Ajker Patrika

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ১৭: ৫১
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করেন। 

ড. ইউনূস ছাড়া বাকি তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। অভিযোগ গঠনের সময় ড. ইউনূসসহ অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। 

ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আদেশ পরিচালনা করে এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব কি না সেই সিদ্ধান্ত নেব।’ 

উল্লেখ্য, গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলা বাতিলের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দেন যে ড. ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে। 

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। 

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭,৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। 

মামলাটি দায়েরের পর এটা বাতিলের জন্য ড. ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন করেন। 

একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। 

গত বছরের ১৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগ গত ৮ মে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দেন। 

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ গঠনের পর ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আবারও হাইকোর্টে আবেদন করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। 

এর আগে ৩১ মে কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় প্রায় ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত