Ajker Patrika

উপকারে আসছে না ২ কোটি টাকার সেতু

  • সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তি বাড়িয়েছে সেতু
  • রয়েছে সংযোগ সড়কের জমি নিয়ে জটিলতা
  • স্থানীয়রাই চাননি, ওখানে সেতু হোক
­­­ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ০১
Thumbnail image
মাগুরায় নবগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক নেই। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংযোগ সড়ক না থাকায় মাগুরার নবগঙ্গা নদীর ওপর দুই কোটি টাকায় নির্মাণ করা সেতু কোনো কাজে আসছে না। উল্টো চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে স্থানীয়দের। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে, তারও নিশ্চয়তা নেই। সড়কের জমি নির্ধারণ না করে এমন সেতু নির্মাণে প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।

মাগুরা পৌরসভার ইসলামপুর পাড়ায় নির্মিত আরসিসি গার্ডার সেতুর মূল কাঠামো নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। কাজ এক বছর আগে শেষ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ২৫ আগস্ট জেলা শহরের ইসলামপুর পাড়ার পূর্বাশা ঘাট এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ খাতে সংযোগ সড়কের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২ লাখ টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার, ফুটপাতসহ সেতুর প্রস্থ ৬ দশমিক ৭ মিটার। প্রকল্পের মেয়াদ দুবার পিছিয়ে তা শেষ হয় ২০২৩ সালে। সংযোগ সড়ক ছাড়াই ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় কথা ছিল, সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুততম সময়ে নির্মাণ করা হবে; কিন্তু তা আর হয়নি।

প্রকল্প থেকে জানা গেছে, সেতুটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান মেসার্স সৌরভ নিশিত জেবি। এটি নির্মাণের পর প্রতিষ্ঠানটি মূল বিলের সব তুলে নিয়েছে। তবে কাজের ১০ শতাংশ টাকা মাগুরা পৌরসভার কাছে জামানত হিসাবে জমা রয়েছে, যা কদিন পরেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুলে নিতে পারে বলে পৌরসভা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে জানা গেছে। এরপর সংযোগ সড়ক কীভাবে তৈরি হবে, তা নিয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি সেতুর কাছে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয়রা সেতু পার হচ্ছে দুপাশে সংযোগ সড়ক ছাড়াই। সেতুর দুই পাশে স্থানীয়দের উদ্যোগে সামান্য বালু ও মাটি ভরাট থাকলেও তা এখন ধসে গেছে নবগঙ্গা নদীতে। উঁচু জায়গা পাড়ি দিয়ে সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে বয়স্কদের। সেতুর দুপাশে সংযোগ সড়কের জায়গায় রয়েছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি, বাড়িঘর। সংযোগ সড়কের জন্য ব্যক্তিগত সম্পত্তি ব্যবহার করা নিয়ে স্থানীয়রা একটি মামলাও করেছেন বলে জানা গেছে।

মাগুরা পৌরসভার নির্বাহী আহসান বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিষয়টি স্থানীয়দের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। সেতুর সংযোগ সড়ক যে জায়গাগুলোতে হওয়ার কথা, তা প্রায় অংশ সরকারি জায়গা। কিছু ব্যক্তিগত রয়েছে। বাড়িঘরের মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা স্থানীয়ভাবে এটা মীমাংসা করে আসবেন বলেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত