ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র শঙ্কা কেটে গেছে। তবে এবার উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে বেড়িবাঁধ ভাঙন-আতঙ্ক। তাঁরা জানান, ইতিমধ্যে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর দুটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কমপক্ষে ২১টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ।
নিঝুমদ্বীপ ও দমারচরের মাঝখানে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে দুটি ডলফিন। পরে ভাটার টানে তারা নদীর কিনারায় আটকে পড়ে। জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে ডলফিনগুলো দেখতে পান। খবর পেয়ে আমরাও ছুটে যাই। জেলেরা তাদের সাগরের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল। এতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে। জোয়ারের পানির তোরে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দিনভর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ বৃহস্পতিবার সকালে আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। তিন দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।