Ajker Patrika

দীর্ঘ বিরতির পর সরগরম কেবি বাজারের মৎস্য আড়ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ১৫: ৩৭
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য আড়ৎ কেবি বাজার। ছবি: আজকের পত্রিকা
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য আড়ৎ কেবি বাজার। ছবি: আজকের পত্রিকা

পূর্ব আকাশে আলোর ঝলকানি দেখা দেওয়ার আগেই বাগেরহাটের ভৈরবতীরের কেবি বাজারে ভিড় জমাতে থাকেন ব্যবসায়ী, জেলে ও আড়তদারেরা। সাগরে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য আড়তটি।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ঘাটে নোঙর করা দুটি ট্রলার থেকে ঝুড়িতে করে মাছ নামাতে দেখা যায় জেলে ও শ্রমিকদের। ক্রয়-বিক্রয়ের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। তবে চাহিদার তুলনায় মাছের পরিমাণ অনেক কম থাকায় দাম ছিল আকাশছোঁয়া।

ব্যবসায়ীরা জানান, অবরোধ শেষে বঙ্গোপসাগর থেকে আজই প্রথম মাছ নিয়ে দুটি ট্রলার এসেছে। তবে মাছের পরিমাণ খুবই কম। এতে বাজারে চাহিদা থাকলেও জোগান কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি।

ট্রলার থেকে মাছ ধরে আনা জেলে রুহুল বলেন, ‘সাগরে গিয়ে কয়েকবার জাল ফেলেছি। অল্প কিছু ইলিশ পেয়েছি, বেশির ভাগই কম দামি মাছ। ট্রলারে সমস্যা হওয়ায় দ্রুত ফিরে আসতে হয়েছে।’

মোরেলগঞ্জ থেকে মাছ কিনতে আসা পাইকার তৈয়ব মুন্সি বলেন, ‘অবরোধ চলাকালীন আসিনি। অনেক দিন পর আজ বাজারে এলাম। মাছের দাম অনেক বেশি। তবু কিছু কিনেছি, এখন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করতে পারলেই হয়।’

আজকের বাজারে ইলিশের দর ছিল—

২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের: প্রতি কেজি ৬০০-৮০০ টাকা

৫০০-৮০০ গ্রাম ওজনের: প্রতি কেজি ১২০০-১৫০০ টাকা

৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের: প্রতি কেজি ২০০০-২৫০০ টাকা

এ ছাড়া রূপচাঁদা বিক্রি হয়েছে আকারভেদে প্রতি কেজি ৫০০-১২০০ টাকায়। কঙ্কন, তুলারডাঁটি, ঢেলাচ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুড়ি, জাবা, বিড়ালজাবাসহ বিভিন্ন মাছ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে।

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য আড়ৎ কেবি বাজার। ছবি: আজকের পত্রিকা
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য আড়ৎ কেবি বাজার। ছবি: আজকের পত্রিকা

কেবি বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অবরোধ শেষে আজ প্রথম ট্রলার এসেছে, মাছও কম। তবে পাইকারদের উপস্থিতি বেশি থাকায় দাম কিছুটা বেশি। সামনে মাছের সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে।’

উল্লেখ্য, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও মাছ ধরা শুরু হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় কেবি বাজারে ট্রলার আসাও শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই ঘণ্টা আগে একই বিমানে ভ্রমণের দাবি এক ব্যক্তির, জানালেন ভয়াবহ তথ্য

ইরানে ইসলামি শাসনের অবসান হতে পারে—মার্কিন কর্মকর্তাদের আশঙ্কা

নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে যে কথা হলো

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত, গ্রেপ্তার ১

গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত