Ajker Patrika

মহাসড়কে বেপরোয়া বাস, দুই মাসে ঝরল ১০ প্রাণ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
মহাসড়কে বেপরোয়া বাস, দুই মাসে ঝরল ১০ প্রাণ

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার টঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট মহাসড়কের বড়নগর-ঘোড়াশাল এই অংশে সড়ক দুর্ঘটনা যেন থামছেই না। প্রায় প্রতিদিনই এই সড়কের কোনো না কোনো স্থানে দুর্ঘটনা ঘটছেই। তাতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষকে।

জানা গেছে, গত দুই মাসে শুধু এই অংশেই সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন; পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে। এর প্রধান কারণ হিসেবে জানা যায়, দূরপাল্লার সব বাস পাল্লা দিয়ে চলে। একে অন্যকে টপকে আগে যাওয়ার প্রবণতা থেকেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ সময় অপর পাশ দিয়ে চলা ছোট যানবাহনগুলো বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

কিন্তু এসব নজরদারি করার জন্য রাত্রিকালীন পুলিশি টহল থাকলেও দিনের বেলায় কোনো নিরাপত্তা চৌকি নেই। নজরদারি না থাকার সুযোগে বেপরোয়া হয়ে ওঠা বাসের কারণে সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

কিছুদিন আগে পৌর এলাকার বাঙ্গাল হাওলা গ্রামের মো. আরিফ হোসেন নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এই ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেকটা পথে বসতে চলেছে তাঁর পরিবার।

আজকের পত্রিকাকে আরিফ হোসেনের স্বজনেরা জানান, তিনি কাপাসিয়া মোড় থেকে ঘোড়াশাল পর্যন্ত যাতায়াত করতেন। সেদিন বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেলে ঘটনাস্থলেই দুজন এবং কিছুদিন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় থেকে আরিফ মৃত্যুবরণ করেন।

চৌড়া এলাকার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রতিদিন কালীগঞ্জ বাজারে যাতায়াত করেন। চলার পথে এই মহাসড়কটি পার হতে হয়। তিনি গত এক মাসে দুটি সড়ক দুর্ঘটনা দেখেছেন যেখানে দুটি বাস পাল্লা দিয়ে একটি আরেকটিকে ওভারটেক করতে যাচ্ছিল। এমন সময় ঘটেছে দুর্ঘটনা। এ জন্য তিনি খুব সাবধানে পারাপার হন।

অপর পথচারী সাকিব হোসেন বলেন, এই সড়কে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। দূর থেকে আসা বাসগুলো ছোট গাড়িগুলোকে যেন কিছু মনেই করে না। মোটরসাইকেল তো চলার সাহসই করে না। এত দ্রুত আসে যে জরুরি ভিত্তিতে ব্রেক করারও সুযোগ থাকে না। এখানে পুলিশি টহল বাড়ানো দরকার। যেহেতু আশপাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেহেতু গাড়িগুলো নির্দিষ্ট গতিতে চালানো উচিত।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘আমি এই থানায় যোগদান করেছি কিছুদিন হয়। যত দূর জানি, আগে একটা চেকপোস্ট ছিল। পরে আবার তা বন্ধ হয়ে যায়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত