Ajker Patrika

সীতাকুণ্ডে উপকূলীয় বন কেটে গড়া জাহাজভাঙা কারখানায় দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
সীতাকুণ্ডে রাজা কাসেমের অবৈধ জাহাজভাঙা কারখানা উচ্ছেদে আজ দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সীতাকুণ্ডে রাজা কাসেমের অবৈধ জাহাজভাঙা কারখানা উচ্ছেদে আজ দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাগর উপকূলীয় বনভূমি দখল করে গড়ে তোলা রাজা কাসেমের অবৈধ জাহাজভাঙা কারখানা উচ্ছেদে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সলিমপুর উপকূলে কোহিনূর স্টিল নামের ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময় কারখানার ভেতরে থাকা কিছু স্থাপনা ও ভবনের অবশিষ্টাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন, উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান।

ইউএনও ফখরুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথম দফায় কারখানার বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় অবশিষ্ট স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। অভিযান শেষে বিকেলে উচ্ছেদ করা খালি জায়গায় বন বিভাগের আনা গাছের চারা রোপণ করা হবে।

রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, জাহাজভাঙা কারখানার উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় ঝাউ, করঞ্জা ও হিজলের প্রায় দুই হাজার চারা রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিকেল থেকেই বন বিভাগের কর্মীরা রোপণকাজে অংশ নেবেন।

পরে একই জায়গাকে ভিন্ন মৌজা দেখিয়ে রাজা কাসেমের স্ত্রী কোহিনূর বেগমের মালিকানাধীন কোহিনূর স্টিলের নামে ফের ইজারা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে বন বিভাগ।

বন বিভাগের দাবি, এরপর উপকূল রক্ষার্থে ৮০/৯০ দশকে বন বিভাগের রোপণ করা ৪ থেকে ৫ হাজার গাছ রাতের আঁধারে কেটে ফেলেন রাজা কাসেম। এ ঘটনায় ২০২৩ সালে বেলা ফের রিট করলে আদালত সেই ইজারাও বাতিল করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত