নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
দূরত্ব কখনো রক্তের সম্পর্কে ছেদ টানতে পারে না। নিজ বংশধরদের খোঁজে দেশ–বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর ইতিহাস বিরল নয়। কিন্তু মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরত্বে বসবাস করা স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবধান ৬৮ বছর দীর্ঘ হলে তা সত্যিই পীড়াদায়ক।
গত শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর থেকে ২২ সদস্যদের একটি পরিবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও গ্রামের আহাম্মদ হোসেন ফকিরের বাড়িতে আসেন। ২২ সদস্যের ওই পরিবারটি মো. ফারুক আহমেদ, ইউপি সদস্য মো. রতন মিয়ার নেতৃত্বে শুক্রবার সকালে স্বজনের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হন। সারা দিন পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইলের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যার দিকে নান্দাইলের আচারগাঁও গ্রামে নিজেদের রক্তের বাঁধনের সূত্র খুঁজে পান। ৬৮ বছর পর স্বজনদের সন্ধান পেয়ে আবেগে আপ্লুত সবাই।
ওই পরিবারের একাধিক সদস্য জানান, প্রায় ২০০ বছর আগে ইংরেজ শাসনামলে নান্দাইলে ফকির ও সরকার পরিবার নামে দুটি পরিবার বাস করত। দুই পরিবার মূলত একই বংশোদ্ভূত। পরে দুই পরিবারে একটি কিশোরগঞ্জের ইটনায় চলে যায় এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। আচারগাঁও গ্রামের আহম্মদ ফকিরের পিতা মৃত জাফর আলী ফকির ইটনা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের এবং ইটনার মৃত তিন চাচাতো ভাই আবুল হোসেন সরকার, কাবিল হোসেন, ডেঙ্গু মিয়ার সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তাঁর প্রত্যেকে জীবিত থাকা অবস্থায় ৬৮ বছর আগে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তাঁরা মারা যাওয়ার পর আর যোগাযোগ হয়নি।
সর্বশেষ কিছুদিন আগে, ইটনা উপজেলার ফারুক (সম্পর্কে আহাম্মদ ফকিরে ভাতিজা) ও রতন মেম্বার (সম্পর্কে আহাম্মদ ফকিরের চাচাতো ভাই) জানতে পারেন নান্দাইলে তাঁদের স্বজনেরা রয়েছে। পরেই নান্দাইলে আসেন স্বজনদের খোঁজে।
মো. রতন মেম্বার (৬৫) আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা আর ভুল করব না। এখন থেকে নিয়মিত আসা-যাওয়ার মাধ্যমে আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখব।’
আচারগাঁও গ্রামে বসবাসকারী আহাম্মদ হোসেন ফকির (৭০) বলেন, ‘ভাই–ভাতিজাদের ফিরে যে আনন্দ আমরা পেয়েছি তা অন্য কোনো আনন্দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
দূরত্ব কখনো রক্তের সম্পর্কে ছেদ টানতে পারে না। নিজ বংশধরদের খোঁজে দেশ–বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর ইতিহাস বিরল নয়। কিন্তু মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরত্বে বসবাস করা স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবধান ৬৮ বছর দীর্ঘ হলে তা সত্যিই পীড়াদায়ক।
গত শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর থেকে ২২ সদস্যদের একটি পরিবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও গ্রামের আহাম্মদ হোসেন ফকিরের বাড়িতে আসেন। ২২ সদস্যের ওই পরিবারটি মো. ফারুক আহমেদ, ইউপি সদস্য মো. রতন মিয়ার নেতৃত্বে শুক্রবার সকালে স্বজনের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হন। সারা দিন পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইলের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যার দিকে নান্দাইলের আচারগাঁও গ্রামে নিজেদের রক্তের বাঁধনের সূত্র খুঁজে পান। ৬৮ বছর পর স্বজনদের সন্ধান পেয়ে আবেগে আপ্লুত সবাই।
ওই পরিবারের একাধিক সদস্য জানান, প্রায় ২০০ বছর আগে ইংরেজ শাসনামলে নান্দাইলে ফকির ও সরকার পরিবার নামে দুটি পরিবার বাস করত। দুই পরিবার মূলত একই বংশোদ্ভূত। পরে দুই পরিবারে একটি কিশোরগঞ্জের ইটনায় চলে যায় এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। আচারগাঁও গ্রামের আহম্মদ ফকিরের পিতা মৃত জাফর আলী ফকির ইটনা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের এবং ইটনার মৃত তিন চাচাতো ভাই আবুল হোসেন সরকার, কাবিল হোসেন, ডেঙ্গু মিয়ার সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তাঁর প্রত্যেকে জীবিত থাকা অবস্থায় ৬৮ বছর আগে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তাঁরা মারা যাওয়ার পর আর যোগাযোগ হয়নি।
সর্বশেষ কিছুদিন আগে, ইটনা উপজেলার ফারুক (সম্পর্কে আহাম্মদ ফকিরে ভাতিজা) ও রতন মেম্বার (সম্পর্কে আহাম্মদ ফকিরের চাচাতো ভাই) জানতে পারেন নান্দাইলে তাঁদের স্বজনেরা রয়েছে। পরেই নান্দাইলে আসেন স্বজনদের খোঁজে।
মো. রতন মেম্বার (৬৫) আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা আর ভুল করব না। এখন থেকে নিয়মিত আসা-যাওয়ার মাধ্যমে আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখব।’
আচারগাঁও গ্রামে বসবাসকারী আহাম্মদ হোসেন ফকির (৭০) বলেন, ‘ভাই–ভাতিজাদের ফিরে যে আনন্দ আমরা পেয়েছি তা অন্য কোনো আনন্দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সমন্বিত মৎস্য খামার। মাছ চাষের পাশাপাশি একই স্থানে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করে বেশ ভালো লাভ করছেন খামারিরা। তবে অর্থনৈতিক সুবিধার আড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য এক অদৃশ্য হুমকি হয়ে উঠেছে সমন্বিত এ খামারপদ্ধতি।
১ ঘণ্টা আগেবিশাল সেতু। তারই দুই পাশে পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। কেউ নির্মাণ করছে বাড়ি। কেউ কেউ নির্মাণ করছে দোকানপাট। এ ছাড়া মাটি কেটে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সীমানা তৈরি করে সেতুর জমি ভোগদখল করছে। স্থাপনা নির্মাণের জন্য কেউ কেউ সেতুর সিসি ব্লকও কেটে ফেলেছে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন জান মোহাম্মদ। এই প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পরিদর্শক ও সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিলা নাসরিন। এই দুজনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে জান মোহাম্মদকে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেফুটে আছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হিজল, সোনালু, বন বেলি। দিনে ক্যাম্পাসজুড়ে এমন ফুল চোখে পড়ছে। আর রাতে আলোর রোশনাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে আলোর ঝলকানি। প্রতিটি ভবনে করা হয়েছে লাল-নীল রঙের আলোকসজ্জা। এই চিত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)।
১ ঘণ্টা আগে