Ajker Patrika

ঝিনাইগাতীতে স্বেচ্ছাশ্রমে ৮০ ফুট বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেন স্থানীয়রা

প্রতিনিধি, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) 
ঝিনাইগাতীতে স্বেচ্ছাশ্রমে ৮০ ফুট বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেন স্থানীয়রা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহম্মদনগর-দিঘীরপাড় পাকা সড়কে পাহাড়ি ঢলের কারণে ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পাওয়ার পরও কাজ শুরু হয়নি। ফলে স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে প্লাস্টিকের ২০টি ড্রামের ওপর প্রায় ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন। 

নির্মাণ শেষে ১৩ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল থেকে সাঁকোটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে প্রায় তিন হাজার মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমে গেছে। তবে ওই স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

জানা যায়, গত ২৮ জুন থেকে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় মধ্যপাড়া এলাকায় মহারশি নদীর বাঁধের প্রায় ৭০ ফুট অংশ ভেঙে যায়। এতে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। একই সঙ্গে আহম্মদনগর-দিঘীরপাড় পাকা সড়কের দিঘীরপাড় মধ্যপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির কাছে একটি ইউড্রেনসহ প্রায় ৮০ ফুট পাকা সড়ক ভেঙে যায়। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। 
জরুরি ভিত্তিতে একটি কাঠের সেতু নির্মাণের জন্য সদর ইউপি সদস্য আবদুল কুদ্দুসকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন উপজেলা চেয়ারম্যান নাইম। তবে বরাদ্দ দেওয়ার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও ওই স্থানে কোন কাঠের সেতু বা বাঁশের সাঁকো নির্মিত হয়নি। 

তাই দুর্ভোগ লাঘবে স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী। প্রায় ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের সাঁকোটি নির্মাণ করে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রায় ১২-১৩ দিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। বরাদ্দ পাওয়ার পরও কাজ শুরু হয় নাই। তাই এলাকাবাসীরা সবাই মিলে গত ২ দিন ধরে বাঁশ ও টাকা উত্তোলন করে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। তবে ওই স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আবদুল কুদ্দুস বলেন, বরাদ্দের তিন দিন পর প্রাক্কলনের কাগজ হাতে পেয়েছি। প্রাক্কলনে ৩৬টি সিমেন্টের খুঁটি ধরা হয়েছে। মিস্ত্রি দিয়ে খুঁটি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কাঠেরও অর্ডার দেওয়া হয়েছে। খুঁটি শুকাতে সময় লাগবে। আশা করছি ঈদুল আজহার দুই-তিন দিনের মধ্যেই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হবে। 

ঝিনাইগাতী এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, ভেঙে যাওয়া সড়কটিতে একটি কাঠের সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। বরাদ্দের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু হয়নি জানতে চাইলে জবাবে বলেন, খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত