Ajker Patrika

বাগেরহাটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত, আহত ৩০

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাগেরহাটে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় সম্মেলন স্থগিত করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে চরপুটিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। সম্মেলনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম খোকনের বক্তব্য চলাকালে সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদার ও আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি ও সংঘর্ষ।

পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হলে নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে—শিহাব শিকদার, এমদাদুল হাওলাদার, সাইফুল হাওলাদার, অহিদুল ইসলাম ও মো. হালিম। তাঁদের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের কারণ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন দুই পক্ষের প্রার্থী। আব্দুস ছত্তার হাওলাদার বলেন, খলিলুর রহমান শিকদারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। অপর দিকে খলিলুর রহমান দাবি করেন, ভোটার তালিকায় তাঁদের সমর্থকদের বাদ দিয়ে একতরফাভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল। বক্তব্য চলাকালে ছত্তারপন্থীরা অতর্কিতে হামলা চালায়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসির বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় সম্মেলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীকালে নতুন সময় জানানো হবে। যারা বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, সংঘর্ষের কারণে বিএনপির নেতারা সম্মেলন স্থগিত করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

দ্বিবার্ষিক এ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচনের কথা ছিল। তিনটি পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। সম্মেলনে মোট ৪৫৯ জন কাউন্সিলর অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত