নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আওয়ামীপন্থী নন বলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক হতে পারেননি আবরর জাওয়াদ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। গত ১৮ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনি এই অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগকারী আবরর জাওয়াদ রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে তাঁর স্নাতক সম্পন্ন হয়। এখন স্নাতকোত্তর করছেন রুয়েটেই। গত বছর রুয়েটের ইইই বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ হয়। এ পদে তিনি একজন প্রার্থী ছিলেন। মতাদর্শের মিল না থাকায় ওই নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ জাওয়াদের।
অভিযোগপত্রে জাওয়াদ উল্লেখ করেছেন, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর প্রভাষক পদে ছয়টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ পদে তিনি আবেদন করেন। ২৩ ডিসেম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের মধ্যে ১৭ এবং মৌখিক পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনে ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ দশমিক ৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
রুয়েট কর্তৃপক্ষ সাকিব হোসেন, আসিফ জামান রিজভী, সুশান্ত বশাক, আরিফুল ইসলাম নামের চার প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়। আর দুটি পদ খালি রাখা হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও জাওয়াদকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে তাবলীগ জামাতের সাদপন্থী হওয়া ছাড়াও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। নিয়োগ বোর্ডে থাকা রুয়েটের ইইই বিভাগের প্রধান ড. সেলিম হোসেন ও ডুয়েটের ড. জাকির হোসেন সাদপন্থী। যাঁরা সাদপন্থী নন তাঁদের কম নম্বর দেওয়া হয়েছে।
আবরর জাওয়াদ অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমি একজন সাধারণ ছাত্র। আমি ও আমার পরিবার কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি লিখিত পরীক্ষায় ৩০-এর মধ্যে ১৭ এবং মৌখিক পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনে গড়ে ৯ দশমিক ৮ ও ২ দশমিক ৮ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হই। আমি আওয়ামী লীগপন্থী না হওয়ায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে মৌখিক ও প্রেজেন্টেশনে কম নম্বর দিয়ে এবং অন্যদের বেশি নম্বর দিয়ে আমাকে নিয়োগ বঞ্চিত করা হয়।’
অভিযোগে জাওয়াদ এই কারসাজি কীভাবে হয়েছে সেটিও তুলে ধরেছেন। মৌখিক পরীক্ষায় ও প্রেজেন্টেশন তাঁকে আওয়ামী লীগের সাদপন্থী ড. মো. সেলিম হোসেন ১০ নম্বর, সাদপন্থী ড. মো. জাকির হোসেন ১১ নম্বর ও আওয়ামীপন্থী উপাচার্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০ নম্বর দেন। অপরদিকে নিয়োগ বোর্ডের অপর দুই সদস্য ড. নরোত্তম কুমার রায় ১৭ নম্বর ও ড. মো. রবিউল ইসলাম ১৫ নম্বর দেন। তাঁরা আওয়ামীপন্থী নন। ড. সেলিম হোসেনের টেবুলেশন শিটে সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নম্বর প্রদানে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকলেও গোল দাগ চিহ্নিত পছন্দের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকভাবে বেশি নম্বর দিয়েছেন। তিনি ইতিপূর্বেও এ ধরনের নিয়োগসংক্রান্ত জালিয়াতিতে জড়িত ছিলেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়। কিন্তু দলীয় প্রভাবে রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জাওয়াদ উল্লেখ করেন, একই মৌখিক পরীক্ষায় আওয়ামীপন্থী ও আওয়ামীপন্থী নন এমন সাধারণ শিক্ষকদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য দেখা গেছে। তাতে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে অসৎ উদ্দেশ্যে মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পছন্দের প্রার্থীদের বেশি নম্বর দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। যেহেতু ছয়টি পদের মধ্যে চারটিতে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং দুটি পদ ফাঁকা আছে। তাই তিনি একটি পদে তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে। তিনি আশা করছেন, শিক্ষা উপদেষ্টা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আজ দুপুরে রুয়েট উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম ও ইইই বিভাগের প্রধান ড. সেলিম হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আওয়ামীপন্থী নন বলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক হতে পারেননি আবরর জাওয়াদ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। গত ১৮ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনি এই অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগকারী আবরর জাওয়াদ রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে তাঁর স্নাতক সম্পন্ন হয়। এখন স্নাতকোত্তর করছেন রুয়েটেই। গত বছর রুয়েটের ইইই বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ হয়। এ পদে তিনি একজন প্রার্থী ছিলেন। মতাদর্শের মিল না থাকায় ওই নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ জাওয়াদের।
অভিযোগপত্রে জাওয়াদ উল্লেখ করেছেন, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর প্রভাষক পদে ছয়টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ পদে তিনি আবেদন করেন। ২৩ ডিসেম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের মধ্যে ১৭ এবং মৌখিক পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনে ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ দশমিক ৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
রুয়েট কর্তৃপক্ষ সাকিব হোসেন, আসিফ জামান রিজভী, সুশান্ত বশাক, আরিফুল ইসলাম নামের চার প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়। আর দুটি পদ খালি রাখা হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও জাওয়াদকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে তাবলীগ জামাতের সাদপন্থী হওয়া ছাড়াও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। নিয়োগ বোর্ডে থাকা রুয়েটের ইইই বিভাগের প্রধান ড. সেলিম হোসেন ও ডুয়েটের ড. জাকির হোসেন সাদপন্থী। যাঁরা সাদপন্থী নন তাঁদের কম নম্বর দেওয়া হয়েছে।
আবরর জাওয়াদ অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমি একজন সাধারণ ছাত্র। আমি ও আমার পরিবার কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি লিখিত পরীক্ষায় ৩০-এর মধ্যে ১৭ এবং মৌখিক পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনে গড়ে ৯ দশমিক ৮ ও ২ দশমিক ৮ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হই। আমি আওয়ামী লীগপন্থী না হওয়ায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে মৌখিক ও প্রেজেন্টেশনে কম নম্বর দিয়ে এবং অন্যদের বেশি নম্বর দিয়ে আমাকে নিয়োগ বঞ্চিত করা হয়।’
অভিযোগে জাওয়াদ এই কারসাজি কীভাবে হয়েছে সেটিও তুলে ধরেছেন। মৌখিক পরীক্ষায় ও প্রেজেন্টেশন তাঁকে আওয়ামী লীগের সাদপন্থী ড. মো. সেলিম হোসেন ১০ নম্বর, সাদপন্থী ড. মো. জাকির হোসেন ১১ নম্বর ও আওয়ামীপন্থী উপাচার্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০ নম্বর দেন। অপরদিকে নিয়োগ বোর্ডের অপর দুই সদস্য ড. নরোত্তম কুমার রায় ১৭ নম্বর ও ড. মো. রবিউল ইসলাম ১৫ নম্বর দেন। তাঁরা আওয়ামীপন্থী নন। ড. সেলিম হোসেনের টেবুলেশন শিটে সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নম্বর প্রদানে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকলেও গোল দাগ চিহ্নিত পছন্দের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকভাবে বেশি নম্বর দিয়েছেন। তিনি ইতিপূর্বেও এ ধরনের নিয়োগসংক্রান্ত জালিয়াতিতে জড়িত ছিলেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়। কিন্তু দলীয় প্রভাবে রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জাওয়াদ উল্লেখ করেন, একই মৌখিক পরীক্ষায় আওয়ামীপন্থী ও আওয়ামীপন্থী নন এমন সাধারণ শিক্ষকদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য দেখা গেছে। তাতে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে অসৎ উদ্দেশ্যে মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পছন্দের প্রার্থীদের বেশি নম্বর দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। যেহেতু ছয়টি পদের মধ্যে চারটিতে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং দুটি পদ ফাঁকা আছে। তাই তিনি একটি পদে তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে। তিনি আশা করছেন, শিক্ষা উপদেষ্টা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আজ দুপুরে রুয়েট উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম ও ইইই বিভাগের প্রধান ড. সেলিম হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মোহন মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আহত যুবককে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবি শাখার সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান, তাহলে তাঁর বিষয়টি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না, সেটি দেখতে হবে। এত তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দিতে হবে কেন?’
২ ঘণ্টা আগেমো. মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও সংবাদপত্রসংক্রান্ত কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে