যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে শিলা পড়ে বোরো ধানের খেত তছনছ হয়ে গেছে। জমিতে কেটে রাখা ধান পানির নিচে চলে গেছে। সেই সঙ্গে না কাটা ধান অধিকাংশ শিলার আঘাতে ঝরে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, আজ সোমবার রেলগাড়ির মতো মাঠের ভেতর দিয়ে ছুটে গেছে শিলাবৃষ্টি। যেদিক দিয়ে গেছে, সর্বনাশ করে গেছে। ধানখেত হয়ে গেছে খড়ের খেত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে চৌগাছা, সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলায়। শেষ সময়ে শিলাবৃষ্টিতে ধানখেত এমন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চিন্তিত হাজারো চাষি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ও কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ শেষে আজ বেলা ২টার দিকে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা পড়ে। এরপর শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। কিছুক্ষণের মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখীর সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। একপর্যায়ে বৃষ্টি কমে এলেও প্রচুর শিলা পড়তে থাকে।
চৌগাছার সিংহঝুলী মাঠপাড়া গ্রামের কৃষক টনিরাজ জানান, তাঁর খেতে শুধু ধানগাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে, শিষ থেকে ধান ঝরে পড়েছে মাটিতে। শিলার আঘাতে ঝরে পড়া ধানে খেতের মাটি সোনালি রঙের হয়ে আছে।
টনিরাজ বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে ধান করেছিলাম। ১৫ কাঠা কেটেছিলাম, ২৫ কাঠা কাটা হয়নি। শিলাবৃষ্টির পর মাঠে গিয়ে দেখি, একটি ধানও নেই। জমির লিজের ২০ হাজার টাকা দিতে হবে খেতের মালিককে। সব শেষ হয়ে গেছে।’
একই গ্রামের কৃষক শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ‘এবার ১১ বিঘায় ধান চাষ করেছিলাম। এর মধ্যে চার বিঘা কাটা হয়নি এবং দেড় বিঘা কেটে খেতেই রেখেছিলাম। সব ধান শেষ হয়ে গেছে। যেগুলো কাটা হয়নি, সব ঝরে গেছে। এতে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সিংহঝুলী, বলিদাপাড়া, ঝাউতলা, জামালতা, জগন্নাথপুর ও কয়ারপাড়া মাঠে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার ২-৩ হাজার হেক্টর জমির বেশির ভাগ ধান ঝরে গেছে। এ ছাড়া পৌর এলাকার পাঁচনমনা, ইছাপুর, তারিনিবাস, কংশারীপুর, স্বরূপদাহ ও চৌগাছা সদর ইউনিয়নের লস্করপুর, পিতম্বরপুর, মন্মথপুর মাঠের ধানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধানের পাশাপাশি পটোল, কচুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বাঘারপাড়ার কয়েকটি মাঠে পাকা ধান কেটে স্তূপ করা গাদায় বজ্রপাতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আকস্মিক এই শিলাবৃষ্টিতে যশোরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চৌগাছা। মাঠের ৭০-৮০ ভাগ ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ বছর ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে আজ পর্যন্ত কাটা হয়েছে ৫১ ভাগ জমির ধান। এখন কেটে রাখা ধানের খেত থেকে পানি বের করার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটবে। তাই আমরা চাষিদের পাকা ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
যশোরে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে শিলা পড়ে বোরো ধানের খেত তছনছ হয়ে গেছে। জমিতে কেটে রাখা ধান পানির নিচে চলে গেছে। সেই সঙ্গে না কাটা ধান অধিকাংশ শিলার আঘাতে ঝরে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, আজ সোমবার রেলগাড়ির মতো মাঠের ভেতর দিয়ে ছুটে গেছে শিলাবৃষ্টি। যেদিক দিয়ে গেছে, সর্বনাশ করে গেছে। ধানখেত হয়ে গেছে খড়ের খেত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে চৌগাছা, সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলায়। শেষ সময়ে শিলাবৃষ্টিতে ধানখেত এমন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চিন্তিত হাজারো চাষি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ও কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ শেষে আজ বেলা ২টার দিকে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা পড়ে। এরপর শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। কিছুক্ষণের মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখীর সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। একপর্যায়ে বৃষ্টি কমে এলেও প্রচুর শিলা পড়তে থাকে।
চৌগাছার সিংহঝুলী মাঠপাড়া গ্রামের কৃষক টনিরাজ জানান, তাঁর খেতে শুধু ধানগাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে, শিষ থেকে ধান ঝরে পড়েছে মাটিতে। শিলার আঘাতে ঝরে পড়া ধানে খেতের মাটি সোনালি রঙের হয়ে আছে।
টনিরাজ বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে ধান করেছিলাম। ১৫ কাঠা কেটেছিলাম, ২৫ কাঠা কাটা হয়নি। শিলাবৃষ্টির পর মাঠে গিয়ে দেখি, একটি ধানও নেই। জমির লিজের ২০ হাজার টাকা দিতে হবে খেতের মালিককে। সব শেষ হয়ে গেছে।’
একই গ্রামের কৃষক শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ‘এবার ১১ বিঘায় ধান চাষ করেছিলাম। এর মধ্যে চার বিঘা কাটা হয়নি এবং দেড় বিঘা কেটে খেতেই রেখেছিলাম। সব ধান শেষ হয়ে গেছে। যেগুলো কাটা হয়নি, সব ঝরে গেছে। এতে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সিংহঝুলী, বলিদাপাড়া, ঝাউতলা, জামালতা, জগন্নাথপুর ও কয়ারপাড়া মাঠে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার ২-৩ হাজার হেক্টর জমির বেশির ভাগ ধান ঝরে গেছে। এ ছাড়া পৌর এলাকার পাঁচনমনা, ইছাপুর, তারিনিবাস, কংশারীপুর, স্বরূপদাহ ও চৌগাছা সদর ইউনিয়নের লস্করপুর, পিতম্বরপুর, মন্মথপুর মাঠের ধানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধানের পাশাপাশি পটোল, কচুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বাঘারপাড়ার কয়েকটি মাঠে পাকা ধান কেটে স্তূপ করা গাদায় বজ্রপাতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আকস্মিক এই শিলাবৃষ্টিতে যশোরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চৌগাছা। মাঠের ৭০-৮০ ভাগ ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ বছর ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে আজ পর্যন্ত কাটা হয়েছে ৫১ ভাগ জমির ধান। এখন কেটে রাখা ধানের খেত থেকে পানি বের করার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটবে। তাই আমরা চাষিদের পাকা ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নড়াই খাল যেন মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালটির স্থির পানিতে সারা বছরই চোখে পড়ে মশার লার্ভা। নিকটবর্তী জিরানি খালেরও একই দশা। এতে খাল দুটি হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিস্তারের উৎস। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এ দুটি খালসংলগ্ন বনশ্রী, আফতাবনগর ও নন্দীপাড়া
২ ঘণ্টা আগেমৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
২ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে
২ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
২ ঘণ্টা আগে