Ajker Patrika

শ্যামনগরের উপকূল রক্ষা বাঁধে ফাটল, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০: ২৬
Thumbnail image

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনির দুর্গাবাটি এলাকার উপকূল রক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। আট মাসের ব্যবধানে এক স্থানে দুবার ফাটল দেখা দেওয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেরামত কাজ সম্পূর্ণ না করে ফেলে রাখায় ফাটল দেখা দিয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে খোলপেটুয়া নদীর তীরবর্তী পাঁচ নম্বর পোল্ডারের ওই অংশে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

স্থানীয়রা বলেন, করেছে আট মাস আগে একই অংশে ভাঙন দেখা দিলে পাউবো আওতায় সংস্কার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফেয়ার এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু ঠিকাদার কাজ সম্পূর্ণ না করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। চার মাসের ব্যবধানে একই স্থানে ধসের ঘটনায় আবারও ভাঙনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বিকেলে দুর্গাবাটি সাইক্লোন শেল্টারের দক্ষিণ পাশের বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় বাঁধের নদী অংশের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ফুট জায়গা লম্বালম্বিভাবে পাশের খোলপেটুয়া নদীর দিকে দেবে যায়। এ ঘটনায় ফাটল দেখা দেওয়া বাঁধের পাশে বসবাসরত গ্রামবাসীসহ চিংড়িঘের মালিকদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা ভর করে। গ্রামবাসীরা জানান শুষ্ক মৌসুমে বাঁধে ফাটলের ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। একই অংশে চলমান সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। 

দুর্গাবাটি গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নীলকান্ত রপ্তান বলেন, গতকাল ভাটার সময় বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। পাশের খোলপেটুয়া নদীর একই অংশের চর আগে থেকে দেবে থাকায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। 

সাবেক এই ইউপি সদস্য আরও বলেন, আট মাসের মধ্যে দুইবার একই অংশে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বারবার ফাটলে যেকোনো মুহূর্তে ওই অংশ নদীতে বিলীনের শঙ্কায় পড়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘ফাটল দেখা দেওয়া অংশে কয়েক মাস আগে কাজ শুরু হয়। তবে কিছুদিন কাজ করার পর বস্তা প্লেসিং না করে ঠিকাদারের লোকজন কাজ ছেড়ে যাওয়ায় এ ফাটলের হয়েছে। সংলগ্ন অংশ নদীতে বিলীন হলে শত শত চিংড়ি মাছের ঘেরসহ মিষ্টি পানির পুকুর ভেসে যাওয়া শঙ্কায় রয়েছি।’ 

পাউবোর সাব ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকা বলেন, ফাটল অংশ পরিদর্শন করে ভেতর দিয়ে রিং বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সরঞ্জাম পৌঁছে যাওয়ার পর ভেতর দিয়ে প্রায় আড়াই শ মিটার জায়গাজুড়ে রিং বাঁধ করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত