, তোফাজ্জল ও শহীদ মিয়া বলেন, নদীতে বাঁধের ফলে দেশীয় মাছ কমে যাচ্ছে। গোখাদ্য-সংকটের পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে।
নদীতীরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, শুকুর, ময়না, হাসানসহ আরও কয়েকজন বলেন, ‘দীর্ঘদিন নদীর এই অংশটি ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় আমরা নদীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আর যেন কেউ দখল-বাণিজ্য করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেতু নির্মাণের আগপর্যন্ত মসজিদের উন্নয়নের জন্য মসজিদ কমিটিকে মাছ চাষের অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. পান্নু মিয়া বলেন, ‘এই বাঁধটি দিয়েছিলেন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। এটি তাঁর মনগড়া প্রজেক্ট ছিল। এই বাঁধটির কারণে মান্দারজানি, কাউলজানি, বাদিয়াজান, বার্থা, ফুলবাড়ীসহ অনেক গ্রামের মানুষ অসুবিধায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সঠিক সময়ে পানি না আসায় এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বাঁধটি ভেঙে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করলে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কোনো সুযোগ নেই। এটা আইনের লঙ্ঘন। নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের যে বিষয়টি এসেছে, এটা মূলত টেকনিক্যাল বিষয় হবে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেলে টেকনিক্যাল টিম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তর যারা রয়েছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করা হবে। যদি এই অভিযোগের ভিত্তি পাওয়া যায়, তাহলে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নদীর গতিপথ সচল করতে হলে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। এতে নদীর গতিপথ সচল হবে।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে লাঙ্গুলিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানিপ্রবাহ। বাড়ছে কৃষি ও পরিবেশ বিপর্যয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হচ্ছে অসাধু চক্রটি। তবে এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কাউলজানি ও মান্দারজানি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাউলজানি পুরোনো বাজারের পাশে বংশাই নদ থেকে উৎপত্তি হওয়া লাঙ্গুলিয়া নদীর উৎসমুখে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এরপর নদীর ভাটিতে ১ কিলোমিটারের মধ্যে আরও তিনটি বাঁধ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করে যাচ্ছেন প্রভাবশালীরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই যুগ আগে উপজেলার কাউলজানি পুরোনো বাজার এলাকায় বংশাই নদ থেকে উৎপত্তি হওয়া লাঙ্গুলিয়ার উৎসমুখে দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে তৎকালীন সংসদ সদস্য বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সেতুর পরিবর্তে বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করেন। এরপর প্রথমে তাঁর লোকজন সেখানে মাছ চাষ শুরু করেন। ক্ষমতার পালাবদলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দখলে নিয়ে এক যুগের বেশি সময় ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর এখন নতুন করে আরেকটি চক্র দখলের চেষ্টায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এদিকে বংশাই নদের লাঙ্গুলিয়া নদী হয়ে বাসাইল উত্তরপাড়ায় মরাগাঙ্গি নদী ও কাশিল পূর্বপাড়ায় ঝিনাই নদে গিয়ে মিলিত হয়েছে। কিন্তু নদীতে বাঁধের কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় ভাটি এলাকার অর্ধশত গ্রামের কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বোরো ধান, পাট, মৌসুমি ফসল চাষ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নৌপরিবহন বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা শিগগিরই বাঁধগুলো অপসারণ করে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় বাসিন্দা খসরু মিয়া, আব্দুল খালেক, তোফাজ্জল ও শহীদ মিয়া বলেন, নদীতে বাঁধের ফলে দেশীয় মাছ কমে যাচ্ছে। গোখাদ্য-সংকটের পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে।
নদীতীরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, শুকুর, ময়না, হাসানসহ আরও কয়েকজন বলেন, ‘দীর্ঘদিন নদীর এই অংশটি ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় আমরা নদীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আর যেন কেউ দখল-বাণিজ্য করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেতু নির্মাণের আগপর্যন্ত মসজিদের উন্নয়নের জন্য মসজিদ কমিটিকে মাছ চাষের অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. পান্নু মিয়া বলেন, ‘এই বাঁধটি দিয়েছিলেন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। এটি তাঁর মনগড়া প্রজেক্ট ছিল। এই বাঁধটির কারণে মান্দারজানি, কাউলজানি, বাদিয়াজান, বার্থা, ফুলবাড়ীসহ অনেক গ্রামের মানুষ অসুবিধায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সঠিক সময়ে পানি না আসায় এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বাঁধটি ভেঙে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করলে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কোনো সুযোগ নেই। এটা আইনের লঙ্ঘন। নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের যে বিষয়টি এসেছে, এটা মূলত টেকনিক্যাল বিষয় হবে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেলে টেকনিক্যাল টিম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তর যারা রয়েছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করা হবে। যদি এই অভিযোগের ভিত্তি পাওয়া যায়, তাহলে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নদীর গতিপথ সচল করতে হলে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। এতে নদীর গতিপথ সচল হবে।
বরিশালের উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা। উপজেলর আহ্বায়ক সরদার সরফুদ্দিন সান্টুর বাড়ির অদুরে তার মালিকাধীন কমিউনিটি সেন্টারে আজ রোববার বানারীপাড়া এবং সোমবার উজিরপুরের সম্মেলন হবে।
৪২ মিনিট আগেপুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শরীফুল আলম ও জুবায়ের তাদের প্রাইভেটকার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। এ সময় গাড়িটি তল্লাশি করে শরীফুল ও জুবায়েরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুজনের সিটের মাঝখানে থাকা গাড়ির টুলবক্স থেকে স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। কফি রঙের ছোট ব্যাগে থাকা ১৩টি স্বর্ণবারের ওজন ১ কেজি...
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আপনি কথা দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেবেন, নির্বাচনের আয়োজন করুন। কেউ যদি চাপ দেয় বা বাধা দেয়, বিএনপি আপনার পাশে থাকবে।’ শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ এবং...
১ ঘণ্টা আগেমুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমাদের বা আমার কোনো আপস নেই। জামায়াত যে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাসংগ্রামকে অস্বীকার করে, এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। কারণ, আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে কমান্ডার ছিলাম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’
১ ঘণ্টা আগে