Ajker Patrika

গাংনীতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা রসুনে ৩০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ১৮
উপজেলার বামন্দী বাজার। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার বামন্দী বাজার। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনীতে আবারও গরম পেঁয়াজের বাজার। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। গত হাটেও পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ছিল ৪০ টাকা। রসুন ছিল ১০০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। ক্রেতারা বলছেন, দাম কমার চেয়ে বাড়ে বেশি। দাম যখন কমে, তখন ৫ থেকে ১০ টাকা কমে। আর বেড়ে গেলে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এর মূল কারণ সিন্ডিকেট ছাড়া আর কিছুই নয়।

ক্রেতারা বলছেন, বাজার মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে, না হলে ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ঠকছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, বাজার মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হবে না। সমস্ত সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে।

গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার বামন্দী বাজারে দেখা গেছে, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, রসুন ১২০ টাকা এবং আলু ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি। আলুর দামে স্বস্তি রয়েছে ক্রেতাদের। সবজির দামও কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ী ও বাজার করতে আসা বিভিন্ন ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার করতে আসা মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বাজারে এসে দেখি হঠাৎ পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা। গত হাটেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি। রসুন ১৩০ টাকা কেজি, যা গত হাটে ছিল ১০০ টাকা কেজি। বাজারে আলু খুবই সস্তা—১০০ টাকায় পাঁচ কেজি। হঠাৎ পেঁয়াজ ও রসুনের দাম এত বেড়ে গেল কেন বুঝতে পারছি না।’

বাজার করতে আসা আক্কাস আলী বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। মাঝে মাঝে কিছু জিনিসের দাম বাড়ে কেন জানি না। চাষিরা কোনো কিছু বিক্রি করতে গেলেই দাম থাকে না আর কিনতে গেলে দাম বেড়ে যায়। আজ বাজার করতে এসে দেখছি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেড়েছে।

তেরাইল মাঠের পেঁয়াজচাষি আলফাজ উদ্দিন বলেন, আমার পেঁয়াজ বাড়ি থেকে গ্রামের মানুষ কিনে নিয়ে গেছে। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন থাকলে দাম একটু বেশি পেতাম।

বামন্দী বাজারের ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ বলেন, বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ১৩০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা, আলু ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি। মনে হচ্ছে দাম আরও বাড়বে। গত হাটে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০ টাকা আর রসুন ১০০ টাকা।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো সিন্ডিকেট তৈরি করতে দেওয়া হবে না। দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত নিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য বাজারের পরিস্থিতি খারাপ হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণের সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত