জহিরুল আলম পিলু, শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা)
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর অবস্থিত স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর সেতুটি অপ্রশস্ত হওয়ায় প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছে লাখো মানুষ। যানবাহনের বাড়তি চাপ ও অপরিকল্পিত নির্মাণ এবং সেতুর বেশ কিছু অংশে ইট-সুরকি সরে যাওয়ায় সেতুটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের দাবি, এখানে দ্রুত একটি পরিকল্পিত ও প্রশস্ত সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।
এদিকে, সেতুর দুই পাশে পথচারীদের হাঁটার জন্য যে জায়গা আছে তাতে হকারদের দৌরাত্ম্যে ফুটপাত কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) নির্মাণ করে সেতুটি। এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্টাফ কোয়ার্টার ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীনগর এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। প্রায় ৭০ ফুট লম্বা এবং ১৫ ফুট ৩ ইঞ্চি চওড়া এ সেতুটি মূলত মানুষ ও ছোট যানবাহনের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হলেও, এর প্রশস্ততা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
সেতুটিতে দুই পাশে মানুষের হাঁটার জন্য মাত্র ১ ফুট ৪ ইঞ্চি করে জায়গা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে হকারদের জন্য সেটিও ব্যবহার করা যায় না। ২০০৯ সালের শুরুতে সেতুর ফুটপাত ব্যবহার করা গেলেও ৩-৪ বছর ধরে তা দখল হয়ে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, হকারদের জন্য চলাচলে অসুবিধা হলেও প্রভাবশালী চাঁদাবাজাদের ভয়ে তারা মুখ খুলতে পারেন না।
সূত্র আরও জানায়, সেতুটি প্রথম থেকেই জনগণের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ। এখানে প্রথমে ১৯৯৯ সালে ডেনমার্কের অর্থায়নে বেইলি ব্রিজ হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীকালে ২০০১ সালে ওয়ার্ক অর্ডারের পর ডেনমার্কের ওই উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খালের দুই পাড়ে দুটি ও মাঝখানে একটি পিলার নির্মাণ করা হয়। ডেনমার্কের সঙ্গে ওই চুক্তি বাতিল হওয়ায় এলজিইডির বরাদ্দে আগের তিনটি পিলারের সঙ্গে নতুন করে দুটি পিলার নির্মাণ করা হয়।
পরে আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্বল্প প্রশস্ত এই সেতুটি পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেতুটিতে মানুষ চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে এর ওপর দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন লাখো মানুষ যাতায়াত করে। ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, রামপুরাসহ আশপাশের সড়কের সঙ্গে যুক্ত এ সেতুটি দিয়ে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী এবং শিশু-বয়স্ক পথচারীরা চলাচল করে থাকেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির দুপাড়ে যানবাহনের সমাগম। সেতুটিতে সব সময় মোটরসাইকেল ও মানুষের জট লেগেই আছে। এর মধ্যে ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এক পথচারী আনোয়ার বলেন, ‘স্বল্প প্রশস্ত এ সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সেতুর সীমিত প্রশস্ততার কারণে আমাদের প্রায় দুই মাইল ঘুরে আসতে হয়। জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি প্রশস্ত সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।’
শিউলি নামের আরেক পথচারী অভিযোগ করেন, ‘ফুটপাত দখল করে হকাররা দোকান বসানোয় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়। দ্রুত এই সমস্যার দাবি জানাই।’
ডেমরা জোনের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন হাজীনগর সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দু-তিন থেকে লাখ লোক যাতায়াত করে। কিন্তু এটি খুবই সংকীর্ণ এবং গাড়ি চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত। তা ছাড়া হাজীনগর সেতু হয়ে স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন কোনো ওভারপাস, আন্ডারপাস এবং অন্য কোনো রাস্তা নেই। তাই লোকজনের আধিক্যের কারণে যান চলাচল অনেক ধীর গতি হয়ে যায়। এই সেতু পারাপার হয়ে লোকজন যাত্রাবাড়ী, বনশ্রী এবং নারায়ণগঞ্জে যাতায়াত করে থাকে।’
ডিএসসিসির অঞ্চল-৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘ডিএনডি খালের ওপর একটি পরিকল্পিত সেতু নির্মাণের বিষয়ে আমরা গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি। ওয়াসার এনওসি পাওয়ার পর নির্মাণকাজ শুরু হবে।’
সেতুটি কেন ঝুঁকিপূর্ণ এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে সেতুর বিভিন্ন অংশ ইট-সুরকি সরে গেছে। সে জন্য যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘সেতুটি প্রশস্ত করার বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর অবস্থিত স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর সেতুটি অপ্রশস্ত হওয়ায় প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছে লাখো মানুষ। যানবাহনের বাড়তি চাপ ও অপরিকল্পিত নির্মাণ এবং সেতুর বেশ কিছু অংশে ইট-সুরকি সরে যাওয়ায় সেতুটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের দাবি, এখানে দ্রুত একটি পরিকল্পিত ও প্রশস্ত সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।
এদিকে, সেতুর দুই পাশে পথচারীদের হাঁটার জন্য যে জায়গা আছে তাতে হকারদের দৌরাত্ম্যে ফুটপাত কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) নির্মাণ করে সেতুটি। এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্টাফ কোয়ার্টার ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীনগর এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। প্রায় ৭০ ফুট লম্বা এবং ১৫ ফুট ৩ ইঞ্চি চওড়া এ সেতুটি মূলত মানুষ ও ছোট যানবাহনের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হলেও, এর প্রশস্ততা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
সেতুটিতে দুই পাশে মানুষের হাঁটার জন্য মাত্র ১ ফুট ৪ ইঞ্চি করে জায়গা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে হকারদের জন্য সেটিও ব্যবহার করা যায় না। ২০০৯ সালের শুরুতে সেতুর ফুটপাত ব্যবহার করা গেলেও ৩-৪ বছর ধরে তা দখল হয়ে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, হকারদের জন্য চলাচলে অসুবিধা হলেও প্রভাবশালী চাঁদাবাজাদের ভয়ে তারা মুখ খুলতে পারেন না।
সূত্র আরও জানায়, সেতুটি প্রথম থেকেই জনগণের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ। এখানে প্রথমে ১৯৯৯ সালে ডেনমার্কের অর্থায়নে বেইলি ব্রিজ হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীকালে ২০০১ সালে ওয়ার্ক অর্ডারের পর ডেনমার্কের ওই উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খালের দুই পাড়ে দুটি ও মাঝখানে একটি পিলার নির্মাণ করা হয়। ডেনমার্কের সঙ্গে ওই চুক্তি বাতিল হওয়ায় এলজিইডির বরাদ্দে আগের তিনটি পিলারের সঙ্গে নতুন করে দুটি পিলার নির্মাণ করা হয়।
পরে আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্বল্প প্রশস্ত এই সেতুটি পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেতুটিতে মানুষ চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে এর ওপর দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন লাখো মানুষ যাতায়াত করে। ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, রামপুরাসহ আশপাশের সড়কের সঙ্গে যুক্ত এ সেতুটি দিয়ে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী এবং শিশু-বয়স্ক পথচারীরা চলাচল করে থাকেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির দুপাড়ে যানবাহনের সমাগম। সেতুটিতে সব সময় মোটরসাইকেল ও মানুষের জট লেগেই আছে। এর মধ্যে ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এক পথচারী আনোয়ার বলেন, ‘স্বল্প প্রশস্ত এ সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সেতুর সীমিত প্রশস্ততার কারণে আমাদের প্রায় দুই মাইল ঘুরে আসতে হয়। জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি প্রশস্ত সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।’
শিউলি নামের আরেক পথচারী অভিযোগ করেন, ‘ফুটপাত দখল করে হকাররা দোকান বসানোয় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়। দ্রুত এই সমস্যার দাবি জানাই।’
ডেমরা জোনের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন হাজীনগর সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দু-তিন থেকে লাখ লোক যাতায়াত করে। কিন্তু এটি খুবই সংকীর্ণ এবং গাড়ি চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত। তা ছাড়া হাজীনগর সেতু হয়ে স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন কোনো ওভারপাস, আন্ডারপাস এবং অন্য কোনো রাস্তা নেই। তাই লোকজনের আধিক্যের কারণে যান চলাচল অনেক ধীর গতি হয়ে যায়। এই সেতু পারাপার হয়ে লোকজন যাত্রাবাড়ী, বনশ্রী এবং নারায়ণগঞ্জে যাতায়াত করে থাকে।’
ডিএসসিসির অঞ্চল-৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘ডিএনডি খালের ওপর একটি পরিকল্পিত সেতু নির্মাণের বিষয়ে আমরা গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি। ওয়াসার এনওসি পাওয়ার পর নির্মাণকাজ শুরু হবে।’
সেতুটি কেন ঝুঁকিপূর্ণ এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে সেতুর বিভিন্ন অংশ ইট-সুরকি সরে গেছে। সে জন্য যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘সেতুটি প্রশস্ত করার বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রায় নয় ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ থাকা দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব মাইলস্টোনের ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ির ডিপোতে প্রবেশ করেছেন। এ সময়ে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের কড়া পাহারা ছিল। তাঁরা মেট্রো ডিপো দিয়ে ভেতরের রাস্তা দিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ হয়ে বের হয়ে যাবেন
৯ মিনিট আগেমাদারগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগেশিক্ষকসংকট, সেশনজটসহ ছয় দফা দাবিতে এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছেন রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রংপুরের পীরগঞ্জে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
২০ মিনিট আগেকান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কথা শুনে তড়িঘড়ি করে আসলাম। কিন্তু ওর সাথে শেষবারের মতো আর কথা হলো না। দিনে ছয় থেকে সাতবার কথা হতো ওর সাথে। শেষবার বলছিল, “বাবা, তুমি কবে আসবা?” আমি তাকে বলেছিলাম, এখন তো সময় পাচ্ছি না। ঢাকায় যেতে টাকা-পয়সার ব্যাপার-স্যাপার আছে। আগামী মাসের ১৫ তারিখ আমি অবশ্যই
২৫ মিনিট আগে