নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগে অবরোধ করলে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। একজনকে আটক করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটার ছবি তুলতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা ও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ফটোসাংবাদিকেরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের ফলে চারপাশের রাস্তায় যানজট তৈরি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশও অবস্থান নেয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁরা বিচ্ছিন্নভাবে শাহবাগ থানা ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সাজিদ সেতু বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিপেটা করে সাতজনকে আহত করেছে। সোনিয়া ও শাওন নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর। কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। তবে তানজিদ নামে একজন ছাড়া সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে। তানজিদকে না ছাড়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করব। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন, রেজোয়ানা বিন্দু, সোনিয়া হোসেন, মইনুল হাসান, শাওন সোমা, আলী হোসেন।’
চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের সদস্য তাসলিমা লিমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহত সাতজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। একজনের কিডনি, আরেকজনের অণ্ডকোষ বরাবর আঘাত করা হয়েছে।’
এদিকে যখন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হচ্ছিল তখন ঘটনার ছবি তুলতে গেলে রমনা জোনের এডিসি হারুনসহ দুজন পুলিশ সদস্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোসাংবাদিককে ছবি তুলতে বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন উপস্থিত ফটোসাংবাদিকেরা। পেশাগত কাজে বাধার শিকার হন দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক আব্দুল গনি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ যখন আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করছিল তখন আমরা ছবি তুলতে যাই। এ সময় রমনা জোনের এডিসি হারুনসহ অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে চাইলে তাঁরা আমাদের ক্যামেরা বন্ধ রাখতে বলেন এবং ছবি তুলতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা আমাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। আমিসহ ঢাকা ট্রিবিউনের ফটো সাংবাদিক অপু, প্রথম আলোর শুভ্র কান্তি দাস, দেশ রূপান্তরের মারুফ রহমান এবং ইউএনবির আবু সুফিয়ান জুয়েল ও রাকিবুল হাসানকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।’
এ বিষয়ে ইউএনবির ফটো সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এডিসি হারুন বলছে যে, আমরা (ফটোসাংবাদিকেরা) নাকি রাস্তা ব্লক করে রাখছি। তাই সরতে বলছে।’ ইউএনবির আরেক ফটো সাংবাদিক আবু সুফিয়ান জুয়েল বলেন, ‘তারা আমাদের কয়েকজন সহকর্মীকে ছবি তুলতে বাধা দেয়, তখন আমরা কয়েকজন এক হয়ে এমন আচরণের প্রতিবাদ করি। সে সময় পুলিশ আমাদের ধাক্কা দেয় এবং দূরে চলে যেতে বলে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা জোনের এডিসি হারুন আন্দোলনকারী ও ফটো সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা অন্যায়ভাবে রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেখান থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়া এবং ছবি তুলতে নিষেধ করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে কেন হাতাহাতি হবে? তাঁরা তো এখানে কোনো সমস্যা তৈরি করেন নাই। যারা রাস্তা অবরোধ করেছিল, তাঁদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। সাংবাদিকদের কেন বাধা দেব, তাঁরা তো ফ্রি।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে তাঁরা (আন্দোলনকারীরা) রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাই আমরা নিরাপত্তার জন্য তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি। তবে কোনো ধরনের আহতের ঘটনা ঘটেনি।’
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগে অবরোধ করলে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। একজনকে আটক করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটার ছবি তুলতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা ও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ফটোসাংবাদিকেরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের ফলে চারপাশের রাস্তায় যানজট তৈরি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশও অবস্থান নেয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁরা বিচ্ছিন্নভাবে শাহবাগ থানা ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সাজিদ সেতু বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিপেটা করে সাতজনকে আহত করেছে। সোনিয়া ও শাওন নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর। কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। তবে তানজিদ নামে একজন ছাড়া সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে। তানজিদকে না ছাড়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করব। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন, রেজোয়ানা বিন্দু, সোনিয়া হোসেন, মইনুল হাসান, শাওন সোমা, আলী হোসেন।’
চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের সদস্য তাসলিমা লিমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহত সাতজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। একজনের কিডনি, আরেকজনের অণ্ডকোষ বরাবর আঘাত করা হয়েছে।’
এদিকে যখন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হচ্ছিল তখন ঘটনার ছবি তুলতে গেলে রমনা জোনের এডিসি হারুনসহ দুজন পুলিশ সদস্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোসাংবাদিককে ছবি তুলতে বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন উপস্থিত ফটোসাংবাদিকেরা। পেশাগত কাজে বাধার শিকার হন দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক আব্দুল গনি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ যখন আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করছিল তখন আমরা ছবি তুলতে যাই। এ সময় রমনা জোনের এডিসি হারুনসহ অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে চাইলে তাঁরা আমাদের ক্যামেরা বন্ধ রাখতে বলেন এবং ছবি তুলতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা আমাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। আমিসহ ঢাকা ট্রিবিউনের ফটো সাংবাদিক অপু, প্রথম আলোর শুভ্র কান্তি দাস, দেশ রূপান্তরের মারুফ রহমান এবং ইউএনবির আবু সুফিয়ান জুয়েল ও রাকিবুল হাসানকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।’
এ বিষয়ে ইউএনবির ফটো সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এডিসি হারুন বলছে যে, আমরা (ফটোসাংবাদিকেরা) নাকি রাস্তা ব্লক করে রাখছি। তাই সরতে বলছে।’ ইউএনবির আরেক ফটো সাংবাদিক আবু সুফিয়ান জুয়েল বলেন, ‘তারা আমাদের কয়েকজন সহকর্মীকে ছবি তুলতে বাধা দেয়, তখন আমরা কয়েকজন এক হয়ে এমন আচরণের প্রতিবাদ করি। সে সময় পুলিশ আমাদের ধাক্কা দেয় এবং দূরে চলে যেতে বলে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা জোনের এডিসি হারুন আন্দোলনকারী ও ফটো সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা অন্যায়ভাবে রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেখান থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়া এবং ছবি তুলতে নিষেধ করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে কেন হাতাহাতি হবে? তাঁরা তো এখানে কোনো সমস্যা তৈরি করেন নাই। যারা রাস্তা অবরোধ করেছিল, তাঁদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। সাংবাদিকদের কেন বাধা দেব, তাঁরা তো ফ্রি।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে তাঁরা (আন্দোলনকারীরা) রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাই আমরা নিরাপত্তার জন্য তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি। তবে কোনো ধরনের আহতের ঘটনা ঘটেনি।’
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ধ্বংস ঠেকানো যাচ্ছে না। ঈদের ছুটিতে বেশ কয়েকটি ভবন ভাঙা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে কিছু স্থাপনা ভাঙার কাজ স্থগিত হয়েছে। সাধারণত ছুটির সময়গুলোতে ভবন ভাঙার কাজ করা হয়ে থাকে। কারণ এ সময় অফিস বন্ধ থাকে, তদারকিও কম থাকে।
২ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এটি এ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল। তবে এই ভরসার জায়গায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পার হলেও ২০২৫ সালে এসে মাত্র ৪১ জন চিকিৎসক দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম।
৩ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়া ইউনিয়নে ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) তালিকায় দুস্থদের বাদ দিয়ে সচ্ছলদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ঈদ উপলক্ষে দেওয়া ভিজিএফের চাল পায়নি দুস্থরা। ঈদুল আজহার আগের দিন ভিজিএফের চাল বিতরণ শেষ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছর ভাঙনে সংকুচিত হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এ বছর বর্ষার শুরুতে ভাঙনের কবলে পড়েছে সৈকতের সবুজ বেষ্টনী হিসেবে পরিচিত ঝাউবাগান। গত ১৫ দিনে কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত অন্তত ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সৈকততীরের দৃষ্টিনন্দন ঝাউবন সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে