Ajker Patrika

ধামইরহাট সীমান্তে ভারত-বাংলার মিলনমেলা, হাজারো মানুষের ঢল

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ২০: ৩৩
ধামইরহাট সীমান্তে ভারত-বাংলার মিলনমেলা, হাজারো মানুষের ঢল

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার তালানদর সীমান্ত এলাকায় দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ভারত ও বাংলাদেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ এক ঘণ্টা সময় পেয়ে একত্র হন। এ সময় দীর্ঘদিন পর আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় সবাই আনন্দে-উৎসবে মেতে ওঠেন। তবে তারকাঁটার দুই পাশে স্বজনদের কাছে পেয়ে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। 

আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের তালানদর ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে এই মিলনমেলা শুরু হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই মিলনমেলা। 

মিলনমেলায় হাজারো মানুষ জড়ো হনসরেজমিন দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ বাংলাদেশের শেষ সীমানা বরাবর এসে জড়ো হতে থাকেন। এরপর দুপুরে সীমান্তের তারকাঁটার ওপার থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মিলনমেলা বন্ধ করা হয়। মাইকিংয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে জড়ো হওয়া সাধারণ মানুষকে ঘরে ফিরে যেতে বলা হয়। এ সময় ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে কাঁটাতারের ওপারে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় অনেককেই হতাশ হয়ে ঘরে ফিরে যেতে দেখা গেছে। 

কাঁটাতারের কাছে গিয়ে স্বজনদের দেখার প্রতীক্ষায় বাংলাদেশের স্বজনেরাতালানদর গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান, প্রতিবছর মাঘ মাসের শুরুতে এই মেলার আয়োজন করা হতো বিজিবির পক্ষ থেকে। তবে গত কয়েক বছর এই মেলা বন্ধ ছিল। আজ দুই পারের বাসিন্দাদের নিজ উদ্যোগে এই সমাগম ঘটেছে। পরিচিতজনদের সঙ্গে অনেক দিন বাদে দেখা করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে বলে জানান আনিস। 

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন একজন বৃদ্ধপত্নীতলা এলাকার শাহজাদপুর গ্রামের বৃদ্ধ অমূল্য লাকরা বলেন, ‘ভারতের তপন থানার নিমপুর গ্রামে আমার পরিবার-পরিজন আছে। ২০ বছর পর তাদের দেখতে এখানে এসেছি। কিন্তু তাদের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।’ 

কাঁটাতারের এপাশে মানুষের ঢলপার্শ্ববর্তী গ্রামের জালাল উদ্দিন নামে আরেকজন বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপারে ইন্ডিয়ার বালুরঘাট থানা রয়েছে। মূলত সেখানকার পরিচিতজনরা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে কাঁটাতারের কাছাকাছি এসেছেন। আজ আমাদের আনন্দের দিন।’ 

ভারতের স্বজনের দেখার অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশের স্বজনেরানওগাঁ ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম নাদিম আরিফিন সুমন জানান, এবারের এই মিলনমেলায় বিজিবি কিংবা বিএসএফের কোনো অংশগ্রহণ নেই। করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণের কথা বিবেচনায় নিয়ে সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও মানুষজন আবেগতাড়িত হয়ে সমবেত হয়েছেন। দুই দেশের মানুষ কাঁটাতারের কাছাকাছি এসে দেখা করেছেন। স্বাস্থ্যবিধির যাতে কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, সেদিকে কড়া নজরদারি আছে বিজিবির। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত