Ajker Patrika

তৃতীয় দফায় বাড়ল ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ

প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মে ২০২১, ১৭: ১৭
তৃতীয় দফায় বাড়ল ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ

শার্শা (যশোর): তৃতীয় ধাপে বাড়ানো হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। এ দফায় ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকছে। ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ও ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট রোধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে প্রথম ধাপে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ০৯ মে পর্যন্ত ১৪ দিন ভারতে যাতায়াত বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ ছিল ০৯মে থেকে ২৩ মে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশি যাত্রীরা দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ভারতের ২৪ পরগনা জেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় ১৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এতে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত-বাংলাদেশের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু করোনার কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় এ যাতায়াত কমেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানান প্রতিবন্ধকতায় বাণিজ্যও কমে এসেছে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। বন্ধ রয়েছে ট্রেন, বাস ও অফিস। ফলে পণ্য সরবরাহ কমায় আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য বিঘ্নিত হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ভারতের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি, রপ্তানি সচল রয়েছে। তবে পরিমাণের দিক দিয়ে বাণিজ্য কমেছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে সাড়ে ৪শ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি এবং প্রায় ১৫০টি ট্রাকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হতো। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধের কারণে বাণিজ্যের পরিমাণ কমেছে। ১৯মে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩৬৯ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। রপ্তানি হয় ২৮ ট্রাক পণ্য। গত ২০ মে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩৬৫ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আর রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১৯ ট্রাক পণ্য। এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, নিষেধাজ্ঞার মাঝেও গতকাল ২১ মে ৮৭ জন বাংলাদেশি ভারত থেকে ফিরেছেন। এদের যশোর জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

জানা যায়—প্রতিবছর চিকিৎসা, ব্যবসা আর ভ্রমণের কাজে ১৮ থেকে ২০ লাখ বাংলাদেশি ভারতে যায়। এ হিসেবে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত। এসব যাত্রীদের মধ্যে অর্ধেক যায় চিকিৎসার জন্য। নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা নতুন করে আর যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। দেশে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ভুক্তভোগীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত