Ajker Patrika

মেলান্দহে হঠাৎ শিয়ালের আক্রমণে আহত ৫, পিটিয়ে হত্যা করল কৃষক

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ০১
মেলান্দহে হঠাৎ শিয়ালের আক্রমণে আহত ৫, পিটিয়ে হত্যা করল কৃষক

জামালপুরের মেলান্দহে শিয়ালের কামড়ে স্কুলশিক্ষিকাসহ ৫ জনকে আহত হয়েছেন। পরে একটি গরুর ওপর হামলা করতে গেলে শিয়ালটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় কৃষক। এদিকে আহতেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

আজ বুধবার সকাল ৫টায় মেলান্দহ পৌরসভার বাড়ইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

শিয়ালের কামড়ে আহতেরা হলেন—স্কুলশিক্ষিকা সীমা রানী, স্থানীয় কৃষক কাশেম আলী, আবুল কাশেম, গৃহবধূ সুফিয়া ও জেসমিন। শিয়ালের কামড়ে আহত।

স্থানীয়রা বলছে, বুধবার সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি শিয়াল বাড়ইপাড়া এলাকার কাশেম আলীর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ করে। তাঁকে আক্রমণ করেই শিয়ালটি আবার ছুটে গিয়ে স্কুলশিক্ষক সীমা রাণীর বাড়িতে ঢোকে এবং সীমা রাণীকে আক্রমণ করে। এভাবে ওই এলাকায় আরও তিনটি বাড়িতে গিয়ে তিনজনকে আহত করার পর কৃষক নজর আলীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর গরুকে আক্রমণ করে। এ সময় নজর আলী শিয়ালটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে। 

আহত স্কুলশিক্ষিকা সীমা রানী বলেন, ‘আমি সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির উঠান পরিষ্কার করতে ছিলাম। হঠাৎ করেই শিয়াল আসে। প্রথমে দেখে আমি ভাবছিলাম হয়তো কুকুর। যখন দেখলাম আমার দিকে এগিয়ে আসতেছে, তখন ভালো করে দেখি এটা শিয়াল। হাত থাকা ঝাড়ু দিয়ে ফিরাতে গেলেও কোনো লাভ হয়নি, আমাকে এসে আক্রমণ করেছে।’ 

শিয়ালের কামড়ে আহত কাশেম আলী বলেন, ‘ঘর থেকে বের হয়ে দাঁড়ায় ছিলাম। হঠাৎ করে এসেই আমাকে কামড় শুরু করে শিয়ালটা। কামড় দিয়ে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়। আমার এক আঙুল ছিঁড়ে ফেলেছে।’ শিয়ালের কামড়ে আহত।

এ বিষয়ে কৃষক নজর আলী বলেন, ‘শিয়ালে কাশেম আলীকে কামড়াইছে শুনে সবাই তারে দেখতে যাইতাছে। আমি আবার ঘর থেকে গরু বের করে রাস্তায় বেঁধে রাখছি। এমন সময় শিয়ালটা হঠাৎ করে এসে আমার গরুর গলায় কামড় দিয়ে ধরে রাখছে। পরে লাঠি দিয়ে মাথায় মাইর দিছি। দেখি শিয়ালের কিছুই হয় নাই, আমাকে কামড়াতে আসছে। পরে আরেকটা মাইর দিছি, তখন শিয়ালটা মাটিতে পড়ে যায়।’ 

আহতদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক সাদিয়া চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে শিয়াল আক্রমণ করে ৫ জনকে আহত করে। পরে তারা উপজেলা হাসপাতালে আসলে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত