Ajker Patrika

‘এই ঈদে পোলাপান গরুর মাংস দিয়া আত্মা ভইরা ভাত খাবার পাব’

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ০৪
‘এই ঈদে পোলাপান গরুর মাংস দিয়া আত্মা ভইরা ভাত খাবার পাব’

‘মুরগিই কিনবার পারি না, গরুর মাংস কোনে পামু? তবে এই তারিখে (এবার) সুমুতি কইরা কিছু টাকা জমাইছিলাম, হেনু (সেখান) থিকা পাঁচ কেজি মাংস পাইছি। এইবার ঈদে পোলাপান গরুর মাংস দিয়া আত্মা ভইরা কয়টা ভাত খাবার পাব।’ কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের মাংস সমিতির সদস্য কৃষি শ্রমিক নূরে আলম। 

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গরিবের মাংস সমিতি। বাজারে গরু-মহিষের মাংসের দাম অনেক আগেই নিম্নবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তবে ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে সমিতির মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাত কেজি মাংস পেয়ে বেশ খুশি সমিতির সদস্যরা। 

তবে এত কিছুর পরও স্থানীয় বাজারে গরু-মহিষের মাংসের দাম কমেনি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করেই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তিন শতাধিক সমিতি গড়ে ওঠে। এসব সংগঠনের নাম দেওয়া হয় মাংস সমিতি বা গরু সমিতি। কোনো কোনো এলাকায় স্থানীয় বণিক সমিতির মাধ্যমেও গরু কিনে মাংস ভাগ করে নেওয়া হয়। 

প্রতিটি সমিতিতে শ্রমিক, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য থাকেন। সারা বছর সঞ্চয় করা টাকা দিয়ে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে গরু কিনে জবাই করা হয়। ওই মাংস ভাগ করে নেন সমিতির সদস্যরা। এতে ঈদে বাড়তি আনন্দ পাওয়াসহ আর্থিক চাপও কমে গ্রামের গরিব ও নিম্নবিত্তদের। 

উপজেলার জিতাশ্বরী গ্রামের মাংস সমিতির উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সমিতির ৫০ জন সদস্য মাসিক ৩০০ টাকা করে জমা দেয়। এতে এক বছরে জমা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে কেনা গরুর মাংস সদস্যদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রত্যেকে পাঁচ থেকে ছয় কেজি করে মাংস পায়।’ তাঁদের এলাকাতেই এ ধরনের শতাধিক সমিতি রয়েছে বলেও তিনি যোগ করেন। 

পৌরসভার প্রতিমা বংকী গ্যাস স্টেশন বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, গ্রামগঞ্জে এবার মাংস সমিতির প্রচুর গরু জবাই হচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় বাজারে মাংসের চাহিদা কিছুটা কম। তবে মাংসের দাম আগের মতোই আছে। 

উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগে থেকেই সমিতির গরু জবাই শুরু হয়। এভাবে চলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। সমিতিগুলো গরিব ও নিম্নবিত্তদের ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শো চলার সময় ছায়াবাণী হলে দর্শকদের ভাঙচুর, টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন

‘৫ মিনিট রুলস’ যেভাবে ইলন মাস্কের জীবনে সাফল্য আনল

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বাজার দখলের চেষ্টা ভারতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত