নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছে গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। এই জেলার চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া আম উপযোগী। তবে শঙ্কায় রয়েছেন নওগাঁর কৃষকেরা। আবহাওয়ার কারণে একই গাছে দু-তিনবার মুকুল ফুটছে। যদিও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আম ভালো হবে।
চার জেলায় এ পর্যন্ত গড়ে ২৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। ১৫-২০ দিন আগে প্রথম মুকুল আসে ব্যানানা জাতের আমে। এরপর ধীরে ধীরে অন্য গাছগুলোতে মুকুল ফোটা শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চার জেলায় গত মৌসুমে ৯৩ হাজার ২২৪ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাগান ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তারপর নওগাঁ, রাজশাহী ও নাটোরের অবস্থান। এ চার জেলায় উৎপাদিত হয়েছিল ১০ লাখ ২৮ হাজার ৮৪৫ টন আম। এবার কোনো লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়নি। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন, গত বছর আমের ‘অফ ইয়ার’ থাকায় এবার ‘অন ইয়ার’। অর্থাৎ আমের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় মুকুল আসার আগে থেকেই আমগাছের পরিচর্যা চলছে। মুকুল আসার পর চাষিদের ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। গাছে গাছে চলছে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার কাজ। পাশাপাশি আমগাছের গোড়া চক্রাকারে খুঁড়ে সেচও দেওয়া হচ্ছে গাছের গুটি টেকাতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে ২০ বিঘা জমিতে আমবাগান আছে ইসমাঈল খান শামিমের। তিনি বলেন, ‘এবার শীত কম, কুয়াশাও কম। আবহাওয়া ম্যাঙ্গো ফ্রেন্ডলি। গাছে গাছে আমের মুকুলও খুব ভালো আসছে।’
মৌসুমের শুরু থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আমচাষি আনোয়ার হোসেন পলাশ। তিনিও বলছেন, ‘আবহাওয়া খুব ভালো আছে। গাছে গাছে ব্যাপক মুকুল। কতটুকু টিকবে, ফলন কেমন হবে, তা এখনই বলতে পারছি না।’
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবহাওয়া নিয়ে চাষিদের আপত্তি না থাকলেও শঙ্কার কথা জানান নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার চাষি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় তাঁর ২০০ বিঘা জমিতে বাগান আছে। দেলোয়ার বলেন, ‘নওগাঁয় এবার কিছুদিন আগে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। তারপর আবার টানা শীত ও কুয়াশা চলছে। ফলে আমের মুকুল আসার ক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা নেই। একই গাছে দু-তিনবার মুকুল ফুটছে।’ তিনি জানান, মুকুল বেশি বের হয় তাপমাত্রা বেশি থাকলে। শুরুর দিকে যে মুকুলগুলো বের হয়েছিল, সেগুলো এখন নাকফুল কিংবা মটরদানার মতো গুটি বেঁধেছে। এখন আবার শীত ও কুয়াশার কারণে গুটি কালো হয়ে যাচ্ছে। এই গুটি টেকাতে এক গাছে কয়েকবার স্প্রে করতে হচ্ছে।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত মৌসুমে যে বাগানের আম দেরিতে নামানো হয়েছে, সে বাগানে মুকুলও দেরিতে আসবে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। ধীরে ধীরে সব গাছেই মুকুল চলে আসবে। গত বছর আমের ফলন কম ছিল। এবার কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে ফলন বেশি হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোতালেব হোসেন বলেন, ‘জাত, ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে মুকুল আগে-পিছে আসতে পারে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। এবার ফলন ভালো হবে আশা করছি।’
আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছে গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। এই জেলার চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া আম উপযোগী। তবে শঙ্কায় রয়েছেন নওগাঁর কৃষকেরা। আবহাওয়ার কারণে একই গাছে দু-তিনবার মুকুল ফুটছে। যদিও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আম ভালো হবে।
চার জেলায় এ পর্যন্ত গড়ে ২৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। ১৫-২০ দিন আগে প্রথম মুকুল আসে ব্যানানা জাতের আমে। এরপর ধীরে ধীরে অন্য গাছগুলোতে মুকুল ফোটা শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চার জেলায় গত মৌসুমে ৯৩ হাজার ২২৪ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাগান ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তারপর নওগাঁ, রাজশাহী ও নাটোরের অবস্থান। এ চার জেলায় উৎপাদিত হয়েছিল ১০ লাখ ২৮ হাজার ৮৪৫ টন আম। এবার কোনো লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়নি। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন, গত বছর আমের ‘অফ ইয়ার’ থাকায় এবার ‘অন ইয়ার’। অর্থাৎ আমের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় মুকুল আসার আগে থেকেই আমগাছের পরিচর্যা চলছে। মুকুল আসার পর চাষিদের ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। গাছে গাছে চলছে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার কাজ। পাশাপাশি আমগাছের গোড়া চক্রাকারে খুঁড়ে সেচও দেওয়া হচ্ছে গাছের গুটি টেকাতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে ২০ বিঘা জমিতে আমবাগান আছে ইসমাঈল খান শামিমের। তিনি বলেন, ‘এবার শীত কম, কুয়াশাও কম। আবহাওয়া ম্যাঙ্গো ফ্রেন্ডলি। গাছে গাছে আমের মুকুলও খুব ভালো আসছে।’
মৌসুমের শুরু থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আমচাষি আনোয়ার হোসেন পলাশ। তিনিও বলছেন, ‘আবহাওয়া খুব ভালো আছে। গাছে গাছে ব্যাপক মুকুল। কতটুকু টিকবে, ফলন কেমন হবে, তা এখনই বলতে পারছি না।’
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবহাওয়া নিয়ে চাষিদের আপত্তি না থাকলেও শঙ্কার কথা জানান নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার চাষি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় তাঁর ২০০ বিঘা জমিতে বাগান আছে। দেলোয়ার বলেন, ‘নওগাঁয় এবার কিছুদিন আগে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। তারপর আবার টানা শীত ও কুয়াশা চলছে। ফলে আমের মুকুল আসার ক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা নেই। একই গাছে দু-তিনবার মুকুল ফুটছে।’ তিনি জানান, মুকুল বেশি বের হয় তাপমাত্রা বেশি থাকলে। শুরুর দিকে যে মুকুলগুলো বের হয়েছিল, সেগুলো এখন নাকফুল কিংবা মটরদানার মতো গুটি বেঁধেছে। এখন আবার শীত ও কুয়াশার কারণে গুটি কালো হয়ে যাচ্ছে। এই গুটি টেকাতে এক গাছে কয়েকবার স্প্রে করতে হচ্ছে।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত মৌসুমে যে বাগানের আম দেরিতে নামানো হয়েছে, সে বাগানে মুকুলও দেরিতে আসবে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। ধীরে ধীরে সব গাছেই মুকুল চলে আসবে। গত বছর আমের ফলন কম ছিল। এবার কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে ফলন বেশি হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোতালেব হোসেন বলেন, ‘জাত, ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে মুকুল আগে-পিছে আসতে পারে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। এবার ফলন ভালো হবে আশা করছি।’
রাজশাহীতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হাট ইজারার টেন্ডার বাক্স ভেঙে সব দরপত্র লুট করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন ছুরিকাহতও হন। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলার পবা উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের এক ছাত্রকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ ১৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, সনদপত্র বাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের সাজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের ১০৫ সদস্য মিলে ‘বাঁশখালী মৎস্যচাষি সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে সরকারি নিবন্ধন নিয়ে ৬৮ একর মৎস্য প্রকল্প গড়ে তোলেন ১২ বছর আগে। জুলাই আন্দোলনের পর পরিস্থিতি বদলে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতা মোশাররফ হোসেন লাভলুসহ তাঁর সহযোগীরা এ প্রকল্পের দখল নেওয়ার চেষ্টা...
৪ ঘণ্টা আগেবরিশাল নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজা বেগমের নামে বরাদ্দ দেওয়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। এখন আর তেল, চিনি পাবেন কি না, সেই চিন্তায় দিশেহারা তিনি। আসন্ন রোজায় কীভাবে চলবে সংসার—এটাই এখন হাফেজার বড় চিন্তা। হাফেজার মতো বরিশাল নগরের প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার দরিদ্র
৪ ঘণ্টা আগে