নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় এক আইনজীবী মামলা করেছেন। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ এবং আরও অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় তিনি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন।
মামলায় আইনজীবী যুথী ও কাজল ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন—অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা যুথীর নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচতলার শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করে। অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় নির্বাচন সাবকমিটির সদস্যদের গালিগালাজ করে। দুজনের হাতে লোহার রড ছিল। তারা সাইফুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। অন্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করে।’
এ ছাড়া তারা ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে মারধর করে, এতে তিনি আহত হন। নাহিদ সুলতানা যুথী আইনজীবী রিনা বেগমকে চড়থাপ্পড় ও হুমকি দেন। হামলাকারীরা অডিটরিয়ামের ভেতরে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও অরাজকতা সৃষ্টি করে। এতে নির্বাচনী দায়িত্বরত সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, নির্বাচনী অন্যান্য কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ভন্ডুল হয়ে যায়।
একপর্যায়ে তারা অস্ত্রের মুখে নির্বাচন সাবকমিটির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল খায়েরকে ভোট গণনা ছাড়াই সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করার জন্য বাধ্য করে। নির্বাচন সাবকমিটির সব সদস্য জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে ভোট গণনার কাজ না করেই চলে যেতে বাধ্য হন।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার কাজ শেষ না হলেও নাহিদ সুলতানা যুথীর নেতৃত্বে তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করার অবৈধ দাবিতে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে মামলার পর, গতকাল রাতেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার উসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি ছাড়াও আওয়ামীপন্থী এজাহারভুক্ত আসামি আইনজীবী কাজী বশির আহম্মেদ, আইনজীবী তুষার, তরিকুল ইসলাম ও সুমনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই নাহিদ সুলতানা যুথীর সমর্থক। তাদের যুথির বাসা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনজীবীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ বলেন, ‘যে যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। শাহবাগ থানায় মামলা হওয়ার পরে ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্ত করে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় এক আইনজীবী মামলা করেছেন। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ এবং আরও অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় তিনি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন।
মামলায় আইনজীবী যুথী ও কাজল ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন—অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা যুথীর নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচতলার শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করে। অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় নির্বাচন সাবকমিটির সদস্যদের গালিগালাজ করে। দুজনের হাতে লোহার রড ছিল। তারা সাইফুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। অন্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করে।’
এ ছাড়া তারা ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে মারধর করে, এতে তিনি আহত হন। নাহিদ সুলতানা যুথী আইনজীবী রিনা বেগমকে চড়থাপ্পড় ও হুমকি দেন। হামলাকারীরা অডিটরিয়ামের ভেতরে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও অরাজকতা সৃষ্টি করে। এতে নির্বাচনী দায়িত্বরত সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, নির্বাচনী অন্যান্য কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ভন্ডুল হয়ে যায়।
একপর্যায়ে তারা অস্ত্রের মুখে নির্বাচন সাবকমিটির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল খায়েরকে ভোট গণনা ছাড়াই সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করার জন্য বাধ্য করে। নির্বাচন সাবকমিটির সব সদস্য জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে ভোট গণনার কাজ না করেই চলে যেতে বাধ্য হন।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার কাজ শেষ না হলেও নাহিদ সুলতানা যুথীর নেতৃত্বে তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করার অবৈধ দাবিতে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে মামলার পর, গতকাল রাতেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার উসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি ছাড়াও আওয়ামীপন্থী এজাহারভুক্ত আসামি আইনজীবী কাজী বশির আহম্মেদ, আইনজীবী তুষার, তরিকুল ইসলাম ও সুমনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই নাহিদ সুলতানা যুথীর সমর্থক। তাদের যুথির বাসা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনজীবীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ বলেন, ‘যে যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। শাহবাগ থানায় মামলা হওয়ার পরে ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্ত করে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে।’
রাসিক সচিব আড়াই মাস ধরে তাঁদের বিল-সংক্রান্ত প্রায় ২৫০টি ফাইল অফিসের টেবিলে ফেলে রেখেছেন। এতে অন্তত ১৫ জন ঠিকাদারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আটকে আছে। পাওনা টাকা না মেলায় তাঁরা শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছেন না। কাজও চলমান রাখা যাচ্ছে না।
৩ মিনিট আগেকুমিল্লার দাউদকান্দিতে আবুল বাসার বাদশা মিয়া (৪২) নামের এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার বারপাড়া মাদ্রাসাসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যার পর হঠাৎ একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে বাদশাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে...
২২ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে ৮২ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন।
৩৬ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ইটভাটা মোড় (বসুনিয়া মোড়সংলগ্ন) এলাকায় সৈয়দপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে