Ajker Patrika

বিএনপির অবরোধে ‘শিকলবন্দী’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৪: ২৫
বিএনপির অবরোধে ‘শিকলবন্দী’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি ফটকে শিকল ও তালা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের একাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ, জয়বাংলা, বিশমাইল, মীর মশাররফ হোসেন হলের ফটকে তালা দেয় ছাত্রদল। এই চারটি ফটকই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসংলগ্ন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দিকে ইসলামনগর, আমবাগান, গেরুয়াসংলগ্ন ফটগুলোতেও তালা দেওয়া হয়।

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক বলেন, ‘সরকার যত বেশি বাধা ও হামলা-মামলা দেবে, সরকারের ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের পতন তত ভয়ংকর হবে। আমরা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এই রাজপথেই মোকাবিলা করব। আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ফাউ খাওয়া বন্ধ করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখা। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তারা (ছাত্রলীগ) তাদের বিগত দিনের অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে দেশের মানুষের এই আন্দোলনে পাশে থেকে তাদের কৃতকর্মের কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করবে। অন্যথায় তাদের রাজপথে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ঝুলছে তালা।জাবি ছাত্রদলের আরেক নেতা জুবায়ের আল মাহমুদ বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের পতনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন রয়েছে। তাই তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা জাবির প্রবেশ দুয়ারে তালা লাগিয়েছি।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, ছয়টি ফটকই অল্প কিছুক্ষণ তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। কিন্তু আমবাগান এলাকাসংলগ্ন ফটকটি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফটকের তালাগুলো ভেঙে যাতায়াতব্যবস্থার সুযোগ তৈরি করে দেন ফটকসংশ্লিষ্ট থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) বলেন, ‘যেসব ফটকে তালা দেওয়া হয়েছিল, তার সব কটি ফটকের তালা ভেঙে এখন যোগাযোগব্যবস্থা সচল করা হয়েছে। যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কাজেই সকালে বের হয়েছিলাম। মীর মশাররফ হোসেন হলের ফটক দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখি ফটক তালাবদ্ধ। পরে প্রধান ফটকে এসে দেখি সেখানেও তালা দেওয়া হয়েছে এবং ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলছে। তবে কারা তালা লাগিয়েছে আমাদের চোখে পড়েনি।’

প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমি দ্রুত তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি। কারণ এর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রবেশ করবে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্যই নিরাপত্তা অফিসকে দ্রুত সবগুলো তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত