দিনাজপুরের ফুলবাড়ী
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন। উপজেলায় থাকা মোট ৩০টি করাতকলের ২৪টি অবৈধ বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের তদারকি না থাকায় এসব করাতকল চালানো সম্ভব হচ্ছে।
কলগুলোতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ফলদ, ঔষধিসহ বিভিন্ন বনজ গাছ। রাতে কিংবা দিনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে কাঠ চেরাইয়ের কাজ। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করাতকল বিধিমালা, ২০১২ মোতাবেক, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে, এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া সকাল ৬টার পূর্বে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে করাতকল চালানোর নিয়ম না থাকলেও এসব তোয়াক্কা করছেন না অবৈধ করাতকল মালিকেরা।
বন বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় মোট ৩০টি করাতকল রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি অবৈধ, এগুলোর অনুমতিপত্রও নেই। শুধু ৬টি করাতকলের বৈধতা রয়েছে।
নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সড়কের পাশে করাতকল স্থাপনের ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। একইভাবে পাড়া-মহল্লায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা করাতকলের কারণে বিকট শব্দে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং আশপাশের কোমলমতি শিশুসহ ছাত্র-ছাত্রীদের।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, প্রশাসন ও বন বিভাগের তদারকির অভাবেই ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে এসব করাতকল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক করাতকল মালিক বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে মিল চালানো হচ্ছে।’
নীতিমালা অমান্য করে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজসংলগ্ন স্থানে অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মানিক রতন। তিনি বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলা মামলার ২৪ নম্বর আসামি। বর্তমানে জামিনে আছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ক্ষমতার দাপটে তাঁর এই কল চালিয়ে গেছেন, যা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।
একইভাবে পৌর শহরের জনবসতি এলাকায় অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন আরও এক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্রনাথ বর্মণ। তিনি বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলা মামলার ২০ নম্বর আসামি।
আওয়ামী লীগ নেতা মানিক রতন বলেন, ‘আমরা ২০-৩০ বছর ধরে এই করাতকল চালাচ্ছি। প্রথমে আমার বাবার নামে ছিল। এরপর আমার ভাই রফিকুল ইসলামের নামে লাইসেন্স করি। তবে হালনাগাদ করা হয়নি। দেড় বছর আগে টাকা জমা দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ হালনাগাদ করেনি। তারা নবায়ন না করলে আমাদের কী করার আছে?’
অবৈধ তালিকায় থাকা হাসপাতালসংলগ্ন করাতকলের মালিক ইউসুফ আলী বলেন, ‘এর আগে আবেদন করেছিলাম লাইসেন্স দেয়নি। গত বছরের ২১ মে আমাকে মামলা দিয়েছে, মামলা চলমান রয়েছে।’
করাতকলের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘আগে আমার লাইসেন্স ছিল। নবায়নের জন্য আবেদন করেছি, পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকার কারণে নবায়ন হয়নি। বারবার তাগাদা দিয়েও নবায়ন হচ্ছে না। নতুন করে আবেদন করেও কাজ হচ্ছে না।’
বন বিভাগের ফুলবাড়ী বিট অফিসার শহিদুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে ৫টি করাতকল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোকে লাইসেন্স করার জন্য তাগাদা দিয়ে নোটিশ করা হয়েছে।
বন বিভাগের মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আলামিন হক বলেন, ‘অনেকে আদালতের আদেশ অমান্য করে চালু রেখেছে। বিষয়গুলো নিয়ে জেলা মিটিংয়ে জানানো হয়েছে। শিগগির উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসাহাক আলী জানান, ‘বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে বৈধ-অবৈধ করাতকলের তালিকা নিয়ে বিধি মোতাবেক অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন। উপজেলায় থাকা মোট ৩০টি করাতকলের ২৪টি অবৈধ বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের তদারকি না থাকায় এসব করাতকল চালানো সম্ভব হচ্ছে।
কলগুলোতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ফলদ, ঔষধিসহ বিভিন্ন বনজ গাছ। রাতে কিংবা দিনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে কাঠ চেরাইয়ের কাজ। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করাতকল বিধিমালা, ২০১২ মোতাবেক, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে, এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া সকাল ৬টার পূর্বে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে করাতকল চালানোর নিয়ম না থাকলেও এসব তোয়াক্কা করছেন না অবৈধ করাতকল মালিকেরা।
বন বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় মোট ৩০টি করাতকল রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি অবৈধ, এগুলোর অনুমতিপত্রও নেই। শুধু ৬টি করাতকলের বৈধতা রয়েছে।
নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সড়কের পাশে করাতকল স্থাপনের ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। একইভাবে পাড়া-মহল্লায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা করাতকলের কারণে বিকট শব্দে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং আশপাশের কোমলমতি শিশুসহ ছাত্র-ছাত্রীদের।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, প্রশাসন ও বন বিভাগের তদারকির অভাবেই ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে এসব করাতকল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক করাতকল মালিক বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে মিল চালানো হচ্ছে।’
নীতিমালা অমান্য করে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজসংলগ্ন স্থানে অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মানিক রতন। তিনি বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলা মামলার ২৪ নম্বর আসামি। বর্তমানে জামিনে আছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ক্ষমতার দাপটে তাঁর এই কল চালিয়ে গেছেন, যা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।
একইভাবে পৌর শহরের জনবসতি এলাকায় অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন আরও এক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্রনাথ বর্মণ। তিনি বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলা মামলার ২০ নম্বর আসামি।
আওয়ামী লীগ নেতা মানিক রতন বলেন, ‘আমরা ২০-৩০ বছর ধরে এই করাতকল চালাচ্ছি। প্রথমে আমার বাবার নামে ছিল। এরপর আমার ভাই রফিকুল ইসলামের নামে লাইসেন্স করি। তবে হালনাগাদ করা হয়নি। দেড় বছর আগে টাকা জমা দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ হালনাগাদ করেনি। তারা নবায়ন না করলে আমাদের কী করার আছে?’
অবৈধ তালিকায় থাকা হাসপাতালসংলগ্ন করাতকলের মালিক ইউসুফ আলী বলেন, ‘এর আগে আবেদন করেছিলাম লাইসেন্স দেয়নি। গত বছরের ২১ মে আমাকে মামলা দিয়েছে, মামলা চলমান রয়েছে।’
করাতকলের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘আগে আমার লাইসেন্স ছিল। নবায়নের জন্য আবেদন করেছি, পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকার কারণে নবায়ন হয়নি। বারবার তাগাদা দিয়েও নবায়ন হচ্ছে না। নতুন করে আবেদন করেও কাজ হচ্ছে না।’
বন বিভাগের ফুলবাড়ী বিট অফিসার শহিদুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে ৫টি করাতকল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোকে লাইসেন্স করার জন্য তাগাদা দিয়ে নোটিশ করা হয়েছে।
বন বিভাগের মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আলামিন হক বলেন, ‘অনেকে আদালতের আদেশ অমান্য করে চালু রেখেছে। বিষয়গুলো নিয়ে জেলা মিটিংয়ে জানানো হয়েছে। শিগগির উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসাহাক আলী জানান, ‘বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে বৈধ-অবৈধ করাতকলের তালিকা নিয়ে বিধি মোতাবেক অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হবিগঞ্জ শহরের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে জনি দাশ (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর বড় ভাই জীবন দাশ জয়। তিনি বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
১ মিনিট আগেবাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, হতাহত ব্যক্তিরা একই পরিবারের সদস্য। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার, ডাকাতি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর, নবীনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছ
১ ঘণ্টা আগেওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় কোনো অরাজকতা তৈরি ও দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা তাঁদের রিমান্ডে এনে এসব তথ্যসহ বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। ধর্ষণের মামলায় ফজর আলী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলে
২ ঘণ্টা আগেআশুরা উপলক্ষে রাজধানীতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারওয়ার। তিনি জানান, আশুরা ঘিরে রাজধানীর সব শিয়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে