নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পবিত্র রমজান মাসে ছুটির দিন মানে বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। গতকাল শুক্রবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকে ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর অধিকাংশ শপিং মলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্রেতারা। তবে প্রায় সবার মুখে শোনা গেছে একই আক্ষেপ—‘এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি।’ কৌতূহলের বিষয় হলো, শুধু ক্রেতা নয়, বিক্রেতারাও বলছেন একই কথা।
পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। বিশেষ করে যাঁদের আয় নির্ধারিত ও সীমিত। মূল্যস্ফীতির চাপে ছোট বাজেটে ঈদের কেনাকাটার তালিকায় কাঁচি চালাতে হচ্ছে তাঁদের। পরিবার নিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে আসা তানভীর হোসেন বলেন, ‘গতবারের ২ হাজারের ড্রেস এবার সাড়ে ৩ হাজারেও পাচ্ছি না। আমাদের তো বেতনের গোনা টাকা। চাইলেই অঢেল খরচ করা সম্ভব নয়। যা যা কিনব ভেবেছিলাম, সেখান থেকে কমাতে হচ্ছে।’
তানভীরের মেয়ের জন্য পার্টি গাউনের সঙ্গে নতুন জুতা কেনার পরিকল্পনা ছিল। গাউনে অনেক টাকা খরচ হওয়ায় জুতা এবার আর কেনা হচ্ছে না।
দাম বেশি হওয়ার ব্যাপারটা সমস্যায় ফেলছে ব্যবসায়ীদেরও। কয়েকজন পোশাক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে তেমন ইঙ্গিত মিলল।
‘গতবার ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যে যেই ড্রেস বেচতে পারছি, এবার তা সাড়ে ৩ হাজারে কিনতেও পারি নাই। এয়ারে (বিমানে) কিছু মাল আসছে। তাতে কস্টিং (খরচ) অনেক বেশি’—বললেন বসুন্ধরা সিটির পোশাকের দোকান টম অ্যান্ড জেরির বিক্রয়কর্মী রাশেদ হোসেন। একই কথা শোনা গেল আরও কয়েকজনের কাছে। তাঁরা বলেন, ভারত থেকে এবার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পোশাক আমদানি হয়নি। এ সুযোগে দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকেরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে দেশি পোশাকও বেশি দামে কিনতে হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আকাশপথে পণ্য আনায় খরচ বেশি পড়েছে। ফলে গতবারের তুলনায় এবার ঈদের পোশাকের দাম বেশি।
বসুন্ধরা সিটির রাইসা ফ্যাশনের মালিক মনির হোসেন জানালেন, গতবারের চেয়ে এবার দেশে তৈরি পোশাকের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে।
পুরো ঈদের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তিনি। ব্যবসায়ী মনির বলেন, ‘প্রতিবারের মতো ভারতে গিয়ে আমরা ড্রেস আনতে পারি নাই। এয়ারে সামান্য কিছু আসছে। কস্টিং বেশি হওয়ায় সেগুলোর দাম অনেক বেশি পড়ছে।’
ভারতের বদলে পাকিস্তান, চীন ও থাইল্যান্ডের কিছু পোশাক এবার ঈদের বাজারে এসেছে বলে জানান দোকানিরা। তবে ভারতীয় পণ্যের তুলনায় সেগুলোর দাম বেশি। বিক্রয়কর্মী রাশেদ হোসেন বলেন, ‘ইন্ডিয়ার যে ড্রেসটা আমরা ৫ হাজার টাকায় বেচতে পারি, পাকিস্তানের সেই ড্রেস ১৫ হাজারে বেচতে হয়।
পাকিস্তানের ড্রেসের কোয়ালিটি ভালো হয়। সে কারণে দামও অনেক বেশি। থাই বা চায়না মালেরও একই অবস্থা।’
ভারত থেকে পণ্য না আসায় একদিকে যেমন আক্ষেপ করছেন ব্যবসায়ীরা, অপর দিকে ভারতের ভিসা প্রায় বন্ধ থাকায় কিছু বাড়তি ক্রেতা আসছেন বলে জানান তাঁরা। বসুন্ধরার জুতার দোকান শু গ্যালারির ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাঈম বলেন, ‘আমাদের দেশে সচ্ছল শ্রেণির একাংশ ভারত থেকে ঈদের শপিং করে। এবার ভিসা কার্যত বন্ধ থাকায় তারা দেশে কেনাকাটা করছে। তাদের একটা বড় অংশ ঢাকার বসুন্ধরার মতো বড় মার্কেটগুলোতে আসছে।’
পবিত্র রমজান মাসে ছুটির দিন মানে বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। গতকাল শুক্রবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকে ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর অধিকাংশ শপিং মলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্রেতারা। তবে প্রায় সবার মুখে শোনা গেছে একই আক্ষেপ—‘এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি।’ কৌতূহলের বিষয় হলো, শুধু ক্রেতা নয়, বিক্রেতারাও বলছেন একই কথা।
পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। বিশেষ করে যাঁদের আয় নির্ধারিত ও সীমিত। মূল্যস্ফীতির চাপে ছোট বাজেটে ঈদের কেনাকাটার তালিকায় কাঁচি চালাতে হচ্ছে তাঁদের। পরিবার নিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে আসা তানভীর হোসেন বলেন, ‘গতবারের ২ হাজারের ড্রেস এবার সাড়ে ৩ হাজারেও পাচ্ছি না। আমাদের তো বেতনের গোনা টাকা। চাইলেই অঢেল খরচ করা সম্ভব নয়। যা যা কিনব ভেবেছিলাম, সেখান থেকে কমাতে হচ্ছে।’
তানভীরের মেয়ের জন্য পার্টি গাউনের সঙ্গে নতুন জুতা কেনার পরিকল্পনা ছিল। গাউনে অনেক টাকা খরচ হওয়ায় জুতা এবার আর কেনা হচ্ছে না।
দাম বেশি হওয়ার ব্যাপারটা সমস্যায় ফেলছে ব্যবসায়ীদেরও। কয়েকজন পোশাক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে তেমন ইঙ্গিত মিলল।
‘গতবার ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যে যেই ড্রেস বেচতে পারছি, এবার তা সাড়ে ৩ হাজারে কিনতেও পারি নাই। এয়ারে (বিমানে) কিছু মাল আসছে। তাতে কস্টিং (খরচ) অনেক বেশি’—বললেন বসুন্ধরা সিটির পোশাকের দোকান টম অ্যান্ড জেরির বিক্রয়কর্মী রাশেদ হোসেন। একই কথা শোনা গেল আরও কয়েকজনের কাছে। তাঁরা বলেন, ভারত থেকে এবার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পোশাক আমদানি হয়নি। এ সুযোগে দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকেরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে দেশি পোশাকও বেশি দামে কিনতে হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আকাশপথে পণ্য আনায় খরচ বেশি পড়েছে। ফলে গতবারের তুলনায় এবার ঈদের পোশাকের দাম বেশি।
বসুন্ধরা সিটির রাইসা ফ্যাশনের মালিক মনির হোসেন জানালেন, গতবারের চেয়ে এবার দেশে তৈরি পোশাকের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে।
পুরো ঈদের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তিনি। ব্যবসায়ী মনির বলেন, ‘প্রতিবারের মতো ভারতে গিয়ে আমরা ড্রেস আনতে পারি নাই। এয়ারে সামান্য কিছু আসছে। কস্টিং বেশি হওয়ায় সেগুলোর দাম অনেক বেশি পড়ছে।’
ভারতের বদলে পাকিস্তান, চীন ও থাইল্যান্ডের কিছু পোশাক এবার ঈদের বাজারে এসেছে বলে জানান দোকানিরা। তবে ভারতীয় পণ্যের তুলনায় সেগুলোর দাম বেশি। বিক্রয়কর্মী রাশেদ হোসেন বলেন, ‘ইন্ডিয়ার যে ড্রেসটা আমরা ৫ হাজার টাকায় বেচতে পারি, পাকিস্তানের সেই ড্রেস ১৫ হাজারে বেচতে হয়।
পাকিস্তানের ড্রেসের কোয়ালিটি ভালো হয়। সে কারণে দামও অনেক বেশি। থাই বা চায়না মালেরও একই অবস্থা।’
ভারত থেকে পণ্য না আসায় একদিকে যেমন আক্ষেপ করছেন ব্যবসায়ীরা, অপর দিকে ভারতের ভিসা প্রায় বন্ধ থাকায় কিছু বাড়তি ক্রেতা আসছেন বলে জানান তাঁরা। বসুন্ধরার জুতার দোকান শু গ্যালারির ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাঈম বলেন, ‘আমাদের দেশে সচ্ছল শ্রেণির একাংশ ভারত থেকে ঈদের শপিং করে। এবার ভিসা কার্যত বন্ধ থাকায় তারা দেশে কেনাকাটা করছে। তাদের একটা বড় অংশ ঢাকার বসুন্ধরার মতো বড় মার্কেটগুলোতে আসছে।’
কুড়িগ্রামে প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ করে’ বেপরোয়াভাবে চলছে অবৈধ ইটভাটা। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিলেও মালিকপক্ষ তাতে কর্ণপাত করছে না।
৪ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের গড়াই নদের লংকারচর বালুমহাল ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে বিক্রি হওয়া ১৯টি দরপত্রের মধ্যে জমা পড়েছে মাত্র একটি। ঠিকাদারদের দরপত্র জমাদানে বাধা সৃষ্টি করে এক যুবলীগ নেতাকে ইজারা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে...
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (ডিএই) বদলি ও পদায়ন নিয়ে তৈরি হওয়া অস্থিরতা থামছেই না। কখনো স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে পোস্টার সাঁটানো, কখনো হুমকিধমকি ও রাজনৈতিক মামলায় আসামি করে হয়রানি, আবার কখনো দখল করা হচ্ছে কর্মকর্তাদের কক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলা বাবুরহাট বাজারে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কেনেন সোবাহান মিয়া। বাজারে দাম ১৯৫ টাকা হলেও তিনি নেন ১৮০ টাকায়। বাড়ি যাওয়ার পর বুঝতে পারেন বোতলে প্রায় ৩০০ মিলি তেল কম, মানও খারাপ।
৫ ঘণ্টা আগে