মাদারীপুর প্রতিনিধি
সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে ঝড়োবাতাসে সৃষ্ট তীব্র ঠান্ডায় হাইপোথার্মিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশি সাত যুবক। তাঁদের সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের বাড়িই মাদারীপুরে। একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জে ও অন্য আরেক জনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। গতকাল রোববার ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক জরুরি নোটিশের মাধ্যমে সাতজনের নাম জানা যায়।
আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মৃতদের মাদারীপুরের ৫ জনের মধ্যে চারজনের পরিবারের সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। তাঁদের বাড়িতে এখন চলছে মাতম। তবে বাপ্পী নামের আরেক যুবকের বাড়িও মাদারীপুর সদর উপজেলায় বলে জানা গেলেও। তাঁর পূর্ণ ঠিকানা লেখা থাকায় এখনো পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিহতেরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারপুর গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে ইমরান হোসেন (২২), মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপাড় গ্রামের শাহাজালালের ছেলে জহিরুল (২০), ঘটকচর এলাকার কাশেম মোল্লার ছেলে সাফায়েত (১৯), পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইলবাড়ি গ্রামের প্রেমানন্দ তালুকদারের ছেলে জয় তালুকদার রতন (২০)।
মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপাড় গ্রামের নিহত জহিরুলের পিতা শাহাজালাল বলেন, ‘আমার সন্তানের মারা যাওয়ার খবর আমরা সরকারি চিঠির মাধ্যমে জানতে পারলাম। প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন ধরে আমার ছেলের সাথে ফোনে কথা হয় না। দালালেরা আমাদের কাছে ফোন করে বলেছে জহিরুল হাসপাতালের আইসিইউতে আছে। যদি আমার সন্তান মারা যায়, তাহলে তার লাশ যেন সরকার আমাদের কাছে এনে দেয়।’
নিহত ইমরান হোসেন বোন নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘গত ২১ জানুয়ারির আগে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে ইমরানের কথা শুনি। তারপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই। আমার ভাই মারা যাওয়ার কথা সরকারি চিঠির মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমার বাবা-মা এখন পর্যন্ত জানে না।’
নিহত সাফায়েতের বোনের স্বামী রাসেল বলেন, ‘সাফায়েত মারা যাওয়ার কথা আমি শুনেছি। সাফায়েতের সঙ্গে যাওয়া বাড়ির পাশের দুজন জীবিত আছে। তারা ফোন করে আমাদের বলেছে সাফায়েত মারা গেছে।’
দূতাবাসের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি ২০২২ লিবিয়া হতে ইতালি আসার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় মৃত্যুবরণকারী অভিবাসন প্রত্যাশী ৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় নিরূপণের জন্য ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীদের সঙ্গে জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে মৃত সাতজনের নাম জানা যায়। মৃতদের বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃতদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার জন্য এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়। ইতালি দূতাবাসের একটি ই-মেইলের ঠিকানাও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘যে সকল অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছেন তাদের লাশ যাতে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায় এ জন্য আমরা সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর যারা অবৈধপথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন, তাদের সচেতন হতে হবে। দালালদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’
সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে ঝড়োবাতাসে সৃষ্ট তীব্র ঠান্ডায় হাইপোথার্মিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশি সাত যুবক। তাঁদের সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের বাড়িই মাদারীপুরে। একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জে ও অন্য আরেক জনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। গতকাল রোববার ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক জরুরি নোটিশের মাধ্যমে সাতজনের নাম জানা যায়।
আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মৃতদের মাদারীপুরের ৫ জনের মধ্যে চারজনের পরিবারের সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। তাঁদের বাড়িতে এখন চলছে মাতম। তবে বাপ্পী নামের আরেক যুবকের বাড়িও মাদারীপুর সদর উপজেলায় বলে জানা গেলেও। তাঁর পূর্ণ ঠিকানা লেখা থাকায় এখনো পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিহতেরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারপুর গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে ইমরান হোসেন (২২), মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপাড় গ্রামের শাহাজালালের ছেলে জহিরুল (২০), ঘটকচর এলাকার কাশেম মোল্লার ছেলে সাফায়েত (১৯), পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইলবাড়ি গ্রামের প্রেমানন্দ তালুকদারের ছেলে জয় তালুকদার রতন (২০)।
মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপাড় গ্রামের নিহত জহিরুলের পিতা শাহাজালাল বলেন, ‘আমার সন্তানের মারা যাওয়ার খবর আমরা সরকারি চিঠির মাধ্যমে জানতে পারলাম। প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন ধরে আমার ছেলের সাথে ফোনে কথা হয় না। দালালেরা আমাদের কাছে ফোন করে বলেছে জহিরুল হাসপাতালের আইসিইউতে আছে। যদি আমার সন্তান মারা যায়, তাহলে তার লাশ যেন সরকার আমাদের কাছে এনে দেয়।’
নিহত ইমরান হোসেন বোন নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘গত ২১ জানুয়ারির আগে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে ইমরানের কথা শুনি। তারপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই। আমার ভাই মারা যাওয়ার কথা সরকারি চিঠির মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমার বাবা-মা এখন পর্যন্ত জানে না।’
নিহত সাফায়েতের বোনের স্বামী রাসেল বলেন, ‘সাফায়েত মারা যাওয়ার কথা আমি শুনেছি। সাফায়েতের সঙ্গে যাওয়া বাড়ির পাশের দুজন জীবিত আছে। তারা ফোন করে আমাদের বলেছে সাফায়েত মারা গেছে।’
দূতাবাসের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি ২০২২ লিবিয়া হতে ইতালি আসার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় মৃত্যুবরণকারী অভিবাসন প্রত্যাশী ৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় নিরূপণের জন্য ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীদের সঙ্গে জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে মৃত সাতজনের নাম জানা যায়। মৃতদের বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃতদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার জন্য এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়। ইতালি দূতাবাসের একটি ই-মেইলের ঠিকানাও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘যে সকল অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছেন তাদের লাশ যাতে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায় এ জন্য আমরা সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর যারা অবৈধপথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন, তাদের সচেতন হতে হবে। দালালদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২২টি মামলার আসামি মামুন সম্রাটকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর ইউনিয়নের ভুলিরপাড় গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের একটি টিম।
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম সমাবর্তন। উৎসবের রঙে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস। গায়ে কালো গাউন, মাথায় টুপি, চোখে স্বপ্ন। যেন ইতিহাসের পাতায় নতুন এক অধ্যায় লেখা হচ্ছে।
৭ মিনিট আগেঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরে পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে বাবলুর রহমান (৫০) নামের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) ভোর ৪টার দিকে শিবচর উপজেলার মোল্লার বাজার সংলগ্ন এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকাগামী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেসাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর পুকুর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু দুটি। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা-পুলিশ।
২৪ মিনিট আগে