Ajker Patrika

যবিপ্রবিতে ১৫ চাকরিপ্রার্থীকে আটকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি 

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯: ৪২
যবিপ্রবিতে ১৫ চাকরিপ্রার্থীকে আটকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) লিফট অপারেটরের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা অন্তত ১৫ চাকরিপ্রার্থীকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আনিছুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরানকে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো. মেহেদী হাসান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল হক। 

সম্প্রতি লিফট অপারেটরের ১২টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩৮ প্রার্থীকে পরীক্ষার জন্য গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ডাকা হয়। 

অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পরীক্ষা দিতে গেলে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তাঁদের নিয়ে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখেন এবং লোহার রড, এসএস পাইপ, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে প্রার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত ১৫ জনকে ক্যাম্পাসের ছাত্র হলে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। 

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিকেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করতে গেলে সেটিও ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। 

ঘটনার পর রাতে আরাফাত হোসেন নামে ভুক্তভোগী এক চাকরিপ্রার্থী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলের নিবাসী বেলাল হোসেন, রাফি হাসান, রেদোয়ান হাসান রাফি, রায়হান রাব্বি, শোয়েব ও শাহিনুরসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয় জনকে। 

মামলার পরে ঘটনার দিন গভীর রাত ২টার দিকে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে অভিযান চালাতে যায়। কিন্তু হলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে সমবেত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকেন। 

মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। আমার কোনো লোকজন কাউকে আটকে রাখেনি। যেসব কক্ষের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আমার প্রতিপক্ষের এক নেতার অনুসারীরা থাকে।’ এ ঘটনায় এখনো পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারের অপহরণের ঘটনা আজ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় আমি বিষয়টি অবহিত করি। রিজেন্ট বোর্ড অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছে। তাদের সিন্ধান্ত অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ ডিসেম্বর রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে। এ ছাড়া চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণ ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করবে বলে জানান তিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত