Ajker Patrika

পুলিশের উপস্থিতিতে ধান বিক্রি করছে আসামীপক্ষ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পুলিশের উপস্থিতিতে ধান বিক্রি করছে আসামিপক্ষের লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুলিশের উপস্থিতিতে ধান বিক্রি করছে আসামিপক্ষের লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ২০০ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে খুন হন অপূর্ব চন্দ্র দাস (২০)। তিনি বাজিতপুর কৈলাগ ইউনিয়নের কচুয়াখলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথ চন্দ্র দাসের ছেলে। ওই ঘটনায় স্থানীয় দুলাল চন্দ্র দাসের ছেলে কেশ্বব চন্দ্র দাস, শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে উজ্জল চন্দ্র দাস, নন্দলাল চন্দ্র দাসের ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র দাস, শ্যাম চন্দ্র দাসের ছেলে শুভ চন্দ্র দাসসহ অজ্ঞাতনামা ৫–৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

এদিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে আসামিপক্ষ তাদের শত শত মণ ধান লুটপাটের আশঙ্কা করছে। এর মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে সেই ধান বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছে, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ধান বিক্রির বিষয়টি তাদের জানা নেই।

নিহত অপূর্ব চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
নিহত অপূর্ব চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে বাড়ির সামনে হাওরে ধান তুলছিলেন অপূর্ব। এ সময় চার বন্ধু কেশ্বব চন্দ্র দাস, উজ্জল চন্দ্র দাস, গোবিন্দ চন্দ্র দাস, শুভ চন্দ্র দাস অপূর্বকে ধার দেওয়া ২০০ টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চার বন্ধুসহ আরও কয়েকজন মিলে কুড়াল, রামদা দিয়ে অপূর্বের চার হাত-পায়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেন। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার রাতে অপূর্বের মৃত্যু হয়।

বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশের উপস্থিততে ধান বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, ধান বিক্রি আমাদের বিষয় নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত