Ajker Patrika

রাজধানীর নীলক্ষেতে দেড় মাস ধরে খোঁড়াখুঁড়ি, যানবাহনের জটলা

  • ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়ও বেগ পেতে হচ্ছে।
  • সড়কের বাকি অংশ দখল করে বসেছেন হকাররা।
আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা
রাজধানীর নীলক্ষেতে সড়কের এক পাশ বন্ধ করে চলছে সুয়ারেজ লাইন স্থাপনের কাজ। এতে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে চলাচলের রাস্তা। ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন যানের চালক ও যাত্রীদের। ছবিটি গতকাল দুপুরের। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর নীলক্ষেতে সড়কের এক পাশ বন্ধ করে চলছে সুয়ারেজ লাইন স্থাপনের কাজ। এতে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে চলাচলের রাস্তা। ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন যানের চালক ও যাত্রীদের। ছবিটি গতকাল দুপুরের। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নীলক্ষেতে প্রধান সড়কের এক পাশের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে। বাকি অংশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। বিপরীত সড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। এতে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নীলক্ষেত মোড় থেকে গাউসুল আজম মোড়ের দিকে যাওয়ার সড়কটি খোঁড়ার কারণে প্রায় পুরোটাই বন্ধ হয়ে আছে। একপাশে সরু জায়গা দিয়ে কোনোমতে চলছে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরবাইকের মতো ছোট যানবাহনগুলো। তবে কখনো সেটিও ব্যাহত হচ্ছে রাস্তা দখল করে বসা হকারদের কারণে। বিপরীতমুখী সড়কটিতে ডিভাইডার দিয়ে দুদিকের গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলেও রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না যানবাহন। সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এর প্রভাব পড়ছে আশপাশের সব কটি সড়কে। পলাশী মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কাঁটাবন থেকে নীলক্ষেত অভিমুখী সড়কগুলোতে লক্ষ করা যায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

চালক ও যাত্রীরা বলছেন, প্রায় দেড় মাস ধরে রাস্তাটির প্রায় পুরো অংশ বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ করা হচ্ছে। যেটুকু বাকি ছিল, হকার বসার কারণে সেটুকুও প্রায় বন্ধ। ফলে এই সড়ক পাড়ি দিতে স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দ্বিগুণের বেশি লাগছে জনসাধারণের।

দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, রাস্তা বন্ধ হওয়ায় তাঁদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়ও বেগ পেতে হচ্ছে। চারদিক থেকে গাড়ি আসছে, কিন্তু রাস্তা সরু হওয়ায় নীলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জট। প্রায় সারা দিনই যানজট লেগে থাকে।

রিকশাচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নীলক্ষেতের এক মোড় থেকে আরেক মোড়ে আসতে সময় লাগল ১৫ মিনিটের বেশি। সিগন্যাল কয়েক সেকেন্ডের জন্য ছাড়ে আবার বন্ধ করে দেয়। রোদের মধ্যে এভাবে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়?’

মোটরসাইকেলচালক সাকিব শাহরিয়ার বলেন, ‘প্রধান সড়ক খুঁড়ে সুয়ারেজ লাইনের কাজ করা হচ্ছে, কিন্তু কাজে কোনো তড়িঘড়ি নেই। এক-দেড় মাস ধরে রাস্তা বন্ধ করে কাজ করা হচ্ছে। রাস্তা যেটুকু বাকি ছিল, হকাররা সেটিও দখল করে আছে। অন্তত এই কয়েক দিনের জন্য হকারদের উঠিয়ে দেওয়া যেত না?’

নুসরাত জাহান নামের একজনের সঙ্গে কথা হলে বলেন, এমনিতেই এই রাস্তায় যানজট লেগে থাকে, তার ওপর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে।

ঠিকাদারি কোম্পানি জিপসাম-এমিট-খিলাড়ি জেভির বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগছে। কয়েক জায়গায় মাটির গঠন অস্বাভাবিক থাকার কারণে খুব সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে। আমরা চেয়েছি, রাস্তা ভেঙে যেন জনদুর্ভোগ তৈরি না হয়। স্বাভাবিকভাবে কাজটি তিন থেকে সর্বোচ্চ চার সপ্তাহে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। তবে আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সালাম বেপারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু জটিলতা থাকার কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

বিশ্বে প্রথম পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়ানোর পথে কি পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ

লঞ্চের ওপর তরুণীকে প্রকাশ্যে পেটাচ্ছিলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

ভারতের সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত