Ajker Patrika

ঈদের বাজার: পোশাকের দাম বেশি, আক্ষেপ দুপক্ষেরই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮: ৫৭
রমজানে ছুটির দিন মানে বিপণিবিতানগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রমজানে ছুটির দিন মানে বিপণিবিতানগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পবিত্র রমজান মাসে ছুটির দিন মানে বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। গতকাল শুক্রবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকে ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর অধিকাংশ শপিং মলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্রেতারা। তবে প্রায় সবার মুখে শোনা গেছে একই আক্ষেপ—‘এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি।’ কৌতূহলের বিষয় হলো, শুধু ক্রেতা নয়, বিক্রেতারাও বলছেন একই কথা।

পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। বিশেষ করে যাঁদের আয় নির্ধারিত ও সীমিত। মূল্যস্ফীতির চাপে ছোট বাজেটে ঈদের কেনাকাটার তালিকায় কাঁচি চালাতে হচ্ছে তাঁদের। পরিবার নিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে আসা তানভীর হোসেন বলেন, ‘গতবারের ২ হাজারের ড্রেস এবার সাড়ে ৩ হাজারেও পাচ্ছি না। আমাদের তো বেতনের গোনা টাকা। চাইলেই অঢেল খরচ করা সম্ভব নয়। যা যা কিনব ভেবেছিলাম, সেখান থেকে কমাতে হচ্ছে।’

তানভীরের মেয়ের জন্য পার্টি গাউনের সঙ্গে নতুন জুতা কেনার পরিকল্পনা ছিল। গাউনে অনেক টাকা খরচ হওয়ায় জুতা এবার আর কেনা হচ্ছে না।

দাম বেশি হওয়ার ব্যাপারটা সমস্যায় ফেলছে ব্যবসায়ীদেরও। কয়েকজন পোশাক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে তেমন ইঙ্গিত মিলল।

‘গতবার ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যে যেই ড্রেস বেচতে পারছি, এবার তা সাড়ে ৩ হাজারে কিনতেও পারি নাই। এয়ারে (বিমানে) কিছু মাল আসছে। তাতে কস্টিং (খরচ) অনেক বেশি’—বললেন বসুন্ধরা সিটির পোশাকের দোকান টম অ্যান্ড জেরির বিক্রয়কর্মী রাশেদ হোসেন। একই কথা শোনা গেল আরও কয়েকজনের কাছে। তাঁরা বলেন, ভারত থেকে এবার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পোশাক আমদানি হয়নি। এ সুযোগে দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকেরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে দেশি পোশাকও বেশি দামে কিনতে হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আকাশপথে পণ্য আনায় খরচ বেশি পড়েছে। ফলে গতবারের তুলনায় এবার ঈদের পোশাকের দাম বেশি।

বসুন্ধরা সিটির রাইসা ফ্যাশনের মালিক মনির হোসেন জানালেন, গতবারের চেয়ে এবার দেশে তৈরি পোশাকের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে।

পুরো ঈদের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তিনি। ব্যবসায়ী মনির বলেন, ‘প্রতিবারের মতো ভারতে গিয়ে আমরা ড্রেস আনতে পারি নাই। এয়ারে সামান্য কিছু আসছে। কস্টিং বেশি হওয়ায় সেগুলোর দাম অনেক বেশি পড়ছে।’

ভারতের বদলে পাকিস্তান, চীন ও থাইল্যান্ডের কিছু পোশাক এবার ঈদের বাজারে এসেছে বলে জানান দোকানিরা। তবে ভারতীয় পণ্যের তুলনায় সেগুলোর দাম বেশি। বিক্রয়কর্মী রাশেদ হোসেন বলেন, ‘ইন্ডিয়ার যে ড্রেসটা আমরা ৫ হাজার টাকায় বেচতে পারি, পাকিস্তানের সেই ড্রেস ১৫ হাজারে বেচতে হয়।

পাকিস্তানের ড্রেসের কোয়ালিটি ভালো হয়। সে কারণে দামও অনেক বেশি। থাই বা চায়না মালেরও একই অবস্থা।’

ভারত থেকে পণ্য না আসায় একদিকে যেমন আক্ষেপ করছেন ব্যবসায়ীরা, অপর দিকে ভারতের ভিসা প্রায় বন্ধ থাকায় কিছু বাড়তি ক্রেতা আসছেন বলে জানান তাঁরা। বসুন্ধরার জুতার দোকান শু গ্যালারির ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাঈম বলেন, ‘আমাদের দেশে সচ্ছল শ্রেণির একাংশ ভারত থেকে ঈদের শপিং করে। এবার ভিসা কার্যত বন্ধ থাকায় তারা দেশে কেনাকাটা করছে। তাদের একটা বড় অংশ ঢাকার বসুন্ধরার মতো বড় মার্কেটগুলোতে আসছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত