Ajker Patrika

ইজারা ভুয়া জেলের কবজায়

  • নীতিমালা উপেক্ষা করে মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা দলীয় প্রভাবে সমবায় সমিতির নিবন্ধন।
  • গোদাগাড়ীর ৪৮টি নিবন্ধিত মৎস্যজীবী সমিতির ১৬টিতে একজনেরও জেলে কার্ড নেই।
  • নামসর্বস্ব সমবায় সমিতির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লিখিত অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০: ৩৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মাঠে-মাঠে, গ্রামে-গ্রামে শত শত সরকারি খাসপুকুর। তিন বছরের জন্য এসব পুকুর ইজারা দেয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, পুকুর ইজারা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির। তাই এই পুকুর ইজারা নিতে সৃষ্টি হয়েছে ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি। একজনও মৎস্যজীবী নেই—এমন বেশ কিছু সমবায় সমিতি আছে রাজশাহীতে।

জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার এমন নামসর্বস্ব সমবায় সমিতির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ করেছেন একজন মৎস্যজীবী। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ভুয়া সমিতি পুকুর বাগিয়ে নেওয়ার কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত।

তবে জেলা সমবায় কর্মকর্তা এ পর্যন্ত তদন্তই শুরু করেননি।

নীতিমালা অনুযায়ী, সমবায় সমিতি করতে হলে কমপক্ষে ২০ জন জেলে কার্ডধারী (এফআইডি) মৎস্যজীবী সদস্য থাকতে হবে। তবে এই নীতিমালা উপেক্ষা করে মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা আওয়ামী লীগের আমলে দলীয় প্রভাবে সমবায় সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সমিতিতে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গোদাগাড়ী উপজেলায় ৪৮টি নিবন্ধিত মৎস্যজীবী সমিতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬টি মৎস্যজীবী সমিতিতে একজনেরও এফআইডি নেই। সমিতিগুলো হলো সূর্যসেনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড, হরিশংকরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, কাঁকনহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, ফরিদপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জিওলমারী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মায়ের দোয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জোতগোসাইদাস ভগবন্তপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, হরিনবিস্কা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, বরেন্দ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, গোদাগাড়ী পৌর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, স্লুইসগেট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মোল্লাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, রামনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও মাধবপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।

একজন কার্ডধারী নিয়ে শ্রীমন্তপুর মৎস্যজীবী সমিতিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তিনজন কার্ডধারী নিয়ে কামিরপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে, দুজন কার্ডধারী নিয়ে চান্দলিয়া কুমরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মাটিকাটা মৎস্যজীবী সমিতি ও মাদারপুর মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে। তিনজন কার্ডধারী নিয়ে আলীপুর মৎস্যজীবী সমিতি ও রাজাবাড়ীহাট মৎস্যজীবী সমিতিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। চারজন কার্ডধারী নিয়ে দেওয়ানপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি ও মাদারপুর দক্ষিণ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে সদস্য হিসেবে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক, নির্মাণকাজের ঠিকাদার, কাঠমিস্ত্রি, স্কুলশিক্ষক, মসজিদের ইমাম, প্রবাসী, দোকান ব্যবসায়ী, আড়তদার ও কৃষক।

এ বিষয়ে কথা হয় কামিরপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য এনামুল হক তোতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমিতিতে ১৬-১৭টা কার্ডধারী সদস্য আছে। তবে আমার নিজের কার্ড নেই।’ কার্ড না থাকলেও সমিতির সদস্য কীভাবে হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে সমিতি করতে জেলে কার্ড লাগত না। তখন সদস্য হয়েছি। পরে সরকার যখন জেলে কার্ড বাধ্যতামূলক করল, তখন আমরা পাইনি।

এটা দলীয়করণ হয়েছে। নেতা-গোতা, অন্য পেশার মানুষ টাকা দিয়ে কার্ড নিয়েছে। প্রকৃত জেলেরা এখনো সবাই কার্ড পায়নি।’

এদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘সমিতিগুলো নিবন্ধনের সময় মৎস্য অফিস থেকে যদি প্রত্যয়ন নিয়ে নিবন্ধিত হতো, তাহলে ২০১৪ সালে সরকার যখন এফআইডি কার্ড দেওয়া শুরু করল, তখন তাঁরা এফআইডি কার্ডধারী সদস্য হতেন। কিন্তু তাঁরা প্রকৃত মৎস্যজীবীই নন। তাই কার্ড পাননি। এই সমিতিগুলোর জন্য আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’

অভিযোগে বলা হয়, গোদাগাড়ীতে সম্প্রতি ২ হাজার ২৩৬ পুকুর ইজারা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নামসর্বস্ব এসব ভুয়া সমিতি ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দরপত্র জমা দিয়েছে। ২০০৯ সালের জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী, মৎস্যজীবী সমিতি পুকুর পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তাই প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হবে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভুয়া মৎস্যজীবী সেজে সমিতি নিবন্ধন করে অবৈধভাবে সুবিধা গ্রহণ করছে।

তানোরের অভিযোগকারী ওই মৎস্যজীবী অভিযোগে বলেছেন, একই সমিতি গোদাগাড়ীতে যেমন ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে, তেমনি তারা তানোরেও অংশ নিয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী তারা শুধু দুটি পুকুর বরাদ্দ পাবে। দুই উপজেলায় এই চক্র বেশি পুকুর নিতে চায়।

প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামসর্বস্ব সমিতির মাধ্যমে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সরকারি খাসপুকুর ইজারা নিচ্ছে। ইজারা প্রক্রিয়ার শুরুতেই তাঁরা সিন্ডিকেট করে ফেলেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নামমাত্র দাম দেন দরপত্রে। বার্ষিক ইজারামূল্য ২ লাখ হবে, এমন পুকুর সিন্ডিকেট নেয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায়। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা আবার প্রকাশ্যে এসব পুকুর ডাক দেন। আবার অনেক সময় ডাক না দিয়েও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুকুর ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আগে এসব সমিতিকে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিতে হয় যে, সমিতিতে ২০ জন কার্ডধারী জেলে রয়েছেন। এবার গোদাগাড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামানের কাছে সমিতিগুলো প্রত্যয়ন নিতে গেলে তিনি দেখেন, সব সমিতিতে ২০ জন কার্ডধারী সদস্য নেই। তিনি প্রত্যয়নে সেটিই লিখে দিচ্ছিলেন। একটি ভুয়া সমিতিকে তিনি প্রত্যয়ন দিতে না চাইলে মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে মারমুখী আচরণও করেন পুকুর সিন্ডিকেটের এক সদস্য। পরদিন অবশ্য মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় মাঝে মাঝে সমিতিগুলো নিয়ে অডিট (নিরীক্ষা) করলেও এসব অনিয়ম উঠে আসে না। কর্মকর্তাদের খুশি করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন করিয়ে নেয় সমিতিগুলো। ফলে প্রকৃত জেলে না থাকলেও সমিতিগুলোর নিবন্ধন বাতিল হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন ইসলাম বলেন, ‘আগে কী হয়েছে, সেটা বলতে পারব না। তবে এখন মৎস্যজীবী কার্ড না থাকলে নিবন্ধন দেওয়া হয় না।’ ভুয়া সমিতিগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তানোরের একজন মৎস্যজীবী অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। যোগাযোগ হলে দ্রুতই তদন্ত শুরু হবে। তা না হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাড়াশে কোচের ধাক্কায় মাছবোঝাই পিকআপ ভ্যান উল্টে নিহত ১

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কোচের ধাক্কায় মাছবোঝাই পিকআপ ভ্যান উল্টে ঘটনাস্থলেই নায়েব আলী প্রামাণিক (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মৃত রব্বান প্রামাণিকের ছেলে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের মহিষলুটি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি মাছের আড়ত থেকে একটি মাছবোঝাই পিকআপ ভ্যান মহাসড়কে ওঠার চেষ্টা করলে হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি কোচের ধাক্কায় এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় নায়েব আলী পিকআপ ভ্যানের নিচে চাপা পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা এলাকায় হওয়ায় তারা নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্ত্রীর মৃত্যুর ১১ ঘণ্টার মাথায় মারা গেলেন স্বামী

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
মো. জলিলুর রহমান জলিল মাস্টার ও তাঁর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
মো. জলিলুর রহমান জলিল মাস্টার ও তাঁর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

জীবনভর পাশাপাশি ছিলেন একে অপরের ছায়া হয়ে। আর সেই সম্পর্কের গভীরতা এমনই যে মৃত্যুতেও তাঁরা যুগলবন্দী হয়ে রইলেন। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কাদিবাড়ী গ্রামে ঘটল এক শোকাবহ ঘটনা, যেখানে স্ত্রীর মৃত্যুর ১১ ঘণ্টা পরই মারা গেলেন তাঁর স্বামী। এই মৃত্যু যেন দেখিয়ে দিল, সত্যিকারের ভালোবাসার সমাপ্তি কেবল একসঙ্গে পথচলাতেই হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাদিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. জলিলুর রহমান জলিল মাস্টার (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৬৫) দীর্ঘ ৪৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে ছিলেন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। কিন্তু হঠাৎ সেই ছায়া সরে যায়। শুক্রবার বেলা ১টা ২৫ মিনিটে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আঞ্জুয়ারা বেগম। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে গভীর শোকে ভেঙে পড়েন স্বামী জলিল মাস্টার। বিকেল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাতে তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টা ২৫ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

একই পরিবারের দুই মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে যায় গ্রামবাসী। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

ছোট ছেলে মো. রাকিবুল হাসান রকি বলেন, ‘মা-বাবাকে একসঙ্গে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। মা হঠাৎ মারা যান। বাবা হালকা অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর বাবাও চলে গেলেন।’

এই দম্পতির গল্প এখন পুরো গ্রামে আলোচনার বিষয়। মানুষ বলছে, ভালোবাসা কখনো মরে না, শুধু রূপ বদলায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আহত ৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মৃত মইজ উদ্দিনের ছেলে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সাচ্চু গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে আজ সকালে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের আঘাতে সাচ্চু গ্রুপের নাসির মিয়া নিহত হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিয়ানমারে পাচারকালে ট্রলারসহ ৩৫০ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪০
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৩৫০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ জব্দ করা ট্রলার। ছবি: আজকের পত্রিকা
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৩৫০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ জব্দ করা ট্রলার। ছবি: আজকের পত্রিকা

মিয়ানমারে পাচারের সময় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৩৫০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ একটি ট্রলার আটক করে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ, র‍্যাব ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সারগুলো জব্দ করে। তবে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। শনিবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ।

হারুন অর রশিদ বলেন, আটক করা ট্রলারটিতে ৩৫০ থেকে ৪০০ বস্তা ইউরিয়া সার রয়েছে। যা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে পাচারের উদ্দেশ্যে ট্রলারে মজুত করা হয়েছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সারগুলো জব্দ করে এ বিষয়ে একটি নিয়মিত মামলা করা হবে।

জব্দ করা  ইউরিয়া সার
জব্দ করা ইউরিয়া সার

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সুইজের বরইতলা এলাকায় জামাল মাঝির ট্রলারে করে পাচারের সময় সরকারি ৩৫০ বস্তা সার আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করলে পুলিশ ও র‍্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সারগুলো জব্দ করেন। তবে সেখানে গিয়ে সারের কোনো মালিক পাওয়া যায়নি।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, সারগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। সারের মালিকানা দাবি করে এখনো কেউ আসেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত