নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
মাঠে-মাঠে, গ্রামে-গ্রামে শত শত সরকারি খাসপুকুর। তিন বছরের জন্য এসব পুকুর ইজারা দেয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, পুকুর ইজারা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির। তাই এই পুকুর ইজারা নিতে সৃষ্টি হয়েছে ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি। একজনও মৎস্যজীবী নেই—এমন বেশ কিছু সমবায় সমিতি আছে রাজশাহীতে।
জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার এমন নামসর্বস্ব সমবায় সমিতির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ করেছেন একজন মৎস্যজীবী। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ভুয়া সমিতি পুকুর বাগিয়ে নেওয়ার কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত।
তবে জেলা সমবায় কর্মকর্তা এ পর্যন্ত তদন্তই শুরু করেননি।
নীতিমালা অনুযায়ী, সমবায় সমিতি করতে হলে কমপক্ষে ২০ জন জেলে কার্ডধারী (এফআইডি) মৎস্যজীবী সদস্য থাকতে হবে। তবে এই নীতিমালা উপেক্ষা করে মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা আওয়ামী লীগের আমলে দলীয় প্রভাবে সমবায় সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সমিতিতে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গোদাগাড়ী উপজেলায় ৪৮টি নিবন্ধিত মৎস্যজীবী সমিতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬টি মৎস্যজীবী সমিতিতে একজনেরও এফআইডি নেই। সমিতিগুলো হলো সূর্যসেনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড, হরিশংকরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, কাঁকনহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, ফরিদপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জিওলমারী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মায়ের দোয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জোতগোসাইদাস ভগবন্তপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, হরিনবিস্কা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, বরেন্দ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, গোদাগাড়ী পৌর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, স্লুইসগেট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মোল্লাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, রামনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও মাধবপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
একজন কার্ডধারী নিয়ে শ্রীমন্তপুর মৎস্যজীবী সমিতিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তিনজন কার্ডধারী নিয়ে কামিরপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে, দুজন কার্ডধারী নিয়ে চান্দলিয়া কুমরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মাটিকাটা মৎস্যজীবী সমিতি ও মাদারপুর মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে। তিনজন কার্ডধারী নিয়ে আলীপুর মৎস্যজীবী সমিতি ও রাজাবাড়ীহাট মৎস্যজীবী সমিতিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। চারজন কার্ডধারী নিয়ে দেওয়ানপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি ও মাদারপুর দক্ষিণ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে সদস্য হিসেবে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক, নির্মাণকাজের ঠিকাদার, কাঠমিস্ত্রি, স্কুলশিক্ষক, মসজিদের ইমাম, প্রবাসী, দোকান ব্যবসায়ী, আড়তদার ও কৃষক।
এ বিষয়ে কথা হয় কামিরপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য এনামুল হক তোতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমিতিতে ১৬-১৭টা কার্ডধারী সদস্য আছে। তবে আমার নিজের কার্ড নেই।’ কার্ড না থাকলেও সমিতির সদস্য কীভাবে হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে সমিতি করতে জেলে কার্ড লাগত না। তখন সদস্য হয়েছি। পরে সরকার যখন জেলে কার্ড বাধ্যতামূলক করল, তখন আমরা পাইনি।
এটা দলীয়করণ হয়েছে। নেতা-গোতা, অন্য পেশার মানুষ টাকা দিয়ে কার্ড নিয়েছে। প্রকৃত জেলেরা এখনো সবাই কার্ড পায়নি।’
এদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘সমিতিগুলো নিবন্ধনের সময় মৎস্য অফিস থেকে যদি প্রত্যয়ন নিয়ে নিবন্ধিত হতো, তাহলে ২০১৪ সালে সরকার যখন এফআইডি কার্ড দেওয়া শুরু করল, তখন তাঁরা এফআইডি কার্ডধারী সদস্য হতেন। কিন্তু তাঁরা প্রকৃত মৎস্যজীবীই নন। তাই কার্ড পাননি। এই সমিতিগুলোর জন্য আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
অভিযোগে বলা হয়, গোদাগাড়ীতে সম্প্রতি ২ হাজার ২৩৬ পুকুর ইজারা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নামসর্বস্ব এসব ভুয়া সমিতি ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দরপত্র জমা দিয়েছে। ২০০৯ সালের জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী, মৎস্যজীবী সমিতি পুকুর পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তাই প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হবে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভুয়া মৎস্যজীবী সেজে সমিতি নিবন্ধন করে অবৈধভাবে সুবিধা গ্রহণ করছে।
তানোরের অভিযোগকারী ওই মৎস্যজীবী অভিযোগে বলেছেন, একই সমিতি গোদাগাড়ীতে যেমন ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে, তেমনি তারা তানোরেও অংশ নিয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী তারা শুধু দুটি পুকুর বরাদ্দ পাবে। দুই উপজেলায় এই চক্র বেশি পুকুর নিতে চায়।
প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামসর্বস্ব সমিতির মাধ্যমে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সরকারি খাসপুকুর ইজারা নিচ্ছে। ইজারা প্রক্রিয়ার শুরুতেই তাঁরা সিন্ডিকেট করে ফেলেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নামমাত্র দাম দেন দরপত্রে। বার্ষিক ইজারামূল্য ২ লাখ হবে, এমন পুকুর সিন্ডিকেট নেয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায়। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা আবার প্রকাশ্যে এসব পুকুর ডাক দেন। আবার অনেক সময় ডাক না দিয়েও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুকুর ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আগে এসব সমিতিকে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিতে হয় যে, সমিতিতে ২০ জন কার্ডধারী জেলে রয়েছেন। এবার গোদাগাড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামানের কাছে সমিতিগুলো প্রত্যয়ন নিতে গেলে তিনি দেখেন, সব সমিতিতে ২০ জন কার্ডধারী সদস্য নেই। তিনি প্রত্যয়নে সেটিই লিখে দিচ্ছিলেন। একটি ভুয়া সমিতিকে তিনি প্রত্যয়ন দিতে না চাইলে মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে মারমুখী আচরণও করেন পুকুর সিন্ডিকেটের এক সদস্য। পরদিন অবশ্য মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় মাঝে মাঝে সমিতিগুলো নিয়ে অডিট (নিরীক্ষা) করলেও এসব অনিয়ম উঠে আসে না। কর্মকর্তাদের খুশি করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন করিয়ে নেয় সমিতিগুলো। ফলে প্রকৃত জেলে না থাকলেও সমিতিগুলোর নিবন্ধন বাতিল হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন ইসলাম বলেন, ‘আগে কী হয়েছে, সেটা বলতে পারব না। তবে এখন মৎস্যজীবী কার্ড না থাকলে নিবন্ধন দেওয়া হয় না।’ ভুয়া সমিতিগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তানোরের একজন মৎস্যজীবী অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। যোগাযোগ হলে দ্রুতই তদন্ত শুরু হবে। তা না হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
মাঠে-মাঠে, গ্রামে-গ্রামে শত শত সরকারি খাসপুকুর। তিন বছরের জন্য এসব পুকুর ইজারা দেয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, পুকুর ইজারা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির। তাই এই পুকুর ইজারা নিতে সৃষ্টি হয়েছে ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি। একজনও মৎস্যজীবী নেই—এমন বেশ কিছু সমবায় সমিতি আছে রাজশাহীতে।
জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার এমন নামসর্বস্ব সমবায় সমিতির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ করেছেন একজন মৎস্যজীবী। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ভুয়া সমিতি পুকুর বাগিয়ে নেওয়ার কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত।
তবে জেলা সমবায় কর্মকর্তা এ পর্যন্ত তদন্তই শুরু করেননি।
নীতিমালা অনুযায়ী, সমবায় সমিতি করতে হলে কমপক্ষে ২০ জন জেলে কার্ডধারী (এফআইডি) মৎস্যজীবী সদস্য থাকতে হবে। তবে এই নীতিমালা উপেক্ষা করে মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা আওয়ামী লীগের আমলে দলীয় প্রভাবে সমবায় সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সমিতিতে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গোদাগাড়ী উপজেলায় ৪৮টি নিবন্ধিত মৎস্যজীবী সমিতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬টি মৎস্যজীবী সমিতিতে একজনেরও এফআইডি নেই। সমিতিগুলো হলো সূর্যসেনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড, হরিশংকরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, কাঁকনহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, ফরিদপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জিওলমারী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মায়ের দোয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জোতগোসাইদাস ভগবন্তপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, হরিনবিস্কা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, বরেন্দ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, গোদাগাড়ী পৌর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, স্লুইসগেট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মোল্লাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, রামনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও মাধবপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
একজন কার্ডধারী নিয়ে শ্রীমন্তপুর মৎস্যজীবী সমিতিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তিনজন কার্ডধারী নিয়ে কামিরপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে, দুজন কার্ডধারী নিয়ে চান্দলিয়া কুমরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মাটিকাটা মৎস্যজীবী সমিতি ও মাদারপুর মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে। তিনজন কার্ডধারী নিয়ে আলীপুর মৎস্যজীবী সমিতি ও রাজাবাড়ীহাট মৎস্যজীবী সমিতিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। চারজন কার্ডধারী নিয়ে দেওয়ানপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি ও মাদারপুর দক্ষিণ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে সদস্য হিসেবে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক, নির্মাণকাজের ঠিকাদার, কাঠমিস্ত্রি, স্কুলশিক্ষক, মসজিদের ইমাম, প্রবাসী, দোকান ব্যবসায়ী, আড়তদার ও কৃষক।
এ বিষয়ে কথা হয় কামিরপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য এনামুল হক তোতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমিতিতে ১৬-১৭টা কার্ডধারী সদস্য আছে। তবে আমার নিজের কার্ড নেই।’ কার্ড না থাকলেও সমিতির সদস্য কীভাবে হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে সমিতি করতে জেলে কার্ড লাগত না। তখন সদস্য হয়েছি। পরে সরকার যখন জেলে কার্ড বাধ্যতামূলক করল, তখন আমরা পাইনি।
এটা দলীয়করণ হয়েছে। নেতা-গোতা, অন্য পেশার মানুষ টাকা দিয়ে কার্ড নিয়েছে। প্রকৃত জেলেরা এখনো সবাই কার্ড পায়নি।’
এদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘সমিতিগুলো নিবন্ধনের সময় মৎস্য অফিস থেকে যদি প্রত্যয়ন নিয়ে নিবন্ধিত হতো, তাহলে ২০১৪ সালে সরকার যখন এফআইডি কার্ড দেওয়া শুরু করল, তখন তাঁরা এফআইডি কার্ডধারী সদস্য হতেন। কিন্তু তাঁরা প্রকৃত মৎস্যজীবীই নন। তাই কার্ড পাননি। এই সমিতিগুলোর জন্য আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
অভিযোগে বলা হয়, গোদাগাড়ীতে সম্প্রতি ২ হাজার ২৩৬ পুকুর ইজারা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নামসর্বস্ব এসব ভুয়া সমিতি ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দরপত্র জমা দিয়েছে। ২০০৯ সালের জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী, মৎস্যজীবী সমিতি পুকুর পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তাই প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হবে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভুয়া মৎস্যজীবী সেজে সমিতি নিবন্ধন করে অবৈধভাবে সুবিধা গ্রহণ করছে।
তানোরের অভিযোগকারী ওই মৎস্যজীবী অভিযোগে বলেছেন, একই সমিতি গোদাগাড়ীতে যেমন ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে, তেমনি তারা তানোরেও অংশ নিয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী তারা শুধু দুটি পুকুর বরাদ্দ পাবে। দুই উপজেলায় এই চক্র বেশি পুকুর নিতে চায়।
প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামসর্বস্ব সমিতির মাধ্যমে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সরকারি খাসপুকুর ইজারা নিচ্ছে। ইজারা প্রক্রিয়ার শুরুতেই তাঁরা সিন্ডিকেট করে ফেলেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নামমাত্র দাম দেন দরপত্রে। বার্ষিক ইজারামূল্য ২ লাখ হবে, এমন পুকুর সিন্ডিকেট নেয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায়। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা আবার প্রকাশ্যে এসব পুকুর ডাক দেন। আবার অনেক সময় ডাক না দিয়েও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুকুর ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আগে এসব সমিতিকে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিতে হয় যে, সমিতিতে ২০ জন কার্ডধারী জেলে রয়েছেন। এবার গোদাগাড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামানের কাছে সমিতিগুলো প্রত্যয়ন নিতে গেলে তিনি দেখেন, সব সমিতিতে ২০ জন কার্ডধারী সদস্য নেই। তিনি প্রত্যয়নে সেটিই লিখে দিচ্ছিলেন। একটি ভুয়া সমিতিকে তিনি প্রত্যয়ন দিতে না চাইলে মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে মারমুখী আচরণও করেন পুকুর সিন্ডিকেটের এক সদস্য। পরদিন অবশ্য মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় মাঝে মাঝে সমিতিগুলো নিয়ে অডিট (নিরীক্ষা) করলেও এসব অনিয়ম উঠে আসে না। কর্মকর্তাদের খুশি করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন করিয়ে নেয় সমিতিগুলো। ফলে প্রকৃত জেলে না থাকলেও সমিতিগুলোর নিবন্ধন বাতিল হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন ইসলাম বলেন, ‘আগে কী হয়েছে, সেটা বলতে পারব না। তবে এখন মৎস্যজীবী কার্ড না থাকলে নিবন্ধন দেওয়া হয় না।’ ভুয়া সমিতিগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তানোরের একজন মৎস্যজীবী অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। যোগাযোগ হলে দ্রুতই তদন্ত শুরু হবে। তা না হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের সদস্য এবং জাতীয় চার নেতার একজনের নামে থাকা সব স্থাপনার নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে চারটি আবাসিক
২ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার ভাষণের ঘোষণার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের মুজিব মুরালে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামে গড়া স্থাপনার নাম মুছে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে বেরোবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম মুছে ফেলে’ বিজয়-২৪’ লিখে দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে জড়ো..
৩ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর জমিতে পানি প্রবেশ বন্ধ এবং শ্রমিকদের চলাচলের সুবিধার জন্য পাশের ইছামতী নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে আশপাশের কৃষিজমিতে সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে