Ajker Patrika

৩ ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় মানবপাচার মামলায় ২ শিক্ষকের রিমান্ড মঞ্জুর

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ৪৬
Thumbnail image

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় মাদ্রাসার তিন শিশু ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় মানবপাচারের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দুই শিক্ষকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত তাঁদের একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

দারুত তাক্বওয়া মহিলা আবাসিক মাদ্রাসার অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষকের নাম মুহতামিম মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান এবং সহকারী শিক্ষক ইলিয়াস আহম্মেদ। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, মানবপাচারের মামলায় কারাবন্দী চার শিক্ষকের আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে ওই দুই শিক্ষকের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। অপর সহকারী শিক্ষক মোছা. রাবেয়া বেগম এবং মোছা. সুকরিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ সেই তিন ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মুগদা এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করলেও মানবপাচার মামলায় কারাগারে রয়েছেন ওই চার শিক্ষক। উদ্ধারকৃত ছাত্রীরা সবাই দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের ইউনিয়নে মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম সেতুর পূর্বপাড়ে বাংলা বাজার সভুকুড়া এলাকার দারুত তাক্বওয়া মহিলা মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির তিন ছাত্রী গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। ১২ সেপ্টেম্বর ভোররাতে শিক্ষকেরা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। নামাজের পর তারা মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। 

থানা সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ছাত্রীদের উদ্ধারে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই দিন রাতে নিখোঁজের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করায় নিরাপত্তাজনিত কারণের ঘটনার দিন রাতে মাদ্রাসাটি সাময়িক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই শিক্ষকদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ছাড়া র‍্যাবের একটি দলও জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে এক ছাত্রীর বাবা মামলা করে। 

পরে আটককৃত শিক্ষকদের মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির আদেশ দেন। সেই থেকে শিক্ষকেরা কারাগারে বন্দী রয়েছে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান মোড়ল বলেন, ‘মানব পাচারের মামলায় কারাগারে বন্দী থাকা চার শিক্ষকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলাম। চার শিক্ষকের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি শেষে দুই শিক্ষকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।' 

পুলিশের ইসলামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া বলেন, ‘মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করেছি। তারা মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছিল। তবে ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনেই শিক্ষকদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত