Ajker Patrika

গাংনীতে রাত হলেই বাড়ে সাপের আতঙ্ক

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩, ২০: ৪৭
গাংনীতে রাত হলেই বাড়ে সাপের আতঙ্ক

মেহেরপুরের গাংনীতে রাত হলেই সাপের আতঙ্ক বেড়ে যায়। সম্প্রতি এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এবং একাধিক ব্যক্তিকে কামড় দেওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তা ছাড়া কয়েক দিন আগে সাপের কামড়ে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার করমদি গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও আমাদের করমদী গ্রামে সাপের ছোবলে আকাশ আলী নামের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র মারা গিয়েছে। এই সাপ অত্যন্ত বিষধর। মানুষ দেখলে পালাচ্ছেও না। এ ধরনের সাপ আমরা আগে আর দেখিনি।’

দেবীপুর গ্রামের কাজল আহমেদ বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতেও সাপ মেরেছি। এই সাপ মারার পর আমার ভেতরে এখন সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে। মনে হচ্ছে, সব জায়গায় সাপ। ছেলের বিছানা পর্যন্ত শোয়ার আগে পরিষ্কার করছি। এই সাপ আমি আগে কখনো দেখিনি। কয়েক দিন আগে যে সাপের কামড়ে ছেলেটা মারা গেছে, সেটাও এই সাপ ছিল।’

মো. হৃদয় ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদারা এখনো বিশ্বাস করেন, কবিরাজ-ঝাড়ফুঁক করলে সাপে কাটা রোগী ভালো হয়ে যায়। কিন্তু আসলে এটা ঠিক নয়। সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সঠিক সময় অ্যান্টিভেনম দিতে পারলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। তাই আমাদের কবিরাজের মাধ্যমে ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস না করাই ভালো।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মো. আলফাজ উদ্দিন বলেন, অ্যান্টিভেনম জেলা হাসপাতাল ছাড়া পাওয়া যায় না। এগুলো আসলে উপজেলা পর্যায়ে থাকলে অনেকের সুবিধা হয়, দ্রুত চিকিৎসাটা পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুপ্রভা রানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাপে কামড়ানোর পর অধিকাংশ মানুষ কবিরাজের কাছে নিয়ে ঝাড়ফুঁক করে সময় নষ্ট করে। এই সুযোগে রোগী মারা যায়। তাই সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। আর অ্যান্টিভেনম জেলা হাসপাতালে পাওয়া যায়। এগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া যায় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত