নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেয়ারবাজার নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. আমির হোসাইন ওরফে নুর নুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২) ও আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রমনা থানার একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদ।
এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, গ্রেপ্তাররা আগে থেকেই সরকারবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমির হোসাইনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে আসছিলেন। এ ছাড়া, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে আসছিলেন।
আমির হোসাইন ছদ্মনাম নূর নূরানী ব্যবহার করে গ্রুপগুলো পরিচালনা করতেন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে সব মিলিয়ে ৮–১০টি গ্রুপ চালান তিনি। নুরুল হক হারুন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ–সভাপতি পরিচয়ে বিভিন্ন সদস্যদের একত্রিত হয়ে কোম্পানিগুলোতে চাঁদাবাজি করেন। আব্দুল কাইয়ুম ‘রয়েল ক্যাপিটাল’ নামের ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে যুক্ত। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন শেয়ার সম্পর্কে তথ্য দিতেন বলেও জানান এডিসি সাইফুর।
এ সময় ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাঁদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মিথ্যা তথ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে আসছিল, এমন অভিযোগে বিএসইসি রমনা থানায় মামলা করে। মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ডিবি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে। এসব গ্রুপে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে আসছিল। এরা বিভিন্ন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগে ভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশির ভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাঁরা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেন বলেও উল্লেখ করেন ডিবি প্রধান। এ ছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবিও করা হতো বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে বলেও দাবি করে ডিবি। এসব করার জন্য গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসছিল। এসব গ্রুপের সদস্যদের একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। আবার শেয়ারে লাভ হলে লভ্যাংশ দিতে হয়। কিন্তু লোকসান হলে তাঁরা দায়িত্ব নেন না, এমনটাই দাবি গোয়েন্দা পুলিশের।
শেয়ারবাজার নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. আমির হোসাইন ওরফে নুর নুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২) ও আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রমনা থানার একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদ।
এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, গ্রেপ্তাররা আগে থেকেই সরকারবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমির হোসাইনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে আসছিলেন। এ ছাড়া, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে আসছিলেন।
আমির হোসাইন ছদ্মনাম নূর নূরানী ব্যবহার করে গ্রুপগুলো পরিচালনা করতেন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে সব মিলিয়ে ৮–১০টি গ্রুপ চালান তিনি। নুরুল হক হারুন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ–সভাপতি পরিচয়ে বিভিন্ন সদস্যদের একত্রিত হয়ে কোম্পানিগুলোতে চাঁদাবাজি করেন। আব্দুল কাইয়ুম ‘রয়েল ক্যাপিটাল’ নামের ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে যুক্ত। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন শেয়ার সম্পর্কে তথ্য দিতেন বলেও জানান এডিসি সাইফুর।
এ সময় ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাঁদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মিথ্যা তথ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে আসছিল, এমন অভিযোগে বিএসইসি রমনা থানায় মামলা করে। মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ডিবি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে। এসব গ্রুপে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে আসছিল। এরা বিভিন্ন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগে ভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশির ভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাঁরা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেন বলেও উল্লেখ করেন ডিবি প্রধান। এ ছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবিও করা হতো বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে বলেও দাবি করে ডিবি। এসব করার জন্য গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসছিল। এসব গ্রুপের সদস্যদের একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। আবার শেয়ারে লাভ হলে লভ্যাংশ দিতে হয়। কিন্তু লোকসান হলে তাঁরা দায়িত্ব নেন না, এমনটাই দাবি গোয়েন্দা পুলিশের।
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৬ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
৭ ঘণ্টা আগে