Ajker Patrika

লটারি করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা, প্রভোস্ট বললেন ইতিবাচক 

প্রতিনিধি, ঢাবি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ১৯
Thumbnail image

লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েই ৪০ জন ছাত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছেন। যদিও ফুল দিতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ২১০ জন। এ ছাড়া বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে নাম জমা দিয়েছেন ২৭২ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে এ ঘটনা ঘটে। এতে হলের ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট ড. নাজমুন নাহার বললেন, এটি ইতিবাচক দিক। 

গতকাল (সোমবার) রাত ৯টার সময় হল অডিটোরিয়ামে ২১০ জনের মধ্যে ৪০ জনকে বাছাই করা হয় লটারির মাধ্যমে। এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে হল প্রশাসন। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে, এতদ্বারা বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, যারা ১৪ ডিসেম্বর মিরপুরে যাওয়ার জন্য নাম দিয়েছেন, তাঁদের (সিরিয়াল ১-২১০) আজ (সোমবার) ৯.০০ মিনিটে হল অডিটোরিয়ামে সমবেত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। উক্ত সময়ে লটারির মাধ্যমে ৪০ জন ছাত্রীকে নির্বাচিত করা হবে। যারা ৯.৩০ মিনিটে উপস্থিত থাকবেন না, তাদের সিরিয়াল লটারিতে এলেও নির্বাচিত হবে না। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের জাতির গর্ব। আমরা তাদের সশরীরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি। কিন্তু হল প্রশাসন বাসসংকটের অজুহাতে আমাদের সেখানে নিয়ে যায়নি। লটারিতে ৪০ জনকে নির্বাচিত করে তাদের নিয়ে গেছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের খুব খারাপ লাগছে। এভাবে লটারি দিয়ে শ্রদ্ধার বিষয়টি সংকীর্ণ করা হয়েছে। আমাদের যে আশা ছিল শ্রদ্ধা জানানোর, সেটা পারলাম না।’

লটারির মাধ্যমে বাছাই করে শ্রদ্ধা জানাতে নিয়ে যাওয়ার বিষয় স্বীকার করে অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহার বলেন, ‘আমি পরিবহন ম্যানেজারের কাছে বলেছিলাম, ডাবল সিটের দুটি বাস যেন আমাদের হলের জন্য দেওয়া হয়, কিন্তু গতকাল (সোমবার) বিকেলের দিকে জানতে পারি ৫৩ জন বসার মতো একটি বাস দেওয়া হবে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে আমি প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিরকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং হলের আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

প্রভোস্ট আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া আমরা শ্রদ্ধা জানিয়ে আসতে পেরেছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের ইতিবাচকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অন্যান্য হলে যেখানে শিক্ষার্থীদের পাওয়া যায় না, সে জায়গায় আমাদের হলে লটারি করে নিয়ে যেতে হলো বাসসংকটের কারণে। পাশাপাশি অমিক্রন ও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে যথাযথ সচেতন হই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত